নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিনিয়োগকারীরা বিদেশে বিনিয়োগের আইনগত স্বীকৃতি পেলেন। এর আগে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় বিদেশে বিনিয়োগের কোনো সুযোগ ছিল না। গতকাল বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তার পর্যাপ্ত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে দেশের বাইরে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের পরিমাণ বার্ষিক নিট সম্পদ বা নিরীক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। এ ছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠান বিগত পাঁচ বছরের বার্ষিক গড় রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশ অর্থ বিদেশে বিনিয়োগের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর প্রতিষ্ঠানসমূহ বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের কাছে জমা দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ বিধিমালা-২০২২ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনের আলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো প্রতিষ্ঠান এখন থেকে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। আগে এ সুযোগ ছিল না। আর বিনিয়োগের নামে কোনো অর্থ পাচার বা অন্যান্য অনিয়ম রুখতে যৌথ মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রভৃতি সংস্থা এসব বিনিয়োগের বিষয়ে যথারীতি খোঁজখবর রাখবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিনিয়োগের লক্ষ্য পূরণ ও কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি তিন মাস পর পর এবং বার্ষিক হিসাব দাখিল করতে হবে। তাদের প্রতিবেদন অবশ্যই স্বীকৃত ফার্ম বা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাবতীয় নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবে। এমনকি মুনাফা এবং ক্ষতির বিষয়গুলো পর্যন্ত মনিটরিং করার বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
সরকারের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণ বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক বাছাই কমিটি দাখিল করতে। বাছাই কমিটির প্রয়োজনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, কমিটি এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, হাইকমিশন বা অন্য কোনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত নিতে হবে। বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদেশে কোম্পানি স্থাপনের জন্য অনুমোদিত প্রাথমিক মূলধন পাঠাতে হবে। যদি কোনো কারণে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ সম্ভব না হয়, তবে পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে। বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত সব পাওনা (মুনাফা, সুদ, শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ, বিনিয়োগ বিলুপ্তির ফলে অবশিষ্ট অর্থ বেতন, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি, পরামর্শ ফি, কমিশন) ইত্যাদি অর্জনের ৩০ দিন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে হবে। আর কোম্পানির বার্ষিক মুনাফা বা লোকসান, পুঞ্জীভূত আয় ও সঞ্চিতির অবস্থান, ঘোষিত লভ্যাংশ ও রেমিট্যান্স, আয় ও পরিশোধ অনুপাত এবং ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বা পুনর্বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
বিদেশে বিনিয়োগে আইনগত নতুন সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশে বিনিয়োগের আইনগত সুযোগ আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ভালো হবে। এ উদ্যোগ বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে সহায়তা করবে। বিনিয়োগের এ সুযোগ নতুন কর্মসংস্থান ও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়ে ভালো করেছে।’
জানা গেছে, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিনিয়োগকারীরা বিদেশে বিনিয়োগের আইনগত স্বীকৃতি পেলেন। এর আগে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় বিদেশে বিনিয়োগের কোনো সুযোগ ছিল না। গতকাল বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান তার পর্যাপ্ত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে দেশের বাইরে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের পরিমাণ বার্ষিক নিট সম্পদ বা নিরীক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। এ ছাড়া যেকোনো প্রতিষ্ঠান বিগত পাঁচ বছরের বার্ষিক গড় রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশ অর্থ বিদেশে বিনিয়োগের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর প্রতিষ্ঠানসমূহ বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের কাছে জমা দেবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ বিধিমালা-২০২২ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনের আলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো প্রতিষ্ঠান এখন থেকে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। আগে এ সুযোগ ছিল না। আর বিনিয়োগের নামে কোনো অর্থ পাচার বা অন্যান্য অনিয়ম রুখতে যৌথ মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রভৃতি সংস্থা এসব বিনিয়োগের বিষয়ে যথারীতি খোঁজখবর রাখবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিনিয়োগের লক্ষ্য পূরণ ও কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি তিন মাস পর পর এবং বার্ষিক হিসাব দাখিল করতে হবে। তাদের প্রতিবেদন অবশ্যই স্বীকৃত ফার্ম বা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাবতীয় নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবে। এমনকি মুনাফা এবং ক্ষতির বিষয়গুলো পর্যন্ত মনিটরিং করার বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।
সরকারের প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণ বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক বাছাই কমিটি দাখিল করতে। বাছাই কমিটির প্রয়োজনে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, কমিটি এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, হাইকমিশন বা অন্য কোনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত নিতে হবে। বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদেশে কোম্পানি স্থাপনের জন্য অনুমোদিত প্রাথমিক মূলধন পাঠাতে হবে। যদি কোনো কারণে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ সম্ভব না হয়, তবে পাঠানো অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে। বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত সব পাওনা (মুনাফা, সুদ, শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ, বিনিয়োগ বিলুপ্তির ফলে অবশিষ্ট অর্থ বেতন, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি, পরামর্শ ফি, কমিশন) ইত্যাদি অর্জনের ৩০ দিন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে হবে। আর কোম্পানির বার্ষিক মুনাফা বা লোকসান, পুঞ্জীভূত আয় ও সঞ্চিতির অবস্থান, ঘোষিত লভ্যাংশ ও রেমিট্যান্স, আয় ও পরিশোধ অনুপাত এবং ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ বা পুনর্বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
বিদেশে বিনিয়োগে আইনগত নতুন সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশে বিনিয়োগের আইনগত সুযোগ আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ভালো হবে। এ উদ্যোগ বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে সহায়তা করবে। বিনিয়োগের এ সুযোগ নতুন কর্মসংস্থান ও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়ে ভালো করেছে।’
জানা গেছে, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫