Ajker Patrika

২৬ হাজার মামলার জট ভোগান্তি বিচারপ্রার্থীদের

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ০০
২৬ হাজার মামলার জট ভোগান্তি বিচারপ্রার্থীদের

মাদারীপুরের ১৭টি আদালতে বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার মামলা বিচারাধীন। দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়ায় বাদীরা আদালতে এসে হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এতে বাদীদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ আইনজীবীরাও। তবে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই এই সমস্যা থাকবে না বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের।

একাধিক আইনজীবী জানান, মাদারীপুরের আদালতগুলোতে বিচারকসংকট। সেই সঙ্গে এজলাস-সংকটও রয়েছে। পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলের আইনের পরিবর্তন না হওয়ায় দীর্ঘদিনেও মামলার জট কমছে না। তা ছাড়া অনেকেই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেন। এতেও সমস্যা। তাই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার বাদীদের আইনের আওতায় আনা হলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।

রাষ্ট্রপক্ষের একাধিক কৌঁসুলি জানান, মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য আলাদা নতুন ভবন নির্মাণে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এটি নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৪ হাজার ৮০০, সহকারী জজ আদালতে ৭ হাজার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাড়ে ৭ হাজার, নারী ও শিশু আদালতে ২ হাজার ৩০০ এবং ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ হাজার মামলা বিচারাধীন। মাদারীপুর আদালতে এই মামলার জন্য মাত্র ১৭ জন বিচারক ও ১৪টি এজলাস রয়েছে।

ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার উকিল (আইনজীবী) বলেন, আমি মামলার রায় পাব, কিন্তু পাই না। কবে পাব, তা-ও জানি না। আমি গরিব মানুষ। মামলা চালাতে আমার অনেক কষ্ট হয়।’

আরেক ভুক্তভোগী এমদাদুল হক বলেন, ‘আমার বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামে। আমি একটি মামলার আসামি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর অভাবে সাত বছরেও মামলার কোনো ফলাফল হয়নি। কবে এর থেকে মুক্তি পাব, তা-ও জানা নেই।’

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী যতিন সরকার বলেন, বিচারক ও এজলাস-সংকটই হচ্ছে মূল সমস্যা। এই সংকট কাটলে আস্তে আস্তে মামলার সংখ্যাও কমে যাবে।

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, মিথ্যা মামলা দেওয়া বাদীদের আইনের আওতায় আনা হলে মামলার সংখ্যা কমে যাবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বিচারক ও এজলাস হলে সব ক্ষেত্রেই বাদী ও বিবাদী লাভবান হবেন।

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি উকিল বিদ্যুৎ কান্তি বাড়ৈ বলেন, ‘আদালতে বিচারকসংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দু-একটি এজলাস হলেই আপাতত সমস্যা দূর হতো বলে আমি মনে করি।’

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি উকিল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ হলেই আস্তে আস্তে কেটে যাবে এই সমস্যা। ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা চূড়ান্ত হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত