যশোর প্রতিনিধি
ছাঁটাই বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন যশোর পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। গতকাল বুধবার তাঁরা সে সব দাবি নিয়ে গেলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে তিনি রুম থেকে শ্রমিকদের বের করে দেন। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনার পর পূর্ব নির্ধারিত দাবিতে রাজপথে নামেন হরিজন শ্রমিকেরা। এ সময় ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তাঁরা।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিলাল হরিজন বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা যশোর পৌরসভার বাসাবাড়ি ও গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের বাদ দিয়ে এ কাজ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছে ঠিকা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের শ্রমিকদের গণহারে ছাঁটাই করছে।’
সভাপতি মতিলাল হরিজন বলেন, ‘এসব দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে দুপুরে আমরা পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের কাছে যাই। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনেই আমাদের ঘর থেকে বের করে দেন এবং খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি পুলিশ ডেকে আমাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।’
সভাপতি মতিলাল হরিজন আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে লড়াই করছি। পৌর কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন। তাঁরা প্রতি বছরই কোনো কারণ ছাড়া এসব করেন। তাঁদের কয়েকজন নেতা আছে, যাঁরা সাধারণ শ্রমিকদের উসকে দেন। এবারও তাই হয়েছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা বসেননি। উল্টো, উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেন।’
সচিব আজমল হোসেন আরও বলেন, ‘পুলিশ আগে থেকেই পৌরসভায় অবস্থান করছিল। হরিজন শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করে।’
যশোরের পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ দিকে পৌরসভার ঘটনার পর পরই বিক্ষুব্ধ হরিজন শ্রমিকেরা রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা পৌরসভার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে একটি মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দাবির বিষয়ে স্লোগান দেন শ্রমিকেরা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যশোর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস, যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার, সহসভাপতি মন্টু বিশ্বাস, কমল বিশ্বাস প্রমুখ।
ছাঁটাই বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন যশোর পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। গতকাল বুধবার তাঁরা সে সব দাবি নিয়ে গেলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে তিনি রুম থেকে শ্রমিকদের বের করে দেন। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনার পর পূর্ব নির্ধারিত দাবিতে রাজপথে নামেন হরিজন শ্রমিকেরা। এ সময় ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তাঁরা।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতিলাল হরিজন বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা যশোর পৌরসভার বাসাবাড়ি ও গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের বাদ দিয়ে এ কাজ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছে ঠিকা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের শ্রমিকদের গণহারে ছাঁটাই করছে।’
সভাপতি মতিলাল হরিজন বলেন, ‘এসব দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে দুপুরে আমরা পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের কাছে যাই। কিন্তু তিনি কোনো কথা না শুনেই আমাদের ঘর থেকে বের করে দেন এবং খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি পুলিশ ডেকে আমাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।’
সভাপতি মতিলাল হরিজন আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে লড়াই করছি। পৌর কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিলেন। তাঁরা প্রতি বছরই কোনো কারণ ছাড়া এসব করেন। তাঁদের কয়েকজন নেতা আছে, যাঁরা সাধারণ শ্রমিকদের উসকে দেন। এবারও তাই হয়েছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা বসেননি। উল্টো, উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেন।’
সচিব আজমল হোসেন আরও বলেন, ‘পুলিশ আগে থেকেই পৌরসভায় অবস্থান করছিল। হরিজন শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করে।’
যশোরের পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ দিকে পৌরসভার ঘটনার পর পরই বিক্ষুব্ধ হরিজন শ্রমিকেরা রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা পৌরসভার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। পরে একটি মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দাবির বিষয়ে স্লোগান দেন শ্রমিকেরা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যশোর ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস, যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার, সহসভাপতি মন্টু বিশ্বাস, কমল বিশ্বাস প্রমুখ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪