খান রফিক, বরিশাল
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে—এমন আশা থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে এবার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নদ-নদী ও সাগরে গিয়ে খালি হাতে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। কারণ, ওই সময় নির্বিচারে ইলিশ শিকার করেন কিছু অসাধু জেলে। গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এবার যাতে নিষেধাজ্ঞার সুফল মেলে, সে লক্ষ্যে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর নদ-নদীর ৩২টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ রক্ষায় এসব স্পট বাড়তি নজরদারিতে রাখা হবে।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত সভায় ইলিশ বিচরণে নদ-নদীর ৩২টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর এই পয়েন্টগুলোয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার প্রবণতা ছিল খুব বেশি। এগুলোর মধ্যে বরিশালে মেঘনা ও তার শাখানদীর সাতটি পয়েন্ট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর এসব পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বাধা দিতে গেলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হামলার মুখে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে। যে কারণে এ বছর এসব এলাকায় বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জানতে চাইলে বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ৮০ শতাংশ ইলিশের পেটে ডিম আসে আশ্বিন মাসে। ইলিশ শুধু মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ে। তাই এ মাসে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ সাগরের নোনাজল ছেড়ে মিঠাপানির নদীমুখী হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় পানি বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ইলিশের ঝাঁক নদীতে চলে আসে। তাই মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য প্রতিবছর আশ্বিনে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা মাঝে রেখে ২২ দিন ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে।
মেঘনাঘেরা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ২০ জন ফোর্স দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। এ পর্যন্ত ১৬টি সচেতনতা সভা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করতে স্থানীয় এমপি আজ (বৃহস্পতিবার) মেহেন্দীগঞ্জে একাধিক সভা করবেন।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব হিজলা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘মা ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হলে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করতে হবে।’
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এবার যৌথ বাহিনী টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকা এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এর মধ্যে ৩২ জন কর্মকর্তাকে বরিশালে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে—এমন আশা থাকলেও উল্টো চিত্র দেখা গেছে এবার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নদ-নদী ও সাগরে গিয়ে খালি হাতে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। কারণ, ওই সময় নির্বিচারে ইলিশ শিকার করেন কিছু অসাধু জেলে। গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এবার যাতে নিষেধাজ্ঞার সুফল মেলে, সে লক্ষ্যে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর নদ-নদীর ৩২টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ রক্ষায় এসব স্পট বাড়তি নজরদারিতে রাখা হবে।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে মৎস্য অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত সভায় ইলিশ বিচরণে নদ-নদীর ৩২টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর এই পয়েন্টগুলোয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার প্রবণতা ছিল খুব বেশি। এগুলোর মধ্যে বরিশালে মেঘনা ও তার শাখানদীর সাতটি পয়েন্ট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর এসব পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বাধা দিতে গেলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হামলার মুখে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলিবর্ষণ করতে হয়েছে। যে কারণে এ বছর এসব এলাকায় বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
জানতে চাইলে বরিশালের মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ৮০ শতাংশ ইলিশের পেটে ডিম আসে আশ্বিন মাসে। ইলিশ শুধু মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ে। তাই এ মাসে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ সাগরের নোনাজল ছেড়ে মিঠাপানির নদীমুখী হয়। পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় পানি বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ইলিশের ঝাঁক নদীতে চলে আসে। তাই মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার জন্য প্রতিবছর আশ্বিনে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা মাঝে রেখে ২২ দিন ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে।
মেঘনাঘেরা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ২০ জন ফোর্স দেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। এ পর্যন্ত ১৬টি সচেতনতা সভা করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করতে স্থানীয় এমপি আজ (বৃহস্পতিবার) মেহেন্দীগঞ্জে একাধিক সভা করবেন।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব হিজলা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘মা ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হলে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করতে হবে।’
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এবার যৌথ বাহিনী টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকা এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এর মধ্যে ৩২ জন কর্মকর্তাকে বরিশালে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪