সম্পাদকীয়
আসামের মানুষ। আসামের লোকজগানগুলো খুব প্রিয় ছিল তাঁর। আসামেই পড়াশোনা, এরপর বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি।
গান তো ছিল প্রাণেই। তবে মোহিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে পল রোবসনের কথা শুনে। আর তাঁকে দেখার পর একেবারে তাঁর ভক্ত হয়ে যান ভূপেন। রোবসন রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখের শূল ছিলেন। হলিউড থেকেও তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। স্টেজ শো পেলে সেগুলো যেন না হতে পারে, তার সব ধরনের চেষ্টা করেছে সরকার। রেকর্ডিং কোম্পানিগুলো বলেছে, ‘সরি, তোমার গান রেকর্ড করতে পারব না।’ এ রকম নাজেহাল অবস্থায় তিনি এসেছিলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে শোনান তাঁর ‘ওল’ ম্যান রিভার, হি ডোন্ট সে নাথিন’ গানটি। এই গানের সুরের ওপরই ভূপেন বসিয়েছিলেন তাঁর অসাধারণ ‘বিস্তীর্ণ দুপারের অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনেও...’ গানটির শব্দগুলো।
পল রোবসন ছাড়া পিট সিগারেরও অনুরক্ত ছিলেন ভূপেন। বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ভূপেন। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে দাঙ্গাবিধ্বস্ত আসামে বিপ্লবী সংস্কৃতি সংগঠকদের সঙ্গে সারা আসাম ঘুরে গান করেছেন, দাঙ্গাবিরোধী গান করে দাঙ্গা থামিয়েছেন। এ ছাড়া প্রগতিশীল সংস্কৃতিসেবী জ্যোতিপ্রসাদ আগারওয়াল, আব্বাসউদ্দীন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখের ছিলেন সহযাত্রী। জীবনের শেষ প্রান্তে বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। পরে ভুলটাও স্বীকার করেছিলেন। তিনি মূলত মানবতাবাদী একজন শিল্পী হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন। ‘জীবনতৃষ্ণা’ ছবিতে ভূপেন একটি অসমিয়া ছবির বিখ্যাত গান ‘সাগর সঙ্গমে কত না হাতিরুনু’ গানটি ব্যবহার করেছিলেন। বাংলায় ‘সাগর সঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত’ গানটি লিখেছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছিল গানটি গাইছেন উত্তমকুমার। গানটি গেয়েছিলেন ভূপেন হাজারিকা। ওটাই ছিল অসমিয়া থেকে বাংলায় রূপান্তরিত প্রথম গান।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গেয়েছিলেন ‘জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ,/ জয় জয় মুক্তিবাহিনী/ ভারতীয় সৈন্যের সাথে রচিলে/ মৈত্রীর কাহিনি।’ ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর তিনি মারা যান।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ভূপেন হাজারিকার অজানা ১০
আসামের মানুষ। আসামের লোকজগানগুলো খুব প্রিয় ছিল তাঁর। আসামেই পড়াশোনা, এরপর বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি।
গান তো ছিল প্রাণেই। তবে মোহিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে পল রোবসনের কথা শুনে। আর তাঁকে দেখার পর একেবারে তাঁর ভক্ত হয়ে যান ভূপেন। রোবসন রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখের শূল ছিলেন। হলিউড থেকেও তাঁকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। স্টেজ শো পেলে সেগুলো যেন না হতে পারে, তার সব ধরনের চেষ্টা করেছে সরকার। রেকর্ডিং কোম্পানিগুলো বলেছে, ‘সরি, তোমার গান রেকর্ড করতে পারব না।’ এ রকম নাজেহাল অবস্থায় তিনি এসেছিলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে শোনান তাঁর ‘ওল’ ম্যান রিভার, হি ডোন্ট সে নাথিন’ গানটি। এই গানের সুরের ওপরই ভূপেন বসিয়েছিলেন তাঁর অসাধারণ ‘বিস্তীর্ণ দুপারের অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনেও...’ গানটির শব্দগুলো।
পল রোবসন ছাড়া পিট সিগারেরও অনুরক্ত ছিলেন ভূপেন। বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ভূপেন। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে দাঙ্গাবিধ্বস্ত আসামে বিপ্লবী সংস্কৃতি সংগঠকদের সঙ্গে সারা আসাম ঘুরে গান করেছেন, দাঙ্গাবিরোধী গান করে দাঙ্গা থামিয়েছেন। এ ছাড়া প্রগতিশীল সংস্কৃতিসেবী জ্যোতিপ্রসাদ আগারওয়াল, আব্বাসউদ্দীন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখের ছিলেন সহযাত্রী। জীবনের শেষ প্রান্তে বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। পরে ভুলটাও স্বীকার করেছিলেন। তিনি মূলত মানবতাবাদী একজন শিল্পী হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন। ‘জীবনতৃষ্ণা’ ছবিতে ভূপেন একটি অসমিয়া ছবির বিখ্যাত গান ‘সাগর সঙ্গমে কত না হাতিরুনু’ গানটি ব্যবহার করেছিলেন। বাংলায় ‘সাগর সঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত’ গানটি লিখেছিলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছিল গানটি গাইছেন উত্তমকুমার। গানটি গেয়েছিলেন ভূপেন হাজারিকা। ওটাই ছিল অসমিয়া থেকে বাংলায় রূপান্তরিত প্রথম গান।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গেয়েছিলেন ‘জয় জয় নবজাত বাংলাদেশ,/ জয় জয় মুক্তিবাহিনী/ ভারতীয় সৈন্যের সাথে রচিলে/ মৈত্রীর কাহিনি।’ ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর তিনি মারা যান।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ভূপেন হাজারিকার অজানা ১০
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪