খান রফিক, বরিশাল
আষাঢ়-শ্রাবণ শেষ। মধ্য-ভাদ্রেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলছে না বরিশালে। বছরের এই সময়ে বরিশালে গত তিন বছরের মধ্যে চলতি বছর বৃষ্টি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া না পাওয়ায় এবং সাগর মোহনায় মিঠাপানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশের বিচরণ। ফলে এবার ভরা মৌসুমেও বরিশালে রুপালি ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে ইলিশের প্রজনন এবং উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ অঞ্চলের সাগর মোহনা বিশেষ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, বিষখালীতে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এতে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ইলিশ বাড়ত। ইলিশের চলাচলে মেঘলা আকাশ, স্রোত, আকাশের গর্জন দরকার। এটা কম হলে মাছের প্রজননেও প্রভাব পড়ে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাইতে বরিশালে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩১২ মিলিমিটার। পরের বছর ২০২১ সালের জুলাইতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ মিলিমিটার। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইতে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৯৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জুলাইতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় অর্ধেক। একইভাবে এ বছর আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৩ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এটা ছিল ১৭৮ মিলিমিটার।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আ. কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কম বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরের অপেক্ষায় বৃষ্টিপাতের এ পার্থক্য বেশি। এ মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কালাবদর নদীতে মাছ ধরেন বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে রিয়াজ হোসেন ও আ. সালাম। তাঁরা জানান, এই ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ নেই। বৃষ্টি না থাকায় গরমে নদীতে বেশিক্ষণ থাকাও যায় না।
শায়েস্তাবাদের কীর্তনখোলা নদীর জেলে আ. জলিল জানান, পানিতে স্রোত না থাকায় মাছের দেখা মিলছে না।
জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় অবশ্যই এ অঞ্চলের মৎস্য সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বৃষ্টি না থাকায় এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছ বিশেষ করে ইলিশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই ধরনের মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বিমল চন্দ্র আরও বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগর থেকে নদীতে মাইগ্রেশন করে আসার কথা, কিন্তু আসছে না। আগুনমুখা, তেঁতুলিয়া ও মেঘনার সাগর মোহনায় চর পড়ায় ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গরমের কারণে ইলিশ সাগরের নিচের স্তরে চলে গেছে; যে কারণে সাগরের গভীরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও জালে ধরা পড়ছে না।
জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমেছে। দৃশ্যত ঋতু এখন দুটি—গ্রীষ্ম ও শীত। এই বৃষ্টি সরে গিয়ে পরে আবার যখন হবে, তখন বন্যা দেখা দেবে। এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। পানির পরিমাণ চ্যানেলে কমে যাওয়ায় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নদীতে কম আসবে।
আশরাফুল হক আরও বলেন, ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশ করতে গেলে যত ছুটতে পারবে তত বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাদ বাড়বে। কিন্তু নাব্যতা-সংকট ও বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে ইলিশ নদীতে ঢুকছে না। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ভরা এ মৌসুমেও নদীতে ইলিশের হাহাকার এটাই প্রমাণ করে।
আষাঢ়-শ্রাবণ শেষ। মধ্য-ভাদ্রেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলছে না বরিশালে। বছরের এই সময়ে বরিশালে গত তিন বছরের মধ্যে চলতি বছর বৃষ্টি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া না পাওয়ায় এবং সাগর মোহনায় মিঠাপানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশের বিচরণ। ফলে এবার ভরা মৌসুমেও বরিশালে রুপালি ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে ইলিশের প্রজনন এবং উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ অঞ্চলের সাগর মোহনা বিশেষ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, বিষখালীতে নাব্যতা-সংকট দেখা দিয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এতে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ইলিশ বাড়ত। ইলিশের চলাচলে মেঘলা আকাশ, স্রোত, আকাশের গর্জন দরকার। এটা কম হলে মাছের প্রজননেও প্রভাব পড়ে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাইতে বরিশালে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩১২ মিলিমিটার। পরের বছর ২০২১ সালের জুলাইতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ মিলিমিটার। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইতে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৯৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর জুলাইতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় অর্ধেক। একইভাবে এ বছর আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৩ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এটা ছিল ১৭৮ মিলিমিটার।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আ. কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কম বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরের অপেক্ষায় বৃষ্টিপাতের এ পার্থক্য বেশি। এ মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কালাবদর নদীতে মাছ ধরেন বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে রিয়াজ হোসেন ও আ. সালাম। তাঁরা জানান, এই ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ নেই। বৃষ্টি না থাকায় গরমে নদীতে বেশিক্ষণ থাকাও যায় না।
শায়েস্তাবাদের কীর্তনখোলা নদীর জেলে আ. জলিল জানান, পানিতে স্রোত না থাকায় মাছের দেখা মিলছে না।
জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় অবশ্যই এ অঞ্চলের মৎস্য সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বৃষ্টি না থাকায় এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছ বিশেষ করে ইলিশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই ধরনের মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বিমল চন্দ্র আরও বলেন, প্রজননের জন্য ইলিশ সাগর থেকে নদীতে মাইগ্রেশন করে আসার কথা, কিন্তু আসছে না। আগুনমুখা, তেঁতুলিয়া ও মেঘনার সাগর মোহনায় চর পড়ায় ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গরমের কারণে ইলিশ সাগরের নিচের স্তরে চলে গেছে; যে কারণে সাগরের গভীরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও জালে ধরা পড়ছে না।
জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমেছে। দৃশ্যত ঋতু এখন দুটি—গ্রীষ্ম ও শীত। এই বৃষ্টি সরে গিয়ে পরে আবার যখন হবে, তখন বন্যা দেখা দেবে। এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। পানির পরিমাণ চ্যানেলে কমে যাওয়ায় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নদীতে কম আসবে।
আশরাফুল হক আরও বলেন, ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশ করতে গেলে যত ছুটতে পারবে তত বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাদ বাড়বে। কিন্তু নাব্যতা-সংকট ও বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে ইলিশ নদীতে ঢুকছে না। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। ভরা এ মৌসুমেও নদীতে ইলিশের হাহাকার এটাই প্রমাণ করে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪