Ajker Patrika

দুই মাস ধরে প্যাথলজি পরীক্ষায় অচলাবস্থা

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৬
দুই মাস ধরে প্যাথলজি পরীক্ষায় অচলাবস্থা

প্রতিষ্ঠার একযুগ পার হলেও খুলনার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল পূর্ণতার পরিবর্তে নিত্যনতুন সংকটে পড়ছে। রাসায়নিকের অভাবে প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ আছে প্যাথলজি বিভাগের বেশির ভাগ পরীক্ষা। রয়েছে চিকিৎসক সংকট। ফলে রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

খুলনার গোয়ালখালী এলাকায় ২০১০ সালে ১১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় এই বিশেষায়িত হাসপাতাল। কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও একযুগের মাথায় বর্তমানে ১০টি বিভাগে ২১০টি শয্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এটি। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সামনে প্রতিনিয়ত থাকে রোগী ও রোগীর স্বজনের ভিড়। ফলে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। কাউন্টার খোলা থাকলেও পরীক্ষা হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, রি-এজেন্টের অভাবে ১৪ অক্টোবর থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের হরমোন পরীক্ষা, টি ফোর, টি থ্রি, টিএসএইচ, ট্রোপোলিন আই, এইচবিএ ওয়ানসি, পিএস, এএইচবিআইসি, সিরাম ক্রিটেনিনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী।

এ ব্যাপারে আবদুল হালিম নামের এক রোগী বলেন, এখানে আসার পর চিকিৎসকেরা ৫টি টেস্ট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪টি বাইরে থেকে করাতে হয়েছে। এ জন্য তাঁর অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়েছে।

বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন যুবক ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, মাস দুয়েক আগেও এখানে কিডনির টেস্টগুলো হতো। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। বাইরে থেকে টেস্ট করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।

রয়েছে চিকিৎসকের সংকটও। কার্ডিওলজি, কার্ডিওথেরাপি অ্যান্ড কার্ডিভোসকুলার, নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, অর্থোপেডিকস—এই ৫ চিফ কনসালট্যান্ট পদের সবক’টিই শূন্য। সিনিয়র কলসালট্যান্টের ১২টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৩ জন। অপর দিকে জুনিয়র কানসালট্যান্টের ১৫টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৭ জন। এ ছাড়া আরপিএস, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিকেল অফিসার, সহকারী সার্জন ও সমমানের ৬২টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ২০ জন। সবমিলিয়ে হাসপাতালে কনসালট্যান্ট, মেডিকেল অফিসার, সমমানের ৯৪টি পদের বিপরীতে আছেন ৩০ জন। এ ক্ষেত্রে শূন্য রয়েছে ৬৪টি পদ।

এ ব্যাপারে খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, চিকিৎসকের সংকট, রি-এজেন্টসংকট নিয়ে হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ এবং রি-এজেন্টসংকট মেটানোর দাবি জানান।

অপর দিকে হাসপাতালের একজন পরিচালক ডা. মো. আব্দুস শাকুর জানান, সংকট মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত সংকট মিটে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত