Ajker Patrika

নেশার টাকা ফেরত চেয়ে বন্ধুর হাতে খুন হয় রুবেল

জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি
নেশার টাকা ফেরত চেয়ে বন্ধুর হাতে খুন হয় রুবেল

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দশম শ্রেণির ছাত্র রুবেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একমাত্র আসামিকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গতকাল বুধবার সকালে তাকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদের নয়াপাড়া  থেকে আটক করা হয়। রুবেলকে নেশার টাকার জন্যই হত্যা করেছে বলে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ওই কিশোর জানিয়েছে।

 গতকাল দুপুরে জামালপুরে র‍্যাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সে কিশোর অপরাধী হওয়ায় মিডিয়ার সামনে তাকে নিয়ে আসা হয়নি।

র‍্যাব কমান্ডার বলেন, নিহত রুবেল এবং হত্যাকারী একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা গাঁজা সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রতিদিন তারা গাঁজা সেবন করত। ২ জুন দুপুরে গাঁজা কেনার জন্য রুবেলকে ৬৫ টাকা দেয় আটক ওই কিশোর। রাতে দুজন মিলে গাঁজা সেবন করে।

এর পর রুবেলের কাছে তার দেওয়া ৬৫ টাকা ফেরত চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রুবেলকে মারপিট করা হয়। এ সময় রুবেল কিছুটা আহত হয়। পরে বাঁশ দিয়ে রুবেলের মাথায় আঘাত করে আটক কিশোর। একপর্যায়ে রুবেলের গলায় হাঁটু দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপরেও রুবেলের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় নদীর পানিতে তার মাথা চেপে ধরে। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হলে লাশ নদে ফেলে দেয়।

এর পর অটোরিকশায় চড়ে বাড়িতে আসার সময় আটক কিশোর মোবাইল ফোনটি নদীতে ফেলে দেয়। বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। পরের দিন রুবেলের অংশ নেয়। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। রুবেলের মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন করতে জামালপুর র‍্যাবের কমান্ডার আশিক উজ্জামানের নির্দেশে একটি গোয়েন্দাদল মাঠে নামে।

র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রুবেল হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়। রুবেলের বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ গ্রামে। রুবেলের মামা এরশাদ হোসেন বলেন, রুবেল গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। রাতে ছেলের খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে রুবেলের বাবা দেওয়ানগঞ্জ থানায়  অভিযোগ করেন। পুলিশ শনিবার তার বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

শনিবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ দেখে এলাকাবাসী বকশীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে রুবেলের লাশ শনাক্ত করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত রুবেলের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শক্রতা ছিল না।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, মেরুরচরে ব্রহ্মপুত্র নদে লাশের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের পর তার পরিচয় মেলে। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা করে। আটক কিশোরকে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেছে র‍্যাব। এই ঘটনায় কিশোর অপরাধ আইনে মামলা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত