ড. ইমতিয়াজ আহমেদ
নিজ দেশের ওপর ভরসা রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কার অভিজাত শ্রেণি। ফলে তারা যে পরিমাণ অর্থ বৈধ ও অবৈধভাবে উপার্জন করেছে না কেন, তা দেশের বাইরে পাচার করেছে। যার পরিণতি দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি।
দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। আর এ যুদ্ধ ছিল গৃহযুদ্ধ। বাইরের কোনো শক্তি বা দেশের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে অভ্যন্তরীণভাবে একটি দেশাত্মবোধ তৈরি হতো। যেহেতু যুদ্ধটি ছিল অভ্যন্তরীণ এবং নিজ জনগণের মধ্যে, ফলে দেশটির এলিট বা অভিজাত শ্রেণি শ্রীলঙ্কার সরকার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। এর ফলে দেশটি থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাচার হয়েছে।
দেশের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে তামিলরা সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করেছে। কারণ তারা দীর্ঘ সময় ধরে একটি সংঘাতের মধ্যে ছিল। এর বাইরেও অন্য নাগরিকেরাও বিশেষ করে আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়িক অভিজাতরা প্রতিনিয়তই অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। এ অভিজাত শ্রেণির লোকজন তাদের পরিবারকে দেশের বাইরেই রেখেছে, আর নিজেরা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে। একটি দেশের অভিজাত এ শ্রেণিটি যদি দেশের ওপর ভরসা না রাখতে পারে, তাহলে সে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির এটি অন্যতম একটি কারণ।
এর বাইরে ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলা দেশটির অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়েছে। এ সময় শ্রীলঙ্কার মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে হামলার ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে বহুজাতিক কোনো পাঁচ তারকা হোটেলে হামলা হয়নি। এতে করে দেশটিতে দামি পর্যটক কমে গিয়েছে। ওই দেশের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে পর্যটন ও দামি মূল্যের পাথর বিক্রি। তাই দামি (হাই ভ্যালুড) পর্যটক কমে যাওয়ায় দামি মূল্যের পাথর বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আর এরপর এসেছে করোনা, যা পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে শ্রীলঙ্কা উতরে যেতে পারত যদি সে দেশের অভিজাত শ্রেণি দেশটির ওপর আস্থা রাখত।
শ্রীলঙ্কা বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের দায় নেই। যেহেতু গণমাধ্যমের ওপর পশ্চিমা প্রভাব খুব বেশি। তাই মানুষের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিকে চীনের বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়াটা খুবই সহজ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দেশটিতে চীনের ঋণের যে পরিমাণ রয়েছে তার থেকে জাপানের ঋণ বেশি। তবে জাপানের নাম একবারের জন্যও গণমাধ্যমে আসেনি। দুটি দেশের দেওয়া ঋণ মোট ঋণের ১০ ভাগ করে হবে। ফলে চীন কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এ পরিস্থিতি থেকে ভারত সুবিধা নিতে পারবে না। কারণ ভারতের নিজেরই অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। আর ভারতের চীনের মতো বিনিয়োগের সে পরিমাণ অর্থ নেই।
(অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১৬ থেকে দুই বছরের জন্য শ্রীলঙ্কায় কলম্বোভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিজওনাল সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আরসিএসএস) নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।)
নিজ দেশের ওপর ভরসা রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কার অভিজাত শ্রেণি। ফলে তারা যে পরিমাণ অর্থ বৈধ ও অবৈধভাবে উপার্জন করেছে না কেন, তা দেশের বাইরে পাচার করেছে। যার পরিণতি দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি।
দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। আর এ যুদ্ধ ছিল গৃহযুদ্ধ। বাইরের কোনো শক্তি বা দেশের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধ হতো, তাহলে অভ্যন্তরীণভাবে একটি দেশাত্মবোধ তৈরি হতো। যেহেতু যুদ্ধটি ছিল অভ্যন্তরীণ এবং নিজ জনগণের মধ্যে, ফলে দেশটির এলিট বা অভিজাত শ্রেণি শ্রীলঙ্কার সরকার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। এর ফলে দেশটি থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাচার হয়েছে।
দেশের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে তামিলরা সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করেছে। কারণ তারা দীর্ঘ সময় ধরে একটি সংঘাতের মধ্যে ছিল। এর বাইরেও অন্য নাগরিকেরাও বিশেষ করে আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়িক অভিজাতরা প্রতিনিয়তই অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। এ অভিজাত শ্রেণির লোকজন তাদের পরিবারকে দেশের বাইরেই রেখেছে, আর নিজেরা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে। একটি দেশের অভিজাত এ শ্রেণিটি যদি দেশের ওপর ভরসা না রাখতে পারে, তাহলে সে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির এটি অন্যতম একটি কারণ।
এর বাইরে ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলা দেশটির অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়েছে। এ সময় শ্রীলঙ্কার মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে হামলার ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে বহুজাতিক কোনো পাঁচ তারকা হোটেলে হামলা হয়নি। এতে করে দেশটিতে দামি পর্যটক কমে গিয়েছে। ওই দেশের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে পর্যটন ও দামি মূল্যের পাথর বিক্রি। তাই দামি (হাই ভ্যালুড) পর্যটক কমে যাওয়ায় দামি মূল্যের পাথর বিক্রিও কমে গিয়েছে।
আর এরপর এসেছে করোনা, যা পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে শ্রীলঙ্কা উতরে যেতে পারত যদি সে দেশের অভিজাত শ্রেণি দেশটির ওপর আস্থা রাখত।
শ্রীলঙ্কা বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের দায় নেই। যেহেতু গণমাধ্যমের ওপর পশ্চিমা প্রভাব খুব বেশি। তাই মানুষের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিকে চীনের বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়াটা খুবই সহজ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে দেশটিতে চীনের ঋণের যে পরিমাণ রয়েছে তার থেকে জাপানের ঋণ বেশি। তবে জাপানের নাম একবারের জন্যও গণমাধ্যমে আসেনি। দুটি দেশের দেওয়া ঋণ মোট ঋণের ১০ ভাগ করে হবে। ফলে চীন কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও এ পরিস্থিতি থেকে ভারত সুবিধা নিতে পারবে না। কারণ ভারতের নিজেরই অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। আর ভারতের চীনের মতো বিনিয়োগের সে পরিমাণ অর্থ নেই।
(অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১৬ থেকে দুই বছরের জন্য শ্রীলঙ্কায় কলম্বোভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিজওনাল সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আরসিএসএস) নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।)
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫