Ajker Patrika

ভাড়া ঘরে ৪৫ বছর এখন নেই কর্মকর্তা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
ভাড়া ঘরে ৪৫ বছর এখন নেই কর্মকর্তা

উপজেলা পর্যায়ে সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় উৎস সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের দলিল সম্পাদন কার্যক্রম; কিন্তু রংপুরের মিঠাপুকুরে এ কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ফলে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় সাবরেজিস্ট্রারের নিজস্ব কার্যালয় নেই। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে একটি ভাড়া ঘরে চলছে জমির দলিল তৈরি। এ ছাড়া এক মাস ধরে সাবরেজিস্ট্রারের পদটি শূন্য থাকায় প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, জমির দলিল করার জন্য সরকারকে নিবন্ধন ও অন্যান্য ফি দিতে হয়। আইন অনুযায়ী জমি কেনাবেচার সময় দলিলে উল্লিখিত টাকার ১ শতাংশ নিবন্ধন ফি, দেড় শতাংশ স্ট্যাম্প শুল্ক ফি ও ৩ শতাংশ স্থানীয় সরকার ফি দিতে হয়। এই হিসাবমতে, রংপুরের সবচেয়ে বড় উপজেলা মিঠাপুকুরের সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে।

বর্তমানে উপজেলায় এক মাস ধরে সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি জমি কেনাবেচা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

জমি কিনতে চাওয়া উপজেলার লতিফপুর গ্রামের মমিনুল মণ্ডল বলেন, তিনি তিন দিন ধরে ঘুরছেন; কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় দলিল করতে পারছেন না। 
জমি বিক্রি করতে যাওয়া মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম বলেন, জমি বিক্রি করে গরুর খামার দেবেন; কিন্তু দলিল করে দেওয়ার জন্য দুদিন গিয়ে ঘুরে এসেছেন।
এদিকে সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় থমকে যাওয়ায় সেখানে গড়ে ওঠা খাবার, কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানের রোজগার কমে গেছে। খাবার দোকানের মালিক বাদশা মিয়া বলেন, বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে, লোকসান দিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম  বলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারকে মিঠাপুকুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন দলিল সম্পাদনের কাজ চলছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে এই উপজেলায় একজন সাবরেজিস্ট্রার চেয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে সংসদ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিঠাপুকুর আয়তন ও লোকসংখ্যার দিক দিয়ে একটি বড় উপজেলা অথচ এখানে সাবরেজিস্ট্রারের নিজস্ব কার্যালয় নেই। কার্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও একজন দক্ষ সাবরেজিস্ট্রার আনার চেষ্টা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত