নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে তিস্তার পানি। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩১ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তার পানিতে উপজেলার নদীর তীরবর্তী ৬ ইউনিয়নের ১৫টি চরে পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার পরিবার। এ ছাড়া ফসলি জমি, গবাদিপশুসহ ঘরবাড়ির দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পানিবন্দী পরিবারগুলো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে ওপার থেকে ঘোলা পানি আসছে। এখনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সন্ধ্যার পর থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশপুকুর, ঝুনাগাছ চাঁপানীর ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া ও ভেন্ডাবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বেড়িবাঁধে পানি বাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানিবন্দী পরিবারগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। প্রায় ১০টি চর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধে। পানি বাড়ার ফলে ওই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
কিছামত চরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। চরের মানুষের চোখে ঘুম নেই। বসতভিটে, গবাদিপশু ও ফসলের খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এর আগে তিস্তার গ্রাসে আটবার তাঁর বাড়ি ভেঙেছে বলে জানান তিনি। শুধু আরিফ নন, ওই এলাকার মজিদ, ইব্রাহিম, আয়নালসহ অনেকেই জানান নির্ঘুম রাত কাটানোর অভিজ্ঞতার কথা।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া সুমি আক্তার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। পানির শো শো শব্দে ঘুম ভেঙে জেগে দেখি ঘরের মেঝেতে কোমর পানি, আঙিনায় বুক বরাবর। ছয় মাস বয়সী শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে কোনো রকমে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। সেই ভয়ে এখনো ঘুমাতে পারছি না।’
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত বন্যায় আমার ভিটেমাটি-বাড়িঘর বিলীন হয়েছে তিস্তার করাল গ্রাসে। পানি যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই আমার বুকের কাঁপুনি বাড়ছে।’
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আমার ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী ছিল। এখনো ১৫০টি পরিবার পানিবন্দী আছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করে চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’
নীলফামারীর ডিমলায় পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে তিস্তার পানি। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩১ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তার পানিতে উপজেলার নদীর তীরবর্তী ৬ ইউনিয়নের ১৫টি চরে পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার পরিবার। এ ছাড়া ফসলি জমি, গবাদিপশুসহ ঘরবাড়ির দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পানিবন্দী পরিবারগুলো।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে ওপার থেকে ঘোলা পানি আসছে। এখনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সন্ধ্যার পর থেকে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশপুকুর, ঝুনাগাছ চাঁপানীর ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া ও ভেন্ডাবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট বেড়িবাঁধে পানি বাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে পানিবন্দী পরিবারগুলো নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। প্রায় ১০টি চর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বেড়িবাঁধে। পানি বাড়ার ফলে ওই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট।
কিছামত চরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। চরের মানুষের চোখে ঘুম নেই। বসতভিটে, গবাদিপশু ও ফসলের খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এর আগে তিস্তার গ্রাসে আটবার তাঁর বাড়ি ভেঙেছে বলে জানান তিনি। শুধু আরিফ নন, ওই এলাকার মজিদ, ইব্রাহিম, আয়নালসহ অনেকেই জানান নির্ঘুম রাত কাটানোর অভিজ্ঞতার কথা।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেওয়া সুমি আক্তার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। পানির শো শো শব্দে ঘুম ভেঙে জেগে দেখি ঘরের মেঝেতে কোমর পানি, আঙিনায় বুক বরাবর। ছয় মাস বয়সী শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে কোনো রকমে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। সেই ভয়ে এখনো ঘুমাতে পারছি না।’
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গত বন্যায় আমার ভিটেমাটি-বাড়িঘর বিলীন হয়েছে তিস্তার করাল গ্রাসে। পানি যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই আমার বুকের কাঁপুনি বাড়ছে।’
টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ‘উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে আমার ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী ছিল। এখনো ১৫০টি পরিবার পানিবন্দী আছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করে চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪