Ajker Patrika

শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

মনিরামপুর প্রতি­নিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৬: ২৪
Thumbnail image

মনিরামপুরে কোচিং সেন্টারে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক প্রদীপ পাইনের বিরুদ্ধে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন।

এর আগে গত শনিবার দুপুরে প্রদীপ পাইনকে নিজের কর্মস্থল ঢাকুরিয়া প্রতাপকটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যালয় কক্ষ থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার দুপুরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হলেও বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত তিনি র‍্যাবের হেফাজতে ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে শনিবারের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা বর্জন করলেও রোববারের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নিয়েছে ঢাকুরিয়া প্রতাপকটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলাকালীন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্কুল চত্বরে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

স্কুলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মনিরামপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আগে আমরা স্কুলে পৌঁছেছি। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি।’

জানা গেছে, ঢাকুরিয়া প্রতাপকটী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার ১০৪ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এদের অধিকাংশ প্রদীপ পাইনের কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী। যাদের ভুল বুঝিয়েছিল প্রদীপ পাইন। ফলে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা বর্জন করে তারা প্রদীপ পাইনের পক্ষে স্কুলে বিক্ষোভ করেছিল।

মামলার বাদী জানান, ঢাকুরিয়া প্রতাপকটী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক প্রদীপ পাইনের ঢাকুরিয়া বাজারে ‘সাগর কোচিং সেন্টার’ নামের একটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে তিনি গণিত ও বিজ্ঞান পড়ান। তাঁর (বাদীর) মেয়ে ওই সেন্টারের শিক্ষার্থী। গত ২০ এপ্রিল বিকেলে কোচিং সেন্টারে পড়তে গেলে একা পেয়ে প্রদীপ পাইন বাদীর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানি করেন।

বাদী বলেন, বিষয়টি ২২ এপ্রিল স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক প্রদীপ পাইনকে ১ মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কমিটি প্রদীপের কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেন।

এ দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের সামনে ভুলভাবে উপস্থাপন করে তাদের উসকে দেন প্রদীপ পাইন। পরে শিক্ষার্থীরা শনিবার পরীক্ষা বাদ দিয়ে প্রদীপের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এ সময় তারা স্কুলে ভাঙচুর চালায়।

অপরদিকে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা বাদ দিয়ে শনিবার সকাল থেকে প্রদীপ পাইনের পক্ষে স্কুলে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে দুপুরে র‍্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা স্কুলে হাজির হয়। পরে তাঁরা প্রদীপকে হেফাজতে নেয়।

ছাত্রীর বাবা বলেন, র‍্যাব প্রদীপকে ধরে নেওয়ার পর শনিবার দুপুরে মামলা করতে আমি থানায় যাই। পুলিশ মামলা না নিয়ে অভিযোগ নেয়। পরে রোববার দুপুরে মামলা নেয় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক রোববার বিকেলে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত