Ajker Patrika

ব্যয় বাড়ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৩৬
ব্যয় বাড়ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা

মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। আর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে তিন বছর।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা শেষে এই তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে উল্লেখ করে চ্যানেল, জেটি, ভূমি উন্নয়ন এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণসহ অন্য সিভিল ওয়ার্কস খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি জানান, পরামর্শক সেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, ভ্যাট-আইটি ও আমদানি শুল্ক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ কার্যক্রম খাতে ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া পল্লি বিদ্যুতায়ন ও টাউনশিপ নির্মাণ খাতে ব্যয় এবং ডিটেইল ডিজাইন অনুযায়ী কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে অনুমোদিত প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। সংশোধন করে তা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মূল প্রকল্প ব্যয় ছিল ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এখন প্রকল্পের বরাদ্দ বেড়ে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প-শক্তি বিভাগের সদস্য ও সচিব শরিফা খান জানান, মাতারবাড়ীতে নতুন করে গভীর চ্যানেল তৈরি করা হবে। বাড়তি বরাদ্দের সিংহভাগ ব্যয় হবে মূলত এ খাতে। আগে ছিল ছোট পরিসরের কাজটি করার পরিকল্পনা ছিল, এখন বড় পরিসরে হবে।

তা ছাড়া প্রকল্পসংশ্লিষ্ট জাপানি নাগরিকদের জন্য একটা নিরাপত্তাবলয়ের আবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এসব কারণেই মূলত প্রকল্পের সময়-ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার মেগাওয়াটে করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গতকালের একনেকের সভায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

দেশের বর্তমান মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আকার এখন প্রায় ৩৫ লাখ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। গতকাল একনেক সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তা ছাড়া অর্থনীতির ভিত্তি বছর সংশোধন করা হয়েছে। আগে ভিত্তি বছর ছিল ২০০৫-০৬ সাল। এখন নতুন ভিত্তি বছর ২০১৫-১৬ সাল। ফলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। দেশের মোট জিডিপির আকার ৩৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ ৫ হাজার কোটি ডলার। দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৮ বছরে পৌঁছেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত