সদরুল আমিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, সড়কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ উপজেলার সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উঁচু জমির শতাধিক একর বোরোখেত। ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বীজতলা, সবজিবাগান, মাছের খামার ও গ্রামীণ রাস্তাঘাটে সর্বত্রই বন্যার পানিতে থইথই করছে।
ইতিমধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ১৩ ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শহরের অদূরে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের কিছু জায়গা ছাড়া বেশির ভাগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি শহরের অলিগলিতে বন্যার পানি উঠে গেছে। ছাতক-দোয়ারা, আমবাড়ি, মুক্তিরগাঁও, বালিউরা, নরশিংপুর, হায়দরপুর, লামারসুলগঞ্জ, বড়কাপন, হাদা সড়কসহ গ্রামীণ সব কটি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার দোলারবাজার এলাকার বাসিন্দা জানান, পানিবন্দী হয়ে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বসতবাড়িতে এখন অথই পানি। খাবারের সংকটের পাশাপাশি, গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে গ্রামীণ হাটবাজার ছাড়াও ছাতক শহর, নোয়ারাই বাজার, ফকিরটিলা ও পেপার মিল এলাকার বেশ কয়েকটি অফিস, বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দোলারবাজার, ধারণবাজার, জাউয়াবাজার, আলীগঞ্জ বাজার, পীরপুর বাজার, কপলাবাজার, বুরাইয়া বাজার, জাহিদপুর বাজার, কামারগাঁও বাজারসহ নিম্নাঞ্চল এলাকার ঘরবাড়ি।
ব্যবসায়ীরা জানান, একাধারে ভারী বর্ষণ ও ঢলে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দোকান ও বাসাবাড়ির মালামাল সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে তাঁরা অবস্থান করেন। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ শহরের সব চুনশিল্প কারখানা ও ক্রাশার মিল বন্ধ। সুরমা নদীতে নৌকা-কার্গো লোডিং, আনলোডিং বন্ধ রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিকেরা বেকার দিন পার করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, গতকাল সকাল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সব নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি খেয়া পারাপারও বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার পৌরসভাসহ উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, সিংচাপইড়, ভাতগাঁও, চরমহল্লা, দোলারবাজার, নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছাতক সদর ও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আব্দুল খালিক রাজা বলেন, ‘বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সবজিবাগান, মাছের খামার, ঘরবাড়ি ও উঁচু জমির বোরো ফসল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে।’
ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল বলেন, ‘বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এই ইউনিয়নের নিচু এলাকার অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।’
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ, সড়কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ উপজেলার সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উঁচু জমির শতাধিক একর বোরোখেত। ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বীজতলা, সবজিবাগান, মাছের খামার ও গ্রামীণ রাস্তাঘাটে সর্বত্রই বন্যার পানিতে থইথই করছে।
ইতিমধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ১৩ ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শহরের অদূরে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের কিছু জায়গা ছাড়া বেশির ভাগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি শহরের অলিগলিতে বন্যার পানি উঠে গেছে। ছাতক-দোয়ারা, আমবাড়ি, মুক্তিরগাঁও, বালিউরা, নরশিংপুর, হায়দরপুর, লামারসুলগঞ্জ, বড়কাপন, হাদা সড়কসহ গ্রামীণ সব কটি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার দোলারবাজার এলাকার বাসিন্দা জানান, পানিবন্দী হয়ে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বসতবাড়িতে এখন অথই পানি। খাবারের সংকটের পাশাপাশি, গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে গ্রামীণ হাটবাজার ছাড়াও ছাতক শহর, নোয়ারাই বাজার, ফকিরটিলা ও পেপার মিল এলাকার বেশ কয়েকটি অফিস, বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দোলারবাজার, ধারণবাজার, জাউয়াবাজার, আলীগঞ্জ বাজার, পীরপুর বাজার, কপলাবাজার, বুরাইয়া বাজার, জাহিদপুর বাজার, কামারগাঁও বাজারসহ নিম্নাঞ্চল এলাকার ঘরবাড়ি।
ব্যবসায়ীরা জানান, একাধারে ভারী বর্ষণ ও ঢলে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দোকান ও বাসাবাড়ির মালামাল সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে তাঁরা অবস্থান করেন। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ শহরের সব চুনশিল্প কারখানা ও ক্রাশার মিল বন্ধ। সুরমা নদীতে নৌকা-কার্গো লোডিং, আনলোডিং বন্ধ রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিকেরা বেকার দিন পার করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, গতকাল সকাল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সব নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি খেয়া পারাপারও বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার পৌরসভাসহ উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, সিংচাপইড়, ভাতগাঁও, চরমহল্লা, দোলারবাজার, নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছাতক সদর ও ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আব্দুল খালিক রাজা বলেন, ‘বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সবজিবাগান, মাছের খামার, ঘরবাড়ি ও উঁচু জমির বোরো ফসল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে।’
ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল বলেন, ‘বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এই ইউনিয়নের নিচু এলাকার অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।’
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রহমান বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫