Ajker Patrika

ভবন নির্মাণ শেষ না করে উধাও ঠিকাদার

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ২২: ১৩
ভবন নির্মাণ শেষ না করে উধাও ঠিকাদার

৯ মাসের ভবন নির্মাণকাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। কাজের ৩০ শতাংশ অসমাপ্ত রেখে উধাও ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। বাইরে আকাশের নিচে পাঠদান চলছে শিক্ষার্থীদের। এ চিত্র নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম অ্যান্ড ভকেশনাল মাদ্রাসার।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজির আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শুরু হয়েছে পুরোদমে পাঠদান। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় দেখছে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, ‘এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।’

তবে নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে নির্মাণকাজ থেমে নেই। আর যদি বন্ধ হয়ে থাকে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম। এর মধ্যে আমার মা মারা গেছে। তাই সময়মতো কাজটি শেষ করতে পারিনি। খুব দ্রুত কাজটি শেষ করা হবে।’

জানা যায়, রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে ১৯৫২ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়। মাদ্রাসাটিতে ইবতেদায়ি, দাখিল, ভকেশনাল ও আলিম শাখায় পাঠ দান করা হয়। ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে মাদ্রাসাটি চারতলা ভিত্তির একতলা একটি ভবনের জন্য ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ৯ মাসের মধ্যে। ভবন নির্মাণের সুবিধার্থে মাদ্রাসাটির পুরোনো টিনশেড ভবনটি ভেঙে ফেলতে হয়। কিন্তু এখন তো ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হচ্ছেই না, বরং পুরোনো শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলায় প্রতিষ্ঠানটিতে চরম শ্রেণিকক্ষ-সংকট দেখা দেয়।

সরেজমিন মাদ্রাসায় দেখা যায়, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক খোলা আকাশের নিচে পাঠদানের সময় রোদে ঘেমে অস্থির। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ভবন আছে একটি। সেটি ভকেশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য। ওই ভবনে রুম আছে তিনটি। সব মিলিয়ে শ্রেণিকক্ষ দরকার আটটি।

কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদ্রাসার নতুন ভবনের কাজ প্রায় তিন বছর বন্ধ আছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁকে কিছুই জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ নেবেন বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত