Ajker Patrika

যখন নামাজ পড়া নিষেধ

মুফতি আবু দারদা
যখন নামাজ পড়া নিষেধ

দিনের কিছু বিশেষ সময়ে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। এই সময়গুলোতে সব ধরনের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। আবার কিছু সময়ে নামাজ পড়া অনুচিত।

এখানে উভয় প্রকারের সময়ের আলোচনা করা হলো।

নামাজের নিষিদ্ধ সময় তিনটি। এক. সূর্যোদয়ের সময়—সূর্য পুরোপুরি উদিত হওয়া পর্যন্ত। (বুখারি: ১৫২৩)। দুই. সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময়—পশ্চিম দিকে ঢলে পড়া পর্যন্ত। (মুসলিম: ১৩৭৩) তিন. সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে, তখন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে ওই দিনের আসরের নামাজ সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত আদায় করতে পারবে। (বুখারি: ৫৪৫)

তবে এই তিন সময়ে কারও মৃতদেহ জানাজার জন্য আনা হলে জানাজার নামাজ পড়া যাবে। তবে তা-ও অনুচিত। একইভাবে এ সময় সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করলে সিজদাও আদায় করতে পারবে। (তিরমিজি: ১৫৬; বুখারি: ১২৩১; মুসলিম: ১৩৭৩)

যেসব মুহূর্তে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ, তা হলো—এক. ফজরের সময় হওয়ার পর ফরজ নামাজ পড়ার আগে দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া অতিরিক্ত নফল পড়া মাকরুহ।

(মুসলিম: ১১৮৫)। দুই. ফজরের ফরজ নামাজের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত। (বুখারি: ৫৫১)। তিন. আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি: ৫৫১)। চার. ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম: ১১৬০)। পাঁচ. ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে কোনো নামাজ পড়া মাকরুহ। আর ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ: ১২৮৩)। ছয়. পেটে ক্ষুধা নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম: ৮৬৯)। সাত. প্রস্রাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ। (মুসলিম: ৮৬৯)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত