Ajker Patrika

চুল সাজানোর যন্ত্রপাতি

আনিকা জীনাত
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০২
চুল সাজানোর যন্ত্রপাতি

হেয়ার ড্রায়ার
অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকলে অনেক সময় ভেজা চুলই বাঁধতে হয়। এতে গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিনতে পারেন হেয়ার ড্রায়ার।

এটি একটি বিউটি প্রোডাক্ট। কিন্তু শীতকালে এটি খুব জরুরি গ্যাজেট; বিশেষ করে সকালে বা রাতে যাঁরা গোসল করেন, তাঁদের জন্য চুল শুকানোর কাজটা খুব কঠিন। কোঁকড়া চুল হলে তো কথাই নেই। অর্ধেক দিন পার হলেও চুল শুকাতে চায় না। ফলাফল ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি ও জ্বর। এ 
সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চাইলে হয় রোদে গিয়ে চুল শুকাতে হবে, নয়তো হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হবে।

হেয়ার ড্রায়ারে থাকে ইলেকট্রিক ফ্যান ও হিটিং কয়েল। ফ্যানের গরম বাতাস চুলে পৌঁছালে চুলে থাকা পানি শুকিয়ে যায়।
এখনকার হেয়ার ড্রায়ারগুলোর শব্দ কম হয়, হ্যান্ডেলও ভাঁজ করা যায়।

দরদাম
ভালো মানের হেয়ার ড্রায়ার কিনতে খরচ পড়বে দেড় হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা।

সতর্কতা
গোসলের অন্তত ১৫ মিনিট পর ড্রায়ার ব্যবহার করুন।
রিমুভেবল এয়ার ফিল্টার আছে কি না, তা দেখে কিনুন।
ড্রায়ারের মুখে নজেল না লাগিয়ে ব্যবহার করবেন না।
ব্যবহারের আগে ম্যানুয়াল পড়ে নিন।

হেয়ার স্ট্রেইটনার
চুল সোজা করার প্রক্রিয়াকে রিবন্ডিংও বলে। তবে কোনো ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে না আসতে চাইলে চুলের ইস্তিরি হিসেবে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করতে পারেন। বেয়াড়া চুলকে বাগে আনতে অনেকেই পারলারে হেয়ার স্টাইলিস্টের কাছে যান। সোজা চুল দুলিয়ে বাড়ি ফিরতে চাইলে এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারেন। তবে সাময়িকভাবে গোছানো চুল পেতে চাইলে কিনে নিতে পারেন হেয়ার স্ট্রেইটনার। একে ফ্ল্যাট আয়রন ও হট ব্রাশও বলা হয়ে থাকে। দুটি একই কাজ করলেও দেখতে ভিন্ন। ফ্ল্যাট আয়রনে চুল চেপে ধরে সোজাসুজি টেনে নামাতে হয়।

হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্লাশ বা হট ব্রাশ দিয়ে চুল সোজা করলে সময় একটু বেশি লাগে। কারণ এই ব্রাশের তাপমাত্রা হেয়ার স্ট্রেইটনারের চেয়ে কম থাকে। তবে হেয়ার স্ট্রেইটনার হট ব্রাশ ব্যবহার করলে চুলের কিছুটা ক্ষতি কম হয়। এটি ব্যবহারে চুল একদম সোজা হয় না; বরং একটু ফুলে থাকে।

দরদাম
৮০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৬ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাবে হেয়ার স্ট্রেইটনার।

সতর্কতা
এটি ঘন ঘন ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুল ভেঙে যায়।
হেয়ার স্ট্রেইটনিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
সিরামিক কোটিং দেওয়া আছে কি না, তা কেনার আগে দেখে নিতে হবে। এই কোটিং থাকলে হেয়ার স্ট্রেইটনারে খুব বেশি তাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

হেয়ার কার্লার
একটু ঢেউখেলানো চুল চেহারায় আনে গ্ল্যামারাস লুক। তাই কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অনেকে পারলারে গিয়ে চুল কার্ল করে আসেন। 
তবে আপনার কাছে কার্লার থাকলে বাসায় বসেই চুল কার্ল করতে পারেন। মাথার ওপরের অংশের চুল ক্লিপ দিয়ে বেঁধে নিচের দিকের চুলগুলো কার্লিং আয়রন বা হেয়ার কার্লারে প্যাঁচাতে হবে। সহজে কার্ল করা শিখতে চাইলে ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।

এখন কার্লারের পাশাপাশি হেয়ার ব্রেইডারও পাওয়া যায়। এই ডিভাইস নিজে নিজেই চুল বেণি করে দেয়। শুধু চুলের গোছা এতে আটকে দিতে হয়। বাকিটা ঘুরে ঘুরে নিজেই সেরে ফেলে কাজ। তবে এখনো এই ডিভাইস দেশের বাজারে সহজলভ্য নয়। 

দরদাম
ভালো মানের হেয়ার কার্লার কিনতে দাম পড়বে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।

সতর্কতা
চুলের ধরন বুঝে কার্লার কিনতে হবে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না। চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।
হেয়ার কার্লার মাসে একবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত