মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুরে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক ফুলচৌকি মসজিদ। উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় এটি সংস্কার করে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অযত্ন আর অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল দুই শ বছরের পুরোনো এই স্থাপনা।
মসজিদটি উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকি গ্রামে অবস্থিত। রঙ্গপুর গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে প্রকাশিত রঙ্গপুরের প্রত্নসম্পদ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন খাদেম বাকের মোহাম্মদ কামাল। মসজিদের প্রবেশ পথেই রয়েছে ‘জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’ খ্যাত নূরলদীনের কবর।
মসজিদটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় রয়েছে। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে সংস্কার না করায় রং উঠে ময়লা জমে শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল এটি। অথচ এই মসজিদের প্রবেশ পথেই চিরনিন্দ্রায় শায়িত আছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা জমিদার নুর উদ্দীন মোহাম্মদ বাকের। তিনি ছিলেন দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের চাচাতো ভাই ও বোন জামাই। বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাঁর লেখায় নুর উদ্দীনকে ‘নূরলদীন’ হিসেবে পরিচিত করে তোলেন।
সম্প্রতি নূরলদীনের সমাধি ও ফুলচৌকি মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা। ইতিমধ্যে আগাছা ও শেওলা পরিষ্কার করে সাদা রং দেওয়ায় শ্রীহীন মসজিদটি হয়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন।
ইউএনও ফাতেমা বলেন, ‘আমি সৈয়দ শামসুল হকের বই পড়ে নূরলদীন সম্পর্কে জেনেছি। এ উপজেলায় যোগদান করে জানতে পারি নূরলদীনের কবর ও তাঁর নির্মাণাধীন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ ফুলচৌকি গ্রামে অবস্থিত। ওই গ্রামে গিয়ে নূরলদীনের কবর ও প্রাচীন ফুলচৌকি মসজিদ পরিদর্শন করে জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে সংস্কারের কাজ শুরু করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব।’
নূরলদীন ফুলচৌকি গ্রামে তাঁর দ্বিতীয় রাজধানী নির্মাণকালে পাটগ্রামের মোগল হাটে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এ সময় দুজন বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে আহত হন এবং কয়েক দিন পর মারা যান। তাঁর মরদেহ ফুলচৌকি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিটিশ সৈন্যরা মরদেহ মসজিদের
এত দিন অযত্ন আর অবহেলায় পড়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত যোদ্ধা নূরলদীনের কবর। ইউএনওর উদ্যোগে বর্তমানে কবরটি সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক।
মিঠাপুকুরে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক ফুলচৌকি মসজিদ। উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় এটি সংস্কার করে পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অযত্ন আর অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল দুই শ বছরের পুরোনো এই স্থাপনা।
মসজিদটি উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকি গ্রামে অবস্থিত। রঙ্গপুর গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে প্রকাশিত রঙ্গপুরের প্রত্নসম্পদ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করেন খাদেম বাকের মোহাম্মদ কামাল। মসজিদের প্রবেশ পথেই রয়েছে ‘জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’ খ্যাত নূরলদীনের কবর।
মসজিদটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় রয়েছে। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে সংস্কার না করায় রং উঠে ময়লা জমে শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল এটি। অথচ এই মসজিদের প্রবেশ পথেই চিরনিন্দ্রায় শায়িত আছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা জমিদার নুর উদ্দীন মোহাম্মদ বাকের। তিনি ছিলেন দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের চাচাতো ভাই ও বোন জামাই। বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাঁর লেখায় নুর উদ্দীনকে ‘নূরলদীন’ হিসেবে পরিচিত করে তোলেন।
সম্প্রতি নূরলদীনের সমাধি ও ফুলচৌকি মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা। ইতিমধ্যে আগাছা ও শেওলা পরিষ্কার করে সাদা রং দেওয়ায় শ্রীহীন মসজিদটি হয়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন।
ইউএনও ফাতেমা বলেন, ‘আমি সৈয়দ শামসুল হকের বই পড়ে নূরলদীন সম্পর্কে জেনেছি। এ উপজেলায় যোগদান করে জানতে পারি নূরলদীনের কবর ও তাঁর নির্মাণাধীন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ ফুলচৌকি গ্রামে অবস্থিত। ওই গ্রামে গিয়ে নূরলদীনের কবর ও প্রাচীন ফুলচৌকি মসজিদ পরিদর্শন করে জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে সংস্কারের কাজ শুরু করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব।’
নূরলদীন ফুলচৌকি গ্রামে তাঁর দ্বিতীয় রাজধানী নির্মাণকালে পাটগ্রামের মোগল হাটে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এ সময় দুজন বিশ্বাসঘাতকের চক্রান্তে আহত হন এবং কয়েক দিন পর মারা যান। তাঁর মরদেহ ফুলচৌকি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিটিশ সৈন্যরা মরদেহ মসজিদের
এত দিন অযত্ন আর অবহেলায় পড়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত যোদ্ধা নূরলদীনের কবর। ইউএনওর উদ্যোগে বর্তমানে কবরটি সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪