Ajker Patrika

৫ম শ্রেণির ফলের আগেই ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৫ম শ্রেণির ফলের আগেই ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি

পঞ্চগড়ে পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিকের (বার্ষিক পরীক্ষা) ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই লটারির মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী।

প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেয় তারা। ফলাফল বের হওয়ার আগেই নতুন শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকেরা।

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল বুধবার পঞ্চম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম চলে। এসব শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যয়নপত্র নিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরাও লটারিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যয়নপত্র দেন।

এক স্কুলশিক্ষার্থীর অভিভাবক আহমেদ ফারুক বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল হওয়ার আগেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির লটারি হয়। নতুন শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছেলেকে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া নতুন স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেবে না বলে জানায়। এতে দুশ্চিন্তায় আছি, যদি সে পঞ্চম শ্রেণিতে অকৃতকার্য হয়, তাহলে এসব কার্যক্রম বৃথা।’

শহরের একটি মহল্লার অভিভাবক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা শেষ না হতেই ভর্তির কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তাদের সঙ্গে আমরাও বিপাকে পড়েছি। এ কারণে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনেকটা অনাগ্রহের সঙ্গে দিয়েছে তারা। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে আমার সন্তানের আগ্রহ অনেক কমে গেছে।’

পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল হওয়ার আগেই ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়। এ জন্য অভিভাবকেরা সন্তানদের ভর্তি করাতে অস্থির হয়ে পড়েন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা নিরুপায় হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রত্যয়নপত্র দেন।’

পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারিতে নির্বাচিত প্রভাতি ও দিবা শাখায় ১২০ জন করে মোট ২৪০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছে, তাদের প্রত্যয়নপত্র নিয়েছি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তির পরও কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত