তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সরকারের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীর ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে প্রথম হয়েছেন সাতক্ষীরার তালার শামসুন নাহার। গত বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে এ অর্জনের জন্য সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী প্রফেসর শামসুন নাহার তালা সদর ইউনিয়নের জাতপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমান মোড়লের কন্যা। তিনি খুলনা বিএল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ‘তালার শামসুন নাহার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। এটি তালার নারীদের জন্য দারুণ এক অনুপ্রেরণা। এ জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অধ্যক্ষের পদ থেকে কর্মজীবন শেষ করলেও এখনো তিনি নারীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন, জেলা, বিভাগের শ্রেষ্ঠত্বের পর এবার তিনি লড়বেন জাতীয় পর্যায়ে।
এ বিষয়ে শামসুন নাহার বলেন, তৎকালীনর ৫০ ও ৬০ দশকের সময়ে গ্রামীণ অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, আর্থসামাজিক অবস্থা ছিল নাজুক। ২-৪টি পরিবার ব্যতীত গ্রামের প্রায় সকলের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। গ্রামে কোনো বিদ্যুৎ ছিল না, যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অনুন্নত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা ছিল অনগ্রসর। প্রচলিত ছিল বাল্য বিবাহ, পর্দা প্রথা ছিল সক্রিয়। নারীদের প্রতি গ্রামীণ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রক্ষণশীল।
তিনি আরও জানান, অল্প বয়সে দেখা তাঁর বড় বোনের প্রতি অবিচার, গ্রামের অন্যান্য নারীর প্রতি বৈষম্য, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা তাঁকে আহত ও সর্বদা তাড়িত করে। যা ওই সময়ের সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাঁকে লেখাপড়া করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। শুরু হয় নিজের মধ্যে এক ধরনের নীরব লড়াই এবং লেখাপড়া করার জেদ। নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে তিনি লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮১ সালে তালা কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে তিনি শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে প্রথম হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সরকারের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীর ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে প্রথম হয়েছেন সাতক্ষীরার তালার শামসুন নাহার। গত বুধবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে এ অর্জনের জন্য সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী প্রফেসর শামসুন নাহার তালা সদর ইউনিয়নের জাতপুর গ্রামের মৃত সামছুর রহমান মোড়লের কন্যা। তিনি খুলনা বিএল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ‘তালার শামসুন নাহার খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। এটি তালার নারীদের জন্য দারুণ এক অনুপ্রেরণা। এ জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অধ্যক্ষের পদ থেকে কর্মজীবন শেষ করলেও এখনো তিনি নারীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন, জেলা, বিভাগের শ্রেষ্ঠত্বের পর এবার তিনি লড়বেন জাতীয় পর্যায়ে।
এ বিষয়ে শামসুন নাহার বলেন, তৎকালীনর ৫০ ও ৬০ দশকের সময়ে গ্রামীণ অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, আর্থসামাজিক অবস্থা ছিল নাজুক। ২-৪টি পরিবার ব্যতীত গ্রামের প্রায় সকলের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। গ্রামে কোনো বিদ্যুৎ ছিল না, যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অনুন্নত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা ছিল অনগ্রসর। প্রচলিত ছিল বাল্য বিবাহ, পর্দা প্রথা ছিল সক্রিয়। নারীদের প্রতি গ্রামীণ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রক্ষণশীল।
তিনি আরও জানান, অল্প বয়সে দেখা তাঁর বড় বোনের প্রতি অবিচার, গ্রামের অন্যান্য নারীর প্রতি বৈষম্য, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা তাঁকে আহত ও সর্বদা তাড়িত করে। যা ওই সময়ের সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তাঁকে লেখাপড়া করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। শুরু হয় নিজের মধ্যে এক ধরনের নীরব লড়াই এবং লেখাপড়া করার জেদ। নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে তিনি লেখাপড়া শেষ করে ১৯৮১ সালে তালা কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে তিনি শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে খুলনা বিভাগে প্রথম হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪