ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
মিছিল-সমাবেশে লাঠির ব্যবহারে জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ময়মনসিংহে সম্প্রতি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ এবং তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষকে। তবে এসবের জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি একে অপরকে দায়ী করছে।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে লাঠি হাতে নিয়ে আসা ছাত্রদলের কয়েকজন বলেন, ‘সমাবেশের আগে নানা হুমকি শুনেছি। তাই আত্মরক্ষার ভয়ে লাঠি হাতে নিয়ে এসেছি। কাউকে মারা বা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়। এ ছাড়াও জাতীয় পতাকা বাঁধতে লাঠির প্রয়োজন হয়। বাধা এলে নিজেকে বাঁচানোর জন্যও লাঠি কাজে আসবে। লাঠি হাতে নিতে সরকার আমাদের বাধ্য করছে।’
সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে লাঠি নিয়ে আসতে দেখা যায় কয়েকজন মহিলা লীগের নেতা-কর্মীকে। তাঁরা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিএনপি অগণতান্ত্রিক কিছু করলে, তা প্রতিহত করার জন্যই মূলত এসব নিয়ে আসা। জ্বালাও-পোড়াও বিএনপি মানুষকে দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই বর্তমান সময়ে কোথাও জ্বালাও-পোড়াও নেই।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্ররাজনীতি করে বিএনপির মূলধারায় রাজনীতি করছি, আমরা মনে করি যে দলের যে আদর্শ থাকে, তা করতে না দেওয়া উসকানির প্রধান কারণ। একটা দলের আদর্শকে স্তব্ধ করে দিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলা কতটা যুক্তিসংগত তা আমার বোধগম্য নয়। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। একটা মানুষ বাঁচার জন্য প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। আমরা কাউকে মারার জন্য লাঠিসোঁটা হাতে নেইনি; বরং নিজেদের বাঁচানোর জন্য তা করতে হয়। আমরাও চাই ময়মনসিংহে সুস্থধারার রাজনীতি ফিরে আসুক।’
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিএনপির উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যখন-তখন মিছিল-মিটিং করে বলছেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবেন। এমন কথা শুনলে নেতা-কর্মীদের মাথা ঠিক থাকে না। তাঁদের এমন নিন্দনীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, নতুন প্রজন্মকে সুন্দর আগামী উপহার দিতে মিছিল-মিটিংয়ে লাঠিসোঁটার মহড়া বাদ দিয়ে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরতে হবে।
মিছিল-মিটিংয়ে কেন মোটরসাইকেলের মহড়া থাকবে, কেন যুবসমাজের হাতে অস্ত্র থাকবে। তা হলে ভবিষ্যতে যারা রাজনীতির হাল ধরবে তারা কী শিখছে। রাজনীতি হলো শেখার স্থান, আদর্শের স্থান—সেখানে থাকা প্রয়োজন। আশা করব প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে সবাই সুস্থধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করবে।
জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর আমরা পার করলেও রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারিনি। রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণে আর সেখানে চলে লাঠিসোঁটার মহড়া সেটা দুঃখজনক। মানুষকে লাঠিসোঁটার মহড়ায় আতঙ্কিত না করে মূলধারার রাজনীতি করার জন্য প্রধান দুই দলকে আহ্বান জানাই।’
মিছিল-সমাবেশে লাঠির ব্যবহারে জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ময়মনসিংহে সম্প্রতি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ এবং তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ভাবিয়ে তুলছে সাধারণ মানুষকে। তবে এসবের জন্য আওয়ামী লীগ-বিএনপি একে অপরকে দায়ী করছে।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে লাঠি হাতে নিয়ে আসা ছাত্রদলের কয়েকজন বলেন, ‘সমাবেশের আগে নানা হুমকি শুনেছি। তাই আত্মরক্ষার ভয়ে লাঠি হাতে নিয়ে এসেছি। কাউকে মারা বা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়। এ ছাড়াও জাতীয় পতাকা বাঁধতে লাঠির প্রয়োজন হয়। বাধা এলে নিজেকে বাঁচানোর জন্যও লাঠি কাজে আসবে। লাঠি হাতে নিতে সরকার আমাদের বাধ্য করছে।’
সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে লাঠি নিয়ে আসতে দেখা যায় কয়েকজন মহিলা লীগের নেতা-কর্মীকে। তাঁরা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিএনপি অগণতান্ত্রিক কিছু করলে, তা প্রতিহত করার জন্যই মূলত এসব নিয়ে আসা। জ্বালাও-পোড়াও বিএনপি মানুষকে দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই বর্তমান সময়ে কোথাও জ্বালাও-পোড়াও নেই।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্ররাজনীতি করে বিএনপির মূলধারায় রাজনীতি করছি, আমরা মনে করি যে দলের যে আদর্শ থাকে, তা করতে না দেওয়া উসকানির প্রধান কারণ। একটা দলের আদর্শকে স্তব্ধ করে দিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলা কতটা যুক্তিসংগত তা আমার বোধগম্য নয়। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। একটা মানুষ বাঁচার জন্য প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। আমরা কাউকে মারার জন্য লাঠিসোঁটা হাতে নেইনি; বরং নিজেদের বাঁচানোর জন্য তা করতে হয়। আমরাও চাই ময়মনসিংহে সুস্থধারার রাজনীতি ফিরে আসুক।’
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, বিএনপির উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যখন-তখন মিছিল-মিটিং করে বলছেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবেন। এমন কথা শুনলে নেতা-কর্মীদের মাথা ঠিক থাকে না। তাঁদের এমন নিন্দনীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, নতুন প্রজন্মকে সুন্দর আগামী উপহার দিতে মিছিল-মিটিংয়ে লাঠিসোঁটার মহড়া বাদ দিয়ে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরতে হবে।
মিছিল-মিটিংয়ে কেন মোটরসাইকেলের মহড়া থাকবে, কেন যুবসমাজের হাতে অস্ত্র থাকবে। তা হলে ভবিষ্যতে যারা রাজনীতির হাল ধরবে তারা কী শিখছে। রাজনীতি হলো শেখার স্থান, আদর্শের স্থান—সেখানে থাকা প্রয়োজন। আশা করব প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে সবাই সুস্থধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করবে।
জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর আমরা পার করলেও রাজনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারিনি। রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণে আর সেখানে চলে লাঠিসোঁটার মহড়া সেটা দুঃখজনক। মানুষকে লাঠিসোঁটার মহড়ায় আতঙ্কিত না করে মূলধারার রাজনীতি করার জন্য প্রধান দুই দলকে আহ্বান জানাই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪