রজত কান্তি রায়, ঢাকা
দিন দিন ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তো বাড়ছেই। এর ফলে একদিকে বাড়ছে মনমাতানো প্রোডাকশনের হার, অন্যদিকে বাড়ছে শিল্পী, কলাকুশলীসহ একটি ভিডিও প্রোডাকশনের পেছনের মানুষের সৃষ্টিশীল কাজের পরিধি এবং অবশ্যই অর্থ। সবকিছুই শুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। করোনা-পরবর্তী স্থবির বিনোদনমাধ্যমকে ওয়েব সিরিজ দারুণ গতি দিয়েছে। এর জন্য নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম, হটস্টার, হইচই, চরকিসহ সব প্ল্যাটফর্ম ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একসময়ের হারিয়ে যাওয়া দাপুটে অভিনেতাদের বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দারুণভাবে ফিরে আসাটাও বড় পাওয়া। সেই সঙ্গে নতুন অভিনেতার অভিষেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ মাধ্যম।
আলোচনা হচ্ছে, ওয়েব সিরিজগুলোতে ডার্ক ফিকশনের আধিক্য নিয়ে। অনেকেই বলছেন, ওয়েব সিরিজ মানেই কি ডার্ক অথবা সেমি ডার্ক ফিকশন? উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, উপমহাদেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ‘স্যাকরেড গেমস’, ‘মির্জাপুর’ কিংবা হালের জনপ্রিয় বাংলা ওয়েব সিরিজ ‘মন্দার’, ‘বলি’ ইত্যাদির কথা। ইংরেজি, কোরিয়ান কিংবা অন্যান্য ভাষার ওয়েব সিরিজগুলো আছে এ কাতারে।
ডার্ক ফিকশন বিষয়টি নতুন নয়। আগে হরর জনরার ছবি বা দীর্ঘ ধারাবাহিককে নির্দেশ করতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে শব্দ দুটি। ভয়, মৃত্যু, মানুষের অশুভ দিক বা সিনসিটর সাইডের বৈশিষ্ট্য। তবে এর সঙ্গে হালের ওয়েব সিরিজগুলোতে যুক্ত হয়েছে অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ, যৌনতা, নৃশংসতা ইত্যাদি। বিষয়গুলো আগেও ছিল, সম্ভবত এর বহুল ব্যবহারের কারণেই এখন কথা উঠছে।
উপমহাদেশ এবং এর বাইরের সিরিজগুলোতে ডার্ক ফিকশনের ধরন কিছুটা আলাদা। হলিউড বা কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হওয়া ডার্ক সিরিজগুলোর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যৌনতা ও নৃশংসতা। কিন্তু উপমহাদেশের বাংলা, হিন্দি বা অন্য ভাষায় নির্মিত সিরিজগুলোতে গোলাগুলি, মৃত্যু, খুন থাকলেও বীভৎস মৃত্যুর দৃশ্য কম। এখানে যৌনতার সঙ্গে যোগ হয়েছে অশ্লীল ভাষার ব্যবহার। সোজা কথায় গালাগালি।
রগরগে যৌন দৃশ্য বা গালাগালির বিষয়টি ওয়েব সিরিজের শুরু থেকেই আলোচিত হয়ে আসছে আমাদের দেশে। হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যে। সেগুলোতে গালাগালি থাকলেও বীভৎসতা ও যৌনতার বিষয়টি খুব একটা আসেনি। অতিসম্প্রতি হইচইয়ের জনপ্রিয় ‘মন্দার’ ও ‘বলি’তেও গালাগালি, যৌনতা, বীভৎসতার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চোখে পড়েছে। কিন্তু নেটফ্লিক্স, আমাজান প্রাইম, হটস্টারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা পাওয়া সিরিজগুলো ডার্ক ফ্যান্টাসিতে ভরপুর।
এসব ডার্ক ফিকশন মানুষের মনে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, সে আলোচনায় না গিয়েও বলা চলে, এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ পাওয়া যায়নি ওয়েবের দুনিয়ায়, যতটা পাওয়া গেছে ডার্ক ফিকশন। পারিবারিক কাহিনি নিয়েও দুর্দান্ত ওয়েব সিরিজ এখনো অধরা থেকে গেছে। অথচ কমেডি, ফ্যামিলি ড্রামা—এসব জনরার ছবি এখনো তৈরি হচ্ছে হরহামেশা। নেটফ্লিক্সে তৈরি হয়েছে ‘লুডু’ বা ‘পাগলায়েত’-এর মতো দুর্দান্ত ছবি। কিন্তু ওয়েব সিরিজ হলেও তুলনায় কম। তাহলে কি, ওয়েব সিরিজ মানেই ডার্ক?
সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজ ‘আরণ্যক’। অসাধারণ প্লট, অভিনয় ও মেকিংয়ের এ সিরিজটি দর্শকদের বিনোদিত করেছে বিপুলভাবে। এটিও সেমি ডার্ক ফিকশন ঘরানার। এ সিরিজটি প্রমাণ করেছে, ডার্ক হলেও যৌনতা, গালাগালি, নৃশংসতার পরিমাণ কম থাকলেও ওয়েব সিরিজ চলে, জনপ্রিয় হয়। তাহলে কি সামনে ওয়েব সিরিজের জগতে বদল আসতে চলেছে? সময়ই বলে দেবে উত্তর।
দিন দিন ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তো বাড়ছেই। এর ফলে একদিকে বাড়ছে মনমাতানো প্রোডাকশনের হার, অন্যদিকে বাড়ছে শিল্পী, কলাকুশলীসহ একটি ভিডিও প্রোডাকশনের পেছনের মানুষের সৃষ্টিশীল কাজের পরিধি এবং অবশ্যই অর্থ। সবকিছুই শুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। করোনা-পরবর্তী স্থবির বিনোদনমাধ্যমকে ওয়েব সিরিজ দারুণ গতি দিয়েছে। এর জন্য নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম, হটস্টার, হইচই, চরকিসহ সব প্ল্যাটফর্ম ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একসময়ের হারিয়ে যাওয়া দাপুটে অভিনেতাদের বৈচিত্র্যময় চরিত্রে দারুণভাবে ফিরে আসাটাও বড় পাওয়া। সেই সঙ্গে নতুন অভিনেতার অভিষেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ মাধ্যম।
আলোচনা হচ্ছে, ওয়েব সিরিজগুলোতে ডার্ক ফিকশনের আধিক্য নিয়ে। অনেকেই বলছেন, ওয়েব সিরিজ মানেই কি ডার্ক অথবা সেমি ডার্ক ফিকশন? উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, উপমহাদেশের জনপ্রিয় কনটেন্ট ‘স্যাকরেড গেমস’, ‘মির্জাপুর’ কিংবা হালের জনপ্রিয় বাংলা ওয়েব সিরিজ ‘মন্দার’, ‘বলি’ ইত্যাদির কথা। ইংরেজি, কোরিয়ান কিংবা অন্যান্য ভাষার ওয়েব সিরিজগুলো আছে এ কাতারে।
ডার্ক ফিকশন বিষয়টি নতুন নয়। আগে হরর জনরার ছবি বা দীর্ঘ ধারাবাহিককে নির্দেশ করতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে শব্দ দুটি। ভয়, মৃত্যু, মানুষের অশুভ দিক বা সিনসিটর সাইডের বৈশিষ্ট্য। তবে এর সঙ্গে হালের ওয়েব সিরিজগুলোতে যুক্ত হয়েছে অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ, যৌনতা, নৃশংসতা ইত্যাদি। বিষয়গুলো আগেও ছিল, সম্ভবত এর বহুল ব্যবহারের কারণেই এখন কথা উঠছে।
উপমহাদেশ এবং এর বাইরের সিরিজগুলোতে ডার্ক ফিকশনের ধরন কিছুটা আলাদা। হলিউড বা কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হওয়া ডার্ক সিরিজগুলোর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যৌনতা ও নৃশংসতা। কিন্তু উপমহাদেশের বাংলা, হিন্দি বা অন্য ভাষায় নির্মিত সিরিজগুলোতে গোলাগুলি, মৃত্যু, খুন থাকলেও বীভৎস মৃত্যুর দৃশ্য কম। এখানে যৌনতার সঙ্গে যোগ হয়েছে অশ্লীল ভাষার ব্যবহার। সোজা কথায় গালাগালি।
রগরগে যৌন দৃশ্য বা গালাগালির বিষয়টি ওয়েব সিরিজের শুরু থেকেই আলোচিত হয়ে আসছে আমাদের দেশে। হাতে গোনা কয়েকটি বাংলা ওয়েব সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যে। সেগুলোতে গালাগালি থাকলেও বীভৎসতা ও যৌনতার বিষয়টি খুব একটা আসেনি। অতিসম্প্রতি হইচইয়ের জনপ্রিয় ‘মন্দার’ ও ‘বলি’তেও গালাগালি, যৌনতা, বীভৎসতার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার চোখে পড়েছে। কিন্তু নেটফ্লিক্স, আমাজান প্রাইম, হটস্টারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা পাওয়া সিরিজগুলো ডার্ক ফ্যান্টাসিতে ভরপুর।
এসব ডার্ক ফিকশন মানুষের মনে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, সে আলোচনায় না গিয়েও বলা চলে, এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ পাওয়া যায়নি ওয়েবের দুনিয়ায়, যতটা পাওয়া গেছে ডার্ক ফিকশন। পারিবারিক কাহিনি নিয়েও দুর্দান্ত ওয়েব সিরিজ এখনো অধরা থেকে গেছে। অথচ কমেডি, ফ্যামিলি ড্রামা—এসব জনরার ছবি এখনো তৈরি হচ্ছে হরহামেশা। নেটফ্লিক্সে তৈরি হয়েছে ‘লুডু’ বা ‘পাগলায়েত’-এর মতো দুর্দান্ত ছবি। কিন্তু ওয়েব সিরিজ হলেও তুলনায় কম। তাহলে কি, ওয়েব সিরিজ মানেই ডার্ক?
সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজ ‘আরণ্যক’। অসাধারণ প্লট, অভিনয় ও মেকিংয়ের এ সিরিজটি দর্শকদের বিনোদিত করেছে বিপুলভাবে। এটিও সেমি ডার্ক ফিকশন ঘরানার। এ সিরিজটি প্রমাণ করেছে, ডার্ক হলেও যৌনতা, গালাগালি, নৃশংসতার পরিমাণ কম থাকলেও ওয়েব সিরিজ চলে, জনপ্রিয় হয়। তাহলে কি সামনে ওয়েব সিরিজের জগতে বদল আসতে চলেছে? সময়ই বলে দেবে উত্তর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪