গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে নন্দকুজার শাখা নদী গোমতী। এ নদীর ওপর আজও নির্মিত হয়নি কোনো সেতু। তাই গুরুদাসপুর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার অন্তত ১২ গ্রামের মানুষকে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে ফসল আনা-নেওয়াসহ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে তাঁদের ভোগান্তি কমে আসবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসার পাশ দিয়ে গোমতী নদীর ওপর ইজারার ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাঁকোতে নদী পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। পাকা সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে প্রতিনিয়ত গুরুদাসপুর ও তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল, সগুনা, কাটাবাড়ি, কামারশন, মাকরশন, মশিন্দা, রাণীগ্রাম, হাসমারী, খুবজিপুর, শিকারপুর, সাহাপুর, বামনকোলাসহ অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষকে পারাপার করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুরুদাসপুরের শিকারপুর বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ সাঁকো পার হতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। হাটের পাশেই রয়েছে মহসিন আলী কলেজ, শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসা, শিকারপুর কৃষি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। এ ছাড়া যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থদের নিয়ে নদী পারাপার করতে দুর্ভোগের শিকার হাতে হয় তাঁদের। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের ভ্যানে করে পারাপার করতে হয়। এ ছাড়া কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বাজারে আসা মানুষদের।
ওই বাঁশের সাঁকোর ইজারাদার এরশাদ আলী বলেন, প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন তিনি। তাই প্রতিবার সাঁকোটি পারাপারের সময় জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বর্ষায় নৌকায় এবং শুকনো মৌসুমে সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া বর্ষাকালে নৌকাডুবি, শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, নদীর উত্তর পার অর্থাৎ তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশির ভাগ কৃষিজমির মালিক গুরুদাসপুর উপজেলার মানুষের। ফসল আনা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এখানে একটি সেতু হলে এই এলাকার মানুষের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে কম সময় লাগবে। এ ছাড়া তাঁদের ফসল পরিবহনের বাড়তি খরচ করতে হবে না।
রাণীগ্রামের কৃষক হারুন সরদার বলেন, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা গ্রামে তাঁর ১৫ বিঘা জমি আছে। সেখানে বোরো ধানের চাষ করেছেন তিনি। এই একটি মাত্র নদীর ওপর দিয়ে তাঁদের চলাচল করতে হয়। নদীর ওপর পাকা সেতু থাকলে তাঁদের ধান আনতে সহজ ও খরচ কম হবে। সেতু না থাকায় অতিরিক্ত খরচ হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাস্তা ও জায়গা নিয়ে সেতু নির্মাণ করতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একটু দীর্ঘ হতে পারে। বর্তমানে সেতুর প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া আছে।
নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে নন্দকুজার শাখা নদী গোমতী। এ নদীর ওপর আজও নির্মিত হয়নি কোনো সেতু। তাই গুরুদাসপুর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার অন্তত ১২ গ্রামের মানুষকে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে ফসল আনা-নেওয়াসহ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে তাঁদের ভোগান্তি কমে আসবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসার পাশ দিয়ে গোমতী নদীর ওপর ইজারার ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাঁকোতে নদী পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। পাকা সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে প্রতিনিয়ত গুরুদাসপুর ও তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল, সগুনা, কাটাবাড়ি, কামারশন, মাকরশন, মশিন্দা, রাণীগ্রাম, হাসমারী, খুবজিপুর, শিকারপুর, সাহাপুর, বামনকোলাসহ অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষকে পারাপার করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুরুদাসপুরের শিকারপুর বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ সাঁকো পার হতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। হাটের পাশেই রয়েছে মহসিন আলী কলেজ, শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসা, শিকারপুর কৃষি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। এ ছাড়া যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থদের নিয়ে নদী পারাপার করতে দুর্ভোগের শিকার হাতে হয় তাঁদের। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের ভ্যানে করে পারাপার করতে হয়। এ ছাড়া কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বাজারে আসা মানুষদের।
ওই বাঁশের সাঁকোর ইজারাদার এরশাদ আলী বলেন, প্রতি বছর নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন তিনি। তাই প্রতিবার সাঁকোটি পারাপারের সময় জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। বর্ষায় নৌকায় এবং শুকনো মৌসুমে সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া বর্ষাকালে নৌকাডুবি, শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, নদীর উত্তর পার অর্থাৎ তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশির ভাগ কৃষিজমির মালিক গুরুদাসপুর উপজেলার মানুষের। ফসল আনা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এখানে একটি সেতু হলে এই এলাকার মানুষের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে কম সময় লাগবে। এ ছাড়া তাঁদের ফসল পরিবহনের বাড়তি খরচ করতে হবে না।
রাণীগ্রামের কৃষক হারুন সরদার বলেন, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা গ্রামে তাঁর ১৫ বিঘা জমি আছে। সেখানে বোরো ধানের চাষ করেছেন তিনি। এই একটি মাত্র নদীর ওপর দিয়ে তাঁদের চলাচল করতে হয়। নদীর ওপর পাকা সেতু থাকলে তাঁদের ধান আনতে সহজ ও খরচ কম হবে। সেতু না থাকায় অতিরিক্ত খরচ হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিলন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাস্তা ও জায়গা নিয়ে সেতু নির্মাণ করতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একটু দীর্ঘ হতে পারে। বর্তমানে সেতুর প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে দেওয়া আছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪