Ajker Patrika

দাম কম, লোকসানে পান চাষিরা

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ০২
দাম কম, লোকসানে পান চাষিরা

দাম কমের কারণে লোকসানে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পান চাষিরা। গত এক মাসে পানের বিড়ায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। আগে এক বিড়া (৭২টি) পান দাম ১২০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে সেই পান বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়।

গত শনিবার সকালে পানের পাইকারি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, চাষিরা সারিবদ্ধভাবে পান বিক্রি করছেন। ছোট-বড় আকারের পান বিক্রি হয় এ হাটে। বিভিন্ন এলাকা থেকে রিকশা, ভ্যান, নছিমনযোগে চাষিরা পান নিয়ে আসছেন। পাইকাররা নিজেদের পছন্দনীয় দামে পান কিনছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে চরফ্যাশন উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। বিশেষ করে নীলকমল, ওসমানগঞ্জ, এওয়াজপুর ইউনিয়নে পান চাষ বেশি হয়। এ উপজেলায় ১ হাজার ১২৫ জন পান চাষি রয়েছে। উৎপাদন ভালো হলে পনের বরজের প্রতি শতাংশে ১ হাজার টাকা লাভ হয়।

স্থানীয় পান চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি একর জমির পানের বরজে মাটির আইল, বেড়া, ছাউনি, শ্রমিক, পানের লতাসহ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রাথমিক অবস্থায় খরচ হয়। পরের বছর থেকে খরচ খুবই সামান্য হয়। কারণ একটি পানের বরজ তৈরি করার পর মাটির আইল, বেড়া, ছাউনি সংস্কার ছাড়া ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত পানের বরজ অক্ষুণ্ন থাকে। চর যমুনা এলাকার পান চাষি কানাই তেলি বলেন, গত মাসে প্রতি বিড়া পান বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। অথচ সে পানের দাম এখন মাত্র ৭০ থেকে ৯০ টাকা। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পানের এমন দরপতনের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন জানান, ‘বর্ষা মৌসুমে পানের উৎপাদন বেশি হয়। তাই অন্য মৌসুমের তুলনায় পানের দাম কম। তাছাড়া এ উপজেলায় স্থানীয় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হয়। এক্ষেত্রে যেসব উপজেলায় কিংবা জেলা শহরে পানের সংকট রয়েছে সেখানে বাজারজাত করা উচিত। তাহলে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত