রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
বর্ষা ও জোয়ারের পানি দেখে জেলে পরিবারগুলো আশায় বুক বাধে। আমাদের জালের ফাঁকে ইলিশ আটকালেও ভাগ্যের ফাঁক দিয়ে সেই ইলিশ চলে যায় মহাজনের মোকামে। মাছভর্তি জেলে নৌকা ঘাটে ভিড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজ পাখির মতো ছোঁ মারে মহাজনেরা। এ ছাড়া যখন নদীতে ব্যাপক মাছ পড়ে, তখন নৌকা থেকে বিভিন্ন মহলের নাম করে ২-৩টি করে মাছ দিতে হয় এক শ্রেণির দালালদের। অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রামগতি ঘাটের মাঝি রফিক।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন ঘাটগুলোতে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজারো জেলে পরিবার। দিন-রাত হাড়-খাটনির মাধ্যমে আহরণ করা মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় এসব জেলে পরিবার।
জেলে পল্লিতে গিয়ে জানা গেছে, হাজারো জেলে পরিবার বংশ পরম্পরায় নদীতে মাছ শিকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরণই তাঁদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত, জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরণ করা সব মাছ বিক্রি করার শর্তে টাকা ধার নেন। নদীতে যখন মাছের অকালে এ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তখন অধিকাংশ জেলে বছরের পর বছর মহাজনদের কাছে জিম্মি থেকে যান। ফলে বিভিন্ন সময় আহরণ করা মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করেন এসব মহাজনেরা।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। রামগতি উপজেলার ২১ হাজার ৯৩৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৫৮ জন জেলে মৎস্য অধিদপ্তরে নিবন্ধিত রয়েছে।
উপজেলার টাংকীর ঘাটের মোহাম্মদ আশ্রাফ মাঝি বলেন, ‘এনজিওর ঋণ ও দাদন নামের অভিশাপ অথবা করোনার জাঁতাকলে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদীতে ইলিশ থাকে না। আবার মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত উপকূলের মৎস্য অভয়ারণ্যগুলোতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে। বছরের বিশাল ওই সময় জেলে পাড়াগুলোতে চলে দুর্দিন। এ সুযোগটি বেছে নেন দাদন ব্যবসায়ী মহাজনেরা।’
এ বিষয়ে চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, মহাজনের দাদনের টাকা ও এনজিওদের চড়া সুদের ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে অনেক জেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকার কম সুদে ও সহজ কিস্তিতে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এ দাদন নামের অভিশাপ থেকে জেলেরা রেহাই পেতেন।
রামগতি আছিয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি বছরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে জেলেদের আয়ের সব পথ বন্ধ থাকে। তখন তাঁদের শুধু চাল দিয়ে সহযোগিতা করে কোনো লাভ হয় না। এ কারণে তাঁদের বিকল্প পেশায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। ইলিশ সংরক্ষণ প্রোগ্রাম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তা ছাড়া নদীতে মাছ ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়, তার ওপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা।
আলেকজান্ডার ঘাটের বাবুল দালাল বলেন, ‘আমরা নদীতে ব্যবসা করি। চুক্তির মাধ্যমে জেলেদের অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। তার বিনিময়ে জেলেরা আমাগো গদিতে মাছ বিক্রি করেন। জেলেদের আহরণ করা মাছ বাজার মূল্যে বিক্রি করে তা থেকে আমরা দাদন ব্যবসায়ীরা একটা কমিশন পাই।’
মেঘনার আকাল সময় ও নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়ে উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, রামগতি উপজেলার ১০টি গ্রামের জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে ৪০ জন জেলে পরিবারের সন্তানকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে আরও ৪০ জন জেলে পরিবারের সন্তানকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
বর্ষা ও জোয়ারের পানি দেখে জেলে পরিবারগুলো আশায় বুক বাধে। আমাদের জালের ফাঁকে ইলিশ আটকালেও ভাগ্যের ফাঁক দিয়ে সেই ইলিশ চলে যায় মহাজনের মোকামে। মাছভর্তি জেলে নৌকা ঘাটে ভিড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজ পাখির মতো ছোঁ মারে মহাজনেরা। এ ছাড়া যখন নদীতে ব্যাপক মাছ পড়ে, তখন নৌকা থেকে বিভিন্ন মহলের নাম করে ২-৩টি করে মাছ দিতে হয় এক শ্রেণির দালালদের। অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রামগতি ঘাটের মাঝি রফিক।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন ঘাটগুলোতে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মেঘনা পাড়ের হাজারো জেলে পরিবার। দিন-রাত হাড়-খাটনির মাধ্যমে আহরণ করা মাছের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয় জেলেরা। মহাজনের দাদনের কাছে অসহায় এসব জেলে পরিবার।
জেলে পল্লিতে গিয়ে জানা গেছে, হাজারো জেলে পরিবার বংশ পরম্পরায় নদীতে মাছ শিকার করে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে আসছে। মাছ আহরণই তাঁদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। জেলেরা মৌসুমের শুরুতে নৌকা মেরামত, জাল কেনার জন্য মহাজনদের কাছে আহরণ করা সব মাছ বিক্রি করার শর্তে টাকা ধার নেন। নদীতে যখন মাছের অকালে এ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন, তখন অধিকাংশ জেলে বছরের পর বছর মহাজনদের কাছে জিম্মি থেকে যান। ফলে বিভিন্ন সময় আহরণ করা মাছের বাজার মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে জেলেদের মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করেন এসব মহাজনেরা।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। রামগতি উপজেলার ২১ হাজার ৯৩৯ জনের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৫৮ জন জেলে মৎস্য অধিদপ্তরে নিবন্ধিত রয়েছে।
উপজেলার টাংকীর ঘাটের মোহাম্মদ আশ্রাফ মাঝি বলেন, ‘এনজিওর ঋণ ও দাদন নামের অভিশাপ অথবা করোনার জাঁতাকলে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে আমাদের জীবন। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদীতে ইলিশ থাকে না। আবার মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত উপকূলের মৎস্য অভয়ারণ্যগুলোতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে। বছরের বিশাল ওই সময় জেলে পাড়াগুলোতে চলে দুর্দিন। এ সুযোগটি বেছে নেন দাদন ব্যবসায়ী মহাজনেরা।’
এ বিষয়ে চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, মহাজনের দাদনের টাকা ও এনজিওদের চড়া সুদের ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে অনেক জেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকার কম সুদে ও সহজ কিস্তিতে তাঁদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এ দাদন নামের অভিশাপ থেকে জেলেরা রেহাই পেতেন।
রামগতি আছিয়া বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি বছরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে জেলেদের আয়ের সব পথ বন্ধ থাকে। তখন তাঁদের শুধু চাল দিয়ে সহযোগিতা করে কোনো লাভ হয় না। এ কারণে তাঁদের বিকল্প পেশায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। ইলিশ সংরক্ষণ প্রোগ্রাম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তা ছাড়া নদীতে মাছ ইলিশ ধরার মৌসুমে দস্যুদের উৎপাত বেড়ে যায়, তার ওপর মহাজনের বিশাল ঋণের বোঝা।
আলেকজান্ডার ঘাটের বাবুল দালাল বলেন, ‘আমরা নদীতে ব্যবসা করি। চুক্তির মাধ্যমে জেলেদের অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। তার বিনিময়ে জেলেরা আমাগো গদিতে মাছ বিক্রি করেন। জেলেদের আহরণ করা মাছ বাজার মূল্যে বিক্রি করে তা থেকে আমরা দাদন ব্যবসায়ীরা একটা কমিশন পাই।’
মেঘনার আকাল সময় ও নদীতে অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়ে উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, রামগতি উপজেলার ১০টি গ্রামের জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে ৪০ জন জেলে পরিবারের সন্তানকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে আরও ৪০ জন জেলে পরিবারের সন্তানকে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪