শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এ সময়ে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। খানাখন্দে ভরা সড়কে যাতায়াতে এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এদিকে এত বছরেও একটি প্রকল্প শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
২০১০ সালে খুলনা নগরের রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে শিপইয়ার্ডের সামনে দিয়ে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেয় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৩ সালের ৭ মে। মেয়াদকাল ধরা হয় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এদিকে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প আবার একনেকে অনুমোদন হয়। তখন প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। অনুমোদনের পর ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আতাউর রহমান লিমিটেড এবং অ্যান্ড মাহাবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কার্যাদেশ দেয় কেডিএ। ২০ জানুয়ারি কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি চার লেন নির্মাণ। দুই পাশে নতুন ড্রেন ও ড্রেনের ওপর পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত ফুটপাত, সড়কের মাঝখানে শূন্য দশমিক ৯২ মিটার ডিভাইডার নির্মাণ। মূল রাস্তা, ডিভাইডার, ড্রেন ও ফুটপাত মিলিয়ে সড়কটি ৬০ ফুট চওড়া হবে। নির্মাণ করা হবে ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু, একটি স্লুইসগেট ও একটি কালভার্ট। এ ছাড়া রাস্তাটি আগের চেয়ে প্রায় তিন ফুট উঁচু হবে। দুটি মনুমেন্ট স্থাপন এবং ৪২০টি বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
এদিকে রাস্তা প্রশস্তকরণের নামে দীর্ঘদিন সড়কের বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। নগরীর বান্দাবাজার, চানমারী বাজারসহ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। রূপসা সেতু হয়ে নগরে প্রবেশেরও অন্যতম মাধ্যম এটি। ভাঙাচোরার কারণে ইজিবাইকসহ অন্য যানবাহন চালকেরাও সড়কটি এড়িয়ে চলছেন।
মোটরসাইকেলে করে এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন আরাফাত হোসেন অনিক। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বড় বড় গর্তের কারণে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা জি এম মাহবুবর রহমান বলেন, বেহাল সড়কের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রকল্পের পরিচালক ও কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আরমান হোসেন বলেন, শহরের মধ্যে হওয়ায় সড়কের দুই পাশে মানুষের বসতি ছিল। এ কারণে জমি অধিগ্রহণ করতে সমস্যা হয়েছে। এর পর করোনার কারণেও কাজ বন্ধ ছিল। তবে এখন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এ সময়ে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। খানাখন্দে ভরা সড়কে যাতায়াতে এলাকাবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এদিকে এত বছরেও একটি প্রকল্প শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
২০১০ সালে খুলনা নগরের রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে শিপইয়ার্ডের সামনে দিয়ে খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেয় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। কেডিএ সূত্রে জানা গেছে, শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৩ সালের ৭ মে। মেয়াদকাল ধরা হয় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। পরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এদিকে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প আবার একনেকে অনুমোদন হয়। তখন প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। অনুমোদনের পর ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আতাউর রহমান লিমিটেড এবং অ্যান্ড মাহাবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কার্যাদেশ দেয় কেডিএ। ২০ জানুয়ারি কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি চার লেন নির্মাণ। দুই পাশে নতুন ড্রেন ও ড্রেনের ওপর পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত ফুটপাত, সড়কের মাঝখানে শূন্য দশমিক ৯২ মিটার ডিভাইডার নির্মাণ। মূল রাস্তা, ডিভাইডার, ড্রেন ও ফুটপাত মিলিয়ে সড়কটি ৬০ ফুট চওড়া হবে। নির্মাণ করা হবে ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু, একটি স্লুইসগেট ও একটি কালভার্ট। এ ছাড়া রাস্তাটি আগের চেয়ে প্রায় তিন ফুট উঁচু হবে। দুটি মনুমেন্ট স্থাপন এবং ৪২০টি বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
এদিকে রাস্তা প্রশস্তকরণের নামে দীর্ঘদিন সড়কের বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। নগরীর বান্দাবাজার, চানমারী বাজারসহ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। রূপসা সেতু হয়ে নগরে প্রবেশেরও অন্যতম মাধ্যম এটি। ভাঙাচোরার কারণে ইজিবাইকসহ অন্য যানবাহন চালকেরাও সড়কটি এড়িয়ে চলছেন।
মোটরসাইকেলে করে এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করেন আরাফাত হোসেন অনিক। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বড় বড় গর্তের কারণে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা জি এম মাহবুবর রহমান বলেন, বেহাল সড়কের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রকল্পের পরিচালক ও কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আরমান হোসেন বলেন, শহরের মধ্যে হওয়ায় সড়কের দুই পাশে মানুষের বসতি ছিল। এ কারণে জমি অধিগ্রহণ করতে সমস্যা হয়েছে। এর পর করোনার কারণেও কাজ বন্ধ ছিল। তবে এখন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪