Ajker Patrika

ত্রিশালে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ফসল নষ্টের শঙ্কা

ত্রিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৪: ১৮
Thumbnail image

ত্রিশালে এখনো প্রায় অর্ধেক জমির ধান কাটা বাকি। যেসব জমির ধান কাটা হয়েছে, তা-ও ঘরে তুলতে পারেননি অনেক কৃষক। এই অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উপজেলা টানা বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী প্রায় ১০ দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব কৃষক।

জানা যায়, খেতে পাকা ধান থাকলেও শ্রমিক সংকটে পড়ে এখনো ধান কাটা হয়নি অনেকের। অনেকে আবার মাড়াই করা সিদ্ধ ধান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এসব সিদ্ধ ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের কপালে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকেরা রবি ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ফসলের মাঠগুলোতে বিভিন্ন শাকসবজি রয়েছে। টানা মুষলধারে বৃষ্টি হলে এই ফসলগুলোরও ক্ষতি হবে।

মঠবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার অর্ধেক জমির ধান কাটতে পেরেছি। শ্রমিক সংকটে পাকা ধান খেতে থাকলেও সব কাটা সম্ভব হয়নি। জন প্রতি ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শুনতেছি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশ কয়েক দিন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত থাকবে। তাই বাকি ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি।

অলহরী দুর্গাপুর গ্রামের সেলিম মাহমুদ বলেন, ধান মাড়িয়ে রোদ দেখে সেদ্ধ করেছিলাম। সেদ্ধ করার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এখন বিপাকে পড়েছি। এখন প্রায় ১০ মণ ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বেলা না উঠলে আমার সব ধান নষ্ট হবে।

ধানীখোলার কৃষক সুমন মিয়া জানান, তাঁর ধান মাড়ানো শেষ হলেও এখনো খড় শুকানো শেষ হয়নি। বৃষ্টিতে খড় নষ্ট হলে গোখাদ্যের অভাব দেখা দেবে। তাঁর একটি গরুর খামার রয়েছে বলেও জানান।

এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের এজিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, অতিমাত্রায় বৃষ্টি না হলে রবি ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে বৃষ্টিপাত যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। এতে ধান মাড়াই ব্যাহত হবে এবং ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণও বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত