বেশি দূরে যেতে হয় না, এই তো সর্বশেষ যে বিয়ের তত্ত্ব সাজিয়েছেন, সেদিনকার কথাই মনে করুন না। গায়েহলুদের ডালায় যত্ন করে আলতার বোতলটি রাখতে ভোলেননি মোটেই। আবার পূজার আগমনীতে শখ করে হলেও দু-একটা আলতা কেনা হয় বটে। কাচের বোতলের টুকটুকে লাল এই রং যেন বাঙালি সাজের পরিপূর্ণতার কথাই বলে।
সেই আদিকালেও মা, বোন বা বাড়ির বউয়ের সাজ বাক্সে কাজল, টিপ, সুরমাদানি আর কারুকার্যময় কিছু গয়না তো থাকতই। সেই সঙ্গে আলমারির ঠিক ওপরে এক কোনায় রাখা থাকত এই আলতা।
পয়লা বৈশাখ, পূজা, উৎসব বা যেকোনো শুভদিনে সাজের শেষ ভাগে পায়ের পাতা রাঙানো হতো আলতা দিয়ে। বোতল থেকে বাটিতে আলতা ঢেলে নিয়ে কাঠির সঙ্গে প্যাঁচানো তুলা তাতে আলতো করে ডুবিয়ে তারপরই রেখা টানা হতো পায়ে।
একাল হোক বা সেকালই হোক, বাঙালি নারীর সাজের উপকরণের মধ্য়ে আলতার উপস্থিতি ছিল, আছে। ঘুরেফিরে বিশেষ দিনগুলোর সাজে নারীরা আলতাকে আবারও আপন করে নিয়েছেন। শাড়ির কুঁচির নিচে আলতারাঙা দুই পা যেন পরিপূর্ণ করে উৎসবের সাজকে।
আবেদন ফুরায়নি
বর্তমানে কাচ ও প্লাস্টিকের বোতলে আলতা পাওয়া যায়। কোনো কোনো বোতলের সঙ্গে স্পঞ্জ সংযুক্ত থাকে, যাতে আলাদা করে না ঢেলে কেবল বোতল উপুড় করেই পায়ে আলতা পরা যায়। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, বৈদিক যুগে যখন আলতা পরার প্রচলন শুরু হয়, তখন পানপাতার রসের সঙ্গে, চুনাপাথরের গুঁড়ো ও সিঁদুর একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ের পাতা ও হাতের তালুতে ব্যবহার করা হতো। পুরাণের অন্দরে প্রবেশ করলেও দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রেমময়ীর হাত পানপাতার রস দিয়ে রাঙিয়েছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের আঁকা প্রাচীন ছবিগুলোতেও দেখা মেলে নারীর হাতের তালু ও পায়ের পাতায় আলতার লাল রং।
ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক বা সামাজিক, আঞ্চলিক উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য় উৎসবের সাজের উপকরণে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে আলতা। এখন আধুনিক তরুণীরা সাজের উপকরণ হিসেবে আলতাকে যত্ন করে রাখছেন নিজের কাছে। শাড়ির সঙ্গে হাতে ও পায়ে পরছেন সেটি। অনেকে আলতার রেখার ধার ঘেঁষে সাদা ফেব্রিক কালার বা কুমকুম দিয়ে আলপনার নকশাও করেন। মোটকথা, এতকাল পরে এসেও আলতার আবেদন ফুরোয়নি।
আলতায় রাঙাতে
আলতার রং তুলতে
আলতার রং হাত ও পায়ের ত্বক থেকে সহজে ওঠে না। উঠলেও লালচে ভাব কয়েক দিন থেকেই যায়। দিন শেষে পায়ে লাগানো আলতা তুলতে কুসুম গরম পানিতে সামান্য শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আলতা তুলে নিন।
কেনাকাটা ও দরদাম
নিউমার্কেট, মৌচাক, গাউছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের যেকোনো শপিং মল, সুপার মার্কেট, ছোট-বড় কসমেটিকের দোকান, মন্দিরের আশপাশের দোকানে আলতা কিনতে পাওয়া যায়। এসব আলতার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্য়ে।
বেশি দূরে যেতে হয় না, এই তো সর্বশেষ যে বিয়ের তত্ত্ব সাজিয়েছেন, সেদিনকার কথাই মনে করুন না। গায়েহলুদের ডালায় যত্ন করে আলতার বোতলটি রাখতে ভোলেননি মোটেই। আবার পূজার আগমনীতে শখ করে হলেও দু-একটা আলতা কেনা হয় বটে। কাচের বোতলের টুকটুকে লাল এই রং যেন বাঙালি সাজের পরিপূর্ণতার কথাই বলে।
সেই আদিকালেও মা, বোন বা বাড়ির বউয়ের সাজ বাক্সে কাজল, টিপ, সুরমাদানি আর কারুকার্যময় কিছু গয়না তো থাকতই। সেই সঙ্গে আলমারির ঠিক ওপরে এক কোনায় রাখা থাকত এই আলতা।
পয়লা বৈশাখ, পূজা, উৎসব বা যেকোনো শুভদিনে সাজের শেষ ভাগে পায়ের পাতা রাঙানো হতো আলতা দিয়ে। বোতল থেকে বাটিতে আলতা ঢেলে নিয়ে কাঠির সঙ্গে প্যাঁচানো তুলা তাতে আলতো করে ডুবিয়ে তারপরই রেখা টানা হতো পায়ে।
একাল হোক বা সেকালই হোক, বাঙালি নারীর সাজের উপকরণের মধ্য়ে আলতার উপস্থিতি ছিল, আছে। ঘুরেফিরে বিশেষ দিনগুলোর সাজে নারীরা আলতাকে আবারও আপন করে নিয়েছেন। শাড়ির কুঁচির নিচে আলতারাঙা দুই পা যেন পরিপূর্ণ করে উৎসবের সাজকে।
আবেদন ফুরায়নি
বর্তমানে কাচ ও প্লাস্টিকের বোতলে আলতা পাওয়া যায়। কোনো কোনো বোতলের সঙ্গে স্পঞ্জ সংযুক্ত থাকে, যাতে আলাদা করে না ঢেলে কেবল বোতল উপুড় করেই পায়ে আলতা পরা যায়। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, বৈদিক যুগে যখন আলতা পরার প্রচলন শুরু হয়, তখন পানপাতার রসের সঙ্গে, চুনাপাথরের গুঁড়ো ও সিঁদুর একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ের পাতা ও হাতের তালুতে ব্যবহার করা হতো। পুরাণের অন্দরে প্রবেশ করলেও দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রেমময়ীর হাত পানপাতার রস দিয়ে রাঙিয়েছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের আঁকা প্রাচীন ছবিগুলোতেও দেখা মেলে নারীর হাতের তালু ও পায়ের পাতায় আলতার লাল রং।
ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে বিয়েসহ বিভিন্ন পারিবারিক বা সামাজিক, আঞ্চলিক উৎসব এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্য় উৎসবের সাজের উপকরণে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠে আলতা। এখন আধুনিক তরুণীরা সাজের উপকরণ হিসেবে আলতাকে যত্ন করে রাখছেন নিজের কাছে। শাড়ির সঙ্গে হাতে ও পায়ে পরছেন সেটি। অনেকে আলতার রেখার ধার ঘেঁষে সাদা ফেব্রিক কালার বা কুমকুম দিয়ে আলপনার নকশাও করেন। মোটকথা, এতকাল পরে এসেও আলতার আবেদন ফুরোয়নি।
আলতায় রাঙাতে
আলতার রং তুলতে
আলতার রং হাত ও পায়ের ত্বক থেকে সহজে ওঠে না। উঠলেও লালচে ভাব কয়েক দিন থেকেই যায়। দিন শেষে পায়ে লাগানো আলতা তুলতে কুসুম গরম পানিতে সামান্য শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আলতা তুলে নিন।
কেনাকাটা ও দরদাম
নিউমার্কেট, মৌচাক, গাউছিয়া, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের যেকোনো শপিং মল, সুপার মার্কেট, ছোট-বড় কসমেটিকের দোকান, মন্দিরের আশপাশের দোকানে আলতা কিনতে পাওয়া যায়। এসব আলতার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্য়ে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫