Ajker Patrika

আলোচনায় বারাকাত-টাইগার

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) ও পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২২, ১৫: ৪৫
আলোচনায় বারাকাত-টাইগার

এক দিন পরেই ঈদুল আজহা। এ জন্য পশুর হাটে ভিড় বেড়েছে কোরবানি করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের। অনেকে খোঁজ করছেন বড় গরুর। এ কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের গরু বারাকাত ও কুড়িগ্রামের উলিপুরের টাইগার আলোচনায় এসেছে। বারাকাতের দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। টাইগারের দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।

পীরগঞ্জের চার বছর বয়সী গরু বারাকাতের ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি। চার দাঁত, সাদা-কালো রঙের। গরুটি লম্বা ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট। উপজেলায় ৫ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নের থুমুনিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে এটি লালন-পালন করেছেন জিল্লুর রহমান।

জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতারা ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এর দাম তুলেছেন। গরুটির খাদ্যতালিকায় রয়েছে ঘাস, লতা-পাতা, খৈল, খড়, ভাতের মাড়। ঢাকার গাবতলিতে নিয়ে গরুটি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। গরু বারাকাতকে মোটাতাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কোনো কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

উলিপুরের টাইগার এদিকে উলিপুরের ধামশ্রেণী ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে একটি বাড়িতে লালন-পালন হয়েছে টাইগারের। মালিক ফারুক আহমেদ জানান, ষাঁড়টি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। ২৪ মণ ওজনের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে সাত ফুট, উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। টাইগারের বয়স প্রায় সাড়ে তিন বছর।

ফারুক আহমেদ আরও জানান, কোনো ক্ষতিকর বড়ি বা ইনজেকশন ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে। খড়, ঘাস, খৈল, ভুসি, খুদের ভাতসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ষাঁড়টির পেছনে দৈনিক হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এসে ষাঁড়টি দেখে যান, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হচ্ছে না। তিনি ৬ লাখ টাকায় টাইগারকে বিক্রি করতে চান। তিনি আশা করেন টাইগারকে উপযুক্ত দামেই বিক্রি করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত