আব্দুর রাজ্জাক ঘিওর, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি স্থানে সড়কের ওপরই বসছে বাজার। প্রতিদিন সকালেই এসব বাজারে ভাসমান ব্যবসায়ীরা সবজি, মাছ, দুধ, ফলমূলের পসরা সাজিয়ে বসেন। এতে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এসব অস্থায়ী বাজার সড়ক-মহাসড়ক থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা (সাবেক টোলপ্লাজা) বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামীণ ব্যাংক পর্যন্ত, বালিয়াখোড়া ভোরবাজার, চঙ্গ শিমুলিয়া অস্থায়ী বাজার, বটতলা মোড়, উপজেলা পরিষদ মূল ফটকের সামনে, ঘিওর সদর বাসস্ট্যান্ড, পঞ্চ রাস্তার মোড়, মানিকগঞ্জ-ঝিটকা সড়কের ঘিওর উপজেলাধীন বাঠইমুড়ি ভোরবাজার, কলতাবাজার এলাকায় সড়কের ওপর বসছে ভাসমান দোকান। ক্রেতা-বিক্রেতারা সড়কের একাংশ দখল করে পণ্য কেনাবেচা করছেন। এ ছাড়া সড়ক-সংলগ্ন স্থায়ী দোকানদারেরা নিজেদের পণ্য সাজিয়ে রাখতে দোকানের সামনের অংশ বর্ধিত করে রেখেছেন। এতে সড়ক যাচ্ছে সরু হয়ে। ফলে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব এলাকায় কমপক্ষে দুই শতাধিক ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করেন। এ ছাড়া রিকশা, অটোরিকশা সিরিয়াল করে দাঁড় করিয়ে রাখায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক। তাই ব্যস্ত এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সাধারণত প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত বসে এসব বাজার। এ সড়কের পাশে ভ্যানে বসে সবজি, দুধ, মুরগি, মাছ ও মুদির দোকান। এ ছাড়া ঝুপড়ি ঘরে চায়ের দোকান, ফলের দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
যাত্রীবাহী বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মালবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল করে। সড়কের ওপরে বাজার বসায় যানজটের কবলে পড়েন যাত্রীরা।
ঘিওর-বানিয়াজুরী সড়কে চলাচলকারী অটোভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের একটি অংশ ভাসমান দোকানিদের দখলে থাকায় পথচারীরা সড়কের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে চলাচল করেন। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
পথচারী নাছিমা আক্তার বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার সময় সড়কে যানবাহনের চাপ থাকে। এর মধ্যে সড়কের ওপর ভাসমান দোকান বসায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে জিনিসপত্র বিক্রি করা লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকা নেই যে স্থায়ী একটা দোকান নিয়ে বসব। তাই পেটের দায়ে সড়কের পাশে বসি।’
বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান মোল্লা বলেন, দিনদিন মানুষ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বাজারের চাহিদা। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পকারখানা, অফিস, রেস্তোরাঁ এই এলাকায় হওয়ায় বিভিন্ন স্থানের মানুষের ভিড় থাকে। এই সড়কের নিচে (মন্দিরের সামনে) দীর্ঘদিনের পুরোনো বাজারে এখন আর জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। তাই অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা সড়কের পাশে বসছেন। তাঁদের সড়ক ছেড়ে বসার জন্য বলা হবে।
এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সড়কে চলাচলে সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, সড়কে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বেআইনি। কয়েক দিন পরপরই মূল সড়ক দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এলাকাবাসী, পথচারী ও যাত্রীদের যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অস্থায়ী বাজারগুলো সড়ক-মহাসড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি স্থানে সড়কের ওপরই বসছে বাজার। প্রতিদিন সকালেই এসব বাজারে ভাসমান ব্যবসায়ীরা সবজি, মাছ, দুধ, ফলমূলের পসরা সাজিয়ে বসেন। এতে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এসব অস্থায়ী বাজার সড়ক-মহাসড়ক থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তরা (সাবেক টোলপ্লাজা) বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামীণ ব্যাংক পর্যন্ত, বালিয়াখোড়া ভোরবাজার, চঙ্গ শিমুলিয়া অস্থায়ী বাজার, বটতলা মোড়, উপজেলা পরিষদ মূল ফটকের সামনে, ঘিওর সদর বাসস্ট্যান্ড, পঞ্চ রাস্তার মোড়, মানিকগঞ্জ-ঝিটকা সড়কের ঘিওর উপজেলাধীন বাঠইমুড়ি ভোরবাজার, কলতাবাজার এলাকায় সড়কের ওপর বসছে ভাসমান দোকান। ক্রেতা-বিক্রেতারা সড়কের একাংশ দখল করে পণ্য কেনাবেচা করছেন। এ ছাড়া সড়ক-সংলগ্ন স্থায়ী দোকানদারেরা নিজেদের পণ্য সাজিয়ে রাখতে দোকানের সামনের অংশ বর্ধিত করে রেখেছেন। এতে সড়ক যাচ্ছে সরু হয়ে। ফলে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব এলাকায় কমপক্ষে দুই শতাধিক ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করেন। এ ছাড়া রিকশা, অটোরিকশা সিরিয়াল করে দাঁড় করিয়ে রাখায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক। তাই ব্যস্ত এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সাধারণত প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত বসে এসব বাজার। এ সড়কের পাশে ভ্যানে বসে সবজি, দুধ, মুরগি, মাছ ও মুদির দোকান। এ ছাড়া ঝুপড়ি ঘরে চায়ের দোকান, ফলের দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। এ কারণে সড়কে যানজট লেগেই থাকে।
যাত্রীবাহী বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মালবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল করে। সড়কের ওপরে বাজার বসায় যানজটের কবলে পড়েন যাত্রীরা।
ঘিওর-বানিয়াজুরী সড়কে চলাচলকারী অটোভ্যানের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের একটি অংশ ভাসমান দোকানিদের দখলে থাকায় পথচারীরা সড়কের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে চলাচল করেন। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
পথচারী নাছিমা আক্তার বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার সময় সড়কে যানবাহনের চাপ থাকে। এর মধ্যে সড়কের ওপর ভাসমান দোকান বসায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে জিনিসপত্র বিক্রি করা লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকা নেই যে স্থায়ী একটা দোকান নিয়ে বসব। তাই পেটের দায়ে সড়কের পাশে বসি।’
বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান মোল্লা বলেন, দিনদিন মানুষ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে বাজারের চাহিদা। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পকারখানা, অফিস, রেস্তোরাঁ এই এলাকায় হওয়ায় বিভিন্ন স্থানের মানুষের ভিড় থাকে। এই সড়কের নিচে (মন্দিরের সামনে) দীর্ঘদিনের পুরোনো বাজারে এখন আর জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। তাই অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা সড়কের পাশে বসছেন। তাঁদের সড়ক ছেড়ে বসার জন্য বলা হবে।
এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সড়কে চলাচলে সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, সড়কে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বেআইনি। কয়েক দিন পরপরই মূল সড়ক দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এলাকাবাসী, পথচারী ও যাত্রীদের যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অস্থায়ী বাজারগুলো সড়ক-মহাসড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪