Ajker Patrika

ডিমওয়ালা ইলিশে সয়লাব

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৯: ৪৪
ডিমওয়ালা ইলিশে সয়লাব

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ডিমওয়ালা ইলিশ মাছে সয়লাব হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রজননসক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। গত মঙ্গল ও বুধবার বাবুগঞ্জ বাজার এবং মীরগঞ্জ ফেরিঘাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে নদী থেকে ধরে আনা ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ হাঁক-ডাক দিয়ে বিক্রি করছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। বাজারে ছোট ছোট ইলিশের তুলনায় বড় আকারের ডিমওয়ালা ইলিশই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ইলিশ বিক্রেতা সাগর বলেন, নদীতে প্রচুর মা ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ মাছ যে সময় ডিম ছাড়ার কথা এর আগেই মৎস্য অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণেই প্রচুর মা ইলিশ জালে ধরা পড়ছে।

বেশ কয়েক জন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদেরও মত মৎস্য অধিদপ্তর একটু সময় বাড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল।

বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্রেতারা ভিড় করছে কম দামে ইলিশ কিনতে। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়, বড় ডিমওয়ালা ইলিশের কেজি ৭০০-৯০০ টাকা।

নিষেধাজ্ঞা আগে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১১০০-১২০০ টাকায়, ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হতো ১৪০০-১৫০০ টাকায়।

ইলিশ মাছ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অভিযোগ ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা সরকারিভাবে আগেভাগে শেষ হয়েছে। সব ইলিশ এখনো ডিম ছাড়তে পারেনি। তাই অবরোধের শেষে ডিমওয়ালা ইলিশগুলো জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে বলেছেন নিষেধাজ্ঞার সময় বহু মাছ বিক্রেতা প্রতি কেজি মাছ ৫ শ টাকা দামে মাছ কিনে মজুত রাখায় বাজার ইলিশে সয়লাব হয়েছে। মজুতদাররা প্রতি কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা মুনাফা পাচ্ছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অভিযানটি ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু করলে এভাবে মা ইলিশ ধরা পরতো না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত