Ajker Patrika

ময়লার স্তূপে মহা ‘ভোগান্তি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ০৮: ৫৭
ময়লার স্তূপে মহা ‘ভোগান্তি’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) এনাটমি বিভাগ ও একাডেমিক ভবনের পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও মর্গে আসা লোকজনকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ মিলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনাটমি ভবনের পশ্চিম পাশে ও একাডেমিক ভবনের গ্যারেজের দক্ষিণ পাশের প্রবেশপথে ময়লা-আবর্জনার এই স্তূপ জমে আছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। শুরুতে পুরোনো ভবনের কংক্রিট, ইট-সুরকি, বালু-সিমেন্টের বস্তা এনে ফেলা হয় এখানে। পরে সেখানে বর্জ্য ও আবর্জনাও ফেলা হয়েছে। দীর্ঘদিনেও এসব আবর্জনা অপসারণ না করায় হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের ময়লাও এখানে এনে ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে শিক্ষার্থী, চিকিৎসকসহ সবার সমস্যা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনাগুলো অপসারণের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এনাটমি বিভাগের একজন শিক্ষক জানান, এই স্তূপে আগুন দিয়ে প্রায়ই ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো হয়। এর ফলে যে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, তা আশপাশের ভবনেও প্রবেশ করে। এতে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে ময়লা-আবর্জনা পানির সঙ্গে এই জায়গা চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী ও তাঁদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

ওই শিক্ষক আরও জানান, কারা সেখানে ময়লা ফেলছে, তা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এনাটমি বিভাগে কর্মরতদের অফিস বেলা আড়াইটার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপর হয়তো সেখানে ময়লা ফেলা হয়। যারা ফেলছে, তাদের ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে পুরোনো ইট-সুরকিগুলো সরানো হলে সেখানে কেউ ময়লা ফেলার সাহস পাবে না বলে মনে করেন ওই শিক্ষক।

গতকাল বুধবার বিকেলে এনাটমি ও একাডেমি ভবনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বহুদিনের পুরোনো ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সেখানে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে ময়লা পোড়ার গন্ধ নাকে ভেসে আসে। মর্গের এক কর্মচারী জানান, নতুন একাডেমি ভবনের ইট-সুরকি দীর্ঘদিন ধরে এখানে পড়ে ছিল। এগুলো অপসারণ না করায় সেখানে লোকজন ময়লা-আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়ে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. টিটো মিঞা এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের মেডিকেল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজমল হকের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, স্থানীয় সাংবাদিক গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত