প্রিন্স রাসেল
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টের পরই জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে যুব বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট দুটি সামনে রেখে আরব আমিরাতে রওনা দেওয়ার আগে দলের লক্ষ্য, প্রস্তুতি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রিন্স রাসেল।
প্রশ্ন: এশিয়া কাপ শুরু হয়ে গেল। এই টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপে আপনাদের লক্ষ্যটা কী?
রাকিবুল হাসান: আমরা বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। চেষ্টা করব, দুটো টুর্নামেন্টে ভালো করতে। আমাদের দলে কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আশা করছি ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ। ওখানে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছেন। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে?
রাকিবুল: গতবার আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম। ওই কন্ডিশনে আমরা প্রথম খেলেছিলাম। এবার বিশ্বকাপ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এসব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। আপনার লক্ষ্য যখন শিরোপা জয়, তখন এসব ভাবলে চলবে না।
প্রশ্ন: শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী?
রাকিবুল: গত কয়েকটা মাস আমাদের ভালো সময় গেছে। আমরা ভারতে সিরিজ জিতেছি। সবাই পারফর্ম করছে। এতে করে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আশা করছি, এটা আমরা ধরে রাখতে পারব। চেষ্টা করব, এটা জিততে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এবার অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ। এটা কতটা চাপের কিংবা কতটা উপভোগের?
রাকিবুল: আসলে এটাকে চাপ হিসেবে নিলেই চাপ। আমি ওভাবে ভাবি না। অধিকায়ত্বটা আমি উপভোগ করছি। দল ভালো খেললে কোনো চাপই মনে হয় না। এসব নিয়ে না ভেবে আমি দল ও পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবি।
প্রশ্ন: দলে তানজিদ এবং প্রান্তিকের উপস্থিতিটা কীভাবে দেখছেন?
রাকিবুল: ওরা গত বিশ্বকাপেও ছিল। ড্রেসিংরুমে আমরা যাঁরা অভিজ্ঞ আছি, তাঁরা সতীর্থদের সঙ্গে গত বিশ্বকাপের স্মৃতিগুলো ভাগাভাগি করি। নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ খেলছেন। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা সহায়ক হতে পারে?
রাকিবুল: এটা আমাদের জন্য ভালো একটা মঞ্চ। বিশ্বকাপের আগে যেকোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট থাকলে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়া যায়। নিজেদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, ভুলত্রুটি যাচাই করা যায়। এশিয়া কাপে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়াটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ।
প্রশ্ন: ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়টা দলকে কতটা অনুপ্রাণিত করতে পেরেছে?
রাকিবুল: গতবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আমাদের প্রস্তুতি, সুযোগ-সুবিধা ভালোই ছিল। এবার সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে একটু কঠিন। তবু বলব, আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা ভারতে সিরিজ জিতেছি। সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত থেকে ট্রফি নিয়েছি। এটা দলকে অনুপ্রাণিত করছে। আশা করছি, ছন্দটা ধরে রাখতে পারব।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে আপনাদের প্রথম ম্যাচই ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
রাকিবুল: আমাদের কাছে সব প্রতিপক্ষই সমান। ছোট কিংবা বড় দল নেই। আমরা সবাইকে হারাতে চাই। আপনি যখন বিশ্বকাপ জয়ের কথা ভাববেন, তখন সবাইকে সমীহ করতে হবে। অতি আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য থেকে আমাদের সরিয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন: এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি কেমন হলো কিংবা দলটা কতটা গোছাতে পেরেছেন?
রাকিবুল: গত বিশ্বকাপ আর এই বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তটা একরকম নয়। আমরা বায়ো-বাবলের মধ্যে খেলেছি। এভাবে খেলা খুব কঠিন। তবু এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে যতটা পেরেছি আমরা তাতে খুশি। আমরা এই সময়টাতে খেলার মধ্যে ছিলাম।
প্রশ্ন: বর্তমান দলটার বিশেষত্ব কী?
রাকিবুল: আমাদের দলে কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। আমরা তিনজন গতবারের বিশ্বকাপ খেলেছি। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক দিক। সব মিলিয়ে আমাদের দলটায় ভারসাম্য আছে। যেকোনো বড় আসরে খেলতে যাওয়ার আগে এটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: নাভিদ নেওয়াজের কোচিং কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
রাকিবুল: তাঁর অধীনে আমরা গতবার বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। অনেক ভালো কোচ। যে জায়গাগুলোয় আমাদের দুর্বলতা আছে, গত কয়েক মাসে তিনি সেগুলো নিয়ে কাজ করেছেন। সব সময় একটা দল হিসেবে খেলতে আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ছেলেরা সহজেই তাঁকে বুঝতে পারে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার কাছে কাদের হুমকি মনে হয়?
রাকিবুল: নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। বিশ্বকাপে যেকোনো কিছুই হতে পারে। বলতে পারেন এটা অনেকটা উন্মুক্ত। বেশ কয়েকটি বড় দল আছে। কাউকে ফেবারিট বলা কঠিন আবার কারোরই সম্ভাবনা সেভাবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখানে আসলে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হয়। আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টের পরই জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে যুব বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট দুটি সামনে রেখে আরব আমিরাতে রওনা দেওয়ার আগে দলের লক্ষ্য, প্রস্তুতি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রিন্স রাসেল।
প্রশ্ন: এশিয়া কাপ শুরু হয়ে গেল। এই টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপে আপনাদের লক্ষ্যটা কী?
রাকিবুল হাসান: আমরা বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। চেষ্টা করব, দুটো টুর্নামেন্টে ভালো করতে। আমাদের দলে কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আশা করছি ভালো কিছু হবে।
প্রশ্ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ। ওখানে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছেন। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে?
রাকিবুল: গতবার আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম। ওই কন্ডিশনে আমরা প্রথম খেলেছিলাম। এবার বিশ্বকাপ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এসব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। আপনার লক্ষ্য যখন শিরোপা জয়, তখন এসব ভাবলে চলবে না।
প্রশ্ন: শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী?
রাকিবুল: গত কয়েকটা মাস আমাদের ভালো সময় গেছে। আমরা ভারতে সিরিজ জিতেছি। সবাই পারফর্ম করছে। এতে করে দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আশা করছি, এটা আমরা ধরে রাখতে পারব। চেষ্টা করব, এটা জিততে।
প্রশ্ন: খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এবার অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ। এটা কতটা চাপের কিংবা কতটা উপভোগের?
রাকিবুল: আসলে এটাকে চাপ হিসেবে নিলেই চাপ। আমি ওভাবে ভাবি না। অধিকায়ত্বটা আমি উপভোগ করছি। দল ভালো খেললে কোনো চাপই মনে হয় না। এসব নিয়ে না ভেবে আমি দল ও পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবি।
প্রশ্ন: দলে তানজিদ এবং প্রান্তিকের উপস্থিতিটা কীভাবে দেখছেন?
রাকিবুল: ওরা গত বিশ্বকাপেও ছিল। ড্রেসিংরুমে আমরা যাঁরা অভিজ্ঞ আছি, তাঁরা সতীর্থদের সঙ্গে গত বিশ্বকাপের স্মৃতিগুলো ভাগাভাগি করি। নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ খেলছেন। বিশ্বকাপের আগে এটা কতটা সহায়ক হতে পারে?
রাকিবুল: এটা আমাদের জন্য ভালো একটা মঞ্চ। বিশ্বকাপের আগে যেকোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট থাকলে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়া যায়। নিজেদের শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, ভুলত্রুটি যাচাই করা যায়। এশিয়া কাপে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়াটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ।
প্রশ্ন: ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়টা দলকে কতটা অনুপ্রাণিত করতে পেরেছে?
রাকিবুল: গতবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আমাদের প্রস্তুতি, সুযোগ-সুবিধা ভালোই ছিল। এবার সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে একটু কঠিন। তবু বলব, আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা ভারতে সিরিজ জিতেছি। সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত থেকে ট্রফি নিয়েছি। এটা দলকে অনুপ্রাণিত করছে। আশা করছি, ছন্দটা ধরে রাখতে পারব।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে আপনাদের প্রথম ম্যাচই ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
রাকিবুল: আমাদের কাছে সব প্রতিপক্ষই সমান। ছোট কিংবা বড় দল নেই। আমরা সবাইকে হারাতে চাই। আপনি যখন বিশ্বকাপ জয়ের কথা ভাববেন, তখন সবাইকে সমীহ করতে হবে। অতি আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য থেকে আমাদের সরিয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন: এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি কেমন হলো কিংবা দলটা কতটা গোছাতে পেরেছেন?
রাকিবুল: গত বিশ্বকাপ আর এই বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তটা একরকম নয়। আমরা বায়ো-বাবলের মধ্যে খেলেছি। এভাবে খেলা খুব কঠিন। তবু এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে যতটা পেরেছি আমরা তাতে খুশি। আমরা এই সময়টাতে খেলার মধ্যে ছিলাম।
প্রশ্ন: বর্তমান দলটার বিশেষত্ব কী?
রাকিবুল: আমাদের দলে কয়েকজন অলরাউন্ডার আছে। আমরা তিনজন গতবারের বিশ্বকাপ খেলেছি। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক দিক। সব মিলিয়ে আমাদের দলটায় ভারসাম্য আছে। যেকোনো বড় আসরে খেলতে যাওয়ার আগে এটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: নাভিদ নেওয়াজের কোচিং কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?
রাকিবুল: তাঁর অধীনে আমরা গতবার বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। অনেক ভালো কোচ। যে জায়গাগুলোয় আমাদের দুর্বলতা আছে, গত কয়েক মাসে তিনি সেগুলো নিয়ে কাজ করেছেন। সব সময় একটা দল হিসেবে খেলতে আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ছেলেরা সহজেই তাঁকে বুঝতে পারে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার কাছে কাদের হুমকি মনে হয়?
রাকিবুল: নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। বিশ্বকাপে যেকোনো কিছুই হতে পারে। বলতে পারেন এটা অনেকটা উন্মুক্ত। বেশ কয়েকটি বড় দল আছে। কাউকে ফেবারিট বলা কঠিন আবার কারোরই সম্ভাবনা সেভাবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখানে আসলে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হয়। আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫