নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাফ পাসের দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগের দিনের মতো গতকালও বিক্ষোভে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং বর্ধিত লঞ্চ ও বাসভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে বামপন্থী আট ছাত্র সংগঠন এদিন শাহবাগ অবরোধ করে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
শাহবাগে যখন পুলিশ আর ছাত্রসংগঠনগুলো মুখোমুখি অবস্থানে, ঠিক তখন নীলক্ষেতে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পুলিশের কোনো বাধা ছাড়াই সেই কর্মসূচি শেষ হয়।
আন্দোলন করা শিক্ষার্থী শাহাদত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমরা নীলক্ষেতে এসে অবস্থান নিই। ঘণ্টাখানেক আমরা ওখানে ছিলাম। পুলিশ দাবিগুলো শুনে একাত্মতা প্রকাশ করে।’
সোমবার শান্তিনগরেও চলে ছাত্র-বিক্ষোভ। শতাধিক শিক্ষার্থী প্রথমে শান্তিনগর মোড় অবরোধ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড় হয়ে আবার শান্তিনগর এসে অবস্থান নেন। বেলা পৌনে ২টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান। সেখানেও পুলিশি বাধা ছাড়া কর্মসূচি শেষ হয়। তবে টুকরো টুকরো এই চিত্রগুলো শুধু মুদ্রার এক পিঠ বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী। নটর ডেম কলেজের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাস্তায় নামলে আমরা সরাসরি কোনো বাধা পাচ্ছি না, এটা ঠিক। কিন্তু যাঁরাই বিক্ষোভে সামনের দিকে অবস্থান করছেন বা একটু সোচ্চার হচ্ছেন; তাঁদের নাম, আইডি নম্বর নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরোক্ষভাবে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হচ্ছে।’
সিদ্ধেশ্বরী কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলিক্রসের এক ছাত্রীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুনেছি, স্কুল থেকে তাকে বলা হয়েছে, পুলিশি ঝামেলা না মেটালে তাকে টিসি দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, বিক্ষোভে সে আর আসবে না।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি
নীলক্ষেতে আধা ঘণ্টার মতো অবস্থান করে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সড়কে সব হত্যার বিচার করা; সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি; গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই নয় দফা আদায়ে স্মারকলিপি দেয়। আর আজ এই দাবিগুলো আদায়ে বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ভবন ঘেরাও করা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি আন্তরিক। লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কর্মসূচি করার কোনো দরকার নেই।’
বাস আটকে প্রতিবাদ
যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় সোমবার বেশ কয়েকটি বাস আটকে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর ১২টায় নীলক্ষেতে ঢাকা কলেজের বিপরীতে বিকাশ পরিবহনের একটি বাস ঘণ্টাখানেক আটকে রাখা হয়। ঢাকা কলেজের ছাত্র সজীব আহমেদ জয় জানান, বিকাশ পরিবহনের বাসগুলোর চালক এবং সহকারীরা প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ইমপেরিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাইদা পরিবহনের পঞ্চাশটি বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে রাইদা বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পুলিশ শিক্ষার্থীদের রামপুরা থানায় নিয়ে যায়। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা জানান, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধে কিছু নিয়মাবলি প্রতিটি বাসে লিফলেট আকারে লাগিয়ে দিতে হবে। রাইদার মালিকপক্ষ এ দাবি দুদিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দেন।
হাফ পাসের দাবিতে গতকালও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগের দিনের মতো গতকালও বিক্ষোভে পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া, জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং বর্ধিত লঞ্চ ও বাসভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে বামপন্থী আট ছাত্র সংগঠন এদিন শাহবাগ অবরোধ করে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
শাহবাগে যখন পুলিশ আর ছাত্রসংগঠনগুলো মুখোমুখি অবস্থানে, ঠিক তখন নীলক্ষেতে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পুলিশের কোনো বাধা ছাড়াই সেই কর্মসূচি শেষ হয়।
আন্দোলন করা শিক্ষার্থী শাহাদত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে আমরা নীলক্ষেতে এসে অবস্থান নিই। ঘণ্টাখানেক আমরা ওখানে ছিলাম। পুলিশ দাবিগুলো শুনে একাত্মতা প্রকাশ করে।’
সোমবার শান্তিনগরেও চলে ছাত্র-বিক্ষোভ। শতাধিক শিক্ষার্থী প্রথমে শান্তিনগর মোড় অবরোধ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড় হয়ে আবার শান্তিনগর এসে অবস্থান নেন। বেলা পৌনে ২টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান। সেখানেও পুলিশি বাধা ছাড়া কর্মসূচি শেষ হয়। তবে টুকরো টুকরো এই চিত্রগুলো শুধু মুদ্রার এক পিঠ বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী। নটর ডেম কলেজের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাস্তায় নামলে আমরা সরাসরি কোনো বাধা পাচ্ছি না, এটা ঠিক। কিন্তু যাঁরাই বিক্ষোভে সামনের দিকে অবস্থান করছেন বা একটু সোচ্চার হচ্ছেন; তাঁদের নাম, আইডি নম্বর নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরোক্ষভাবে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হচ্ছে।’
সিদ্ধেশ্বরী কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলিক্রসের এক ছাত্রীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুনেছি, স্কুল থেকে তাকে বলা হয়েছে, পুলিশি ঝামেলা না মেটালে তাকে টিসি দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, বিক্ষোভে সে আর আসবে না।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি
নীলক্ষেতে আধা ঘণ্টার মতো অবস্থান করে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সড়কে সব হত্যার বিচার করা; সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি; গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই নয় দফা আদায়ে স্মারকলিপি দেয়। আর আজ এই দাবিগুলো আদায়ে বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ভবন ঘেরাও করা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি আন্তরিক। লেখাপড়া বাদ দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় কর্মসূচি করার কোনো দরকার নেই।’
বাস আটকে প্রতিবাদ
যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় সোমবার বেশ কয়েকটি বাস আটকে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর ১২টায় নীলক্ষেতে ঢাকা কলেজের বিপরীতে বিকাশ পরিবহনের একটি বাস ঘণ্টাখানেক আটকে রাখা হয়। ঢাকা কলেজের ছাত্র সজীব আহমেদ জয় জানান, বিকাশ পরিবহনের বাসগুলোর চালক এবং সহকারীরা প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ইমপেরিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রাইদা পরিবহনের পঞ্চাশটি বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে রাইদা বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পুলিশ শিক্ষার্থীদের রামপুরা থানায় নিয়ে যায়। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা জানান, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বন্ধে কিছু নিয়মাবলি প্রতিটি বাসে লিফলেট আকারে লাগিয়ে দিতে হবে। রাইদার মালিকপক্ষ এ দাবি দুদিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বাসগুলো ছেড়ে দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪