Ajker Patrika

এটা ভালো লক্ষণ নয়, খারাপ লক্ষণ

খালেদ মাসুদ পাইলট
এটা ভালো লক্ষণ নয়, খারাপ লক্ষণ

দলে বেশি কিছু পরিবর্তন করার ছিল না। যেটা হওয়ার কথা ছিল সেটাই হয়েছে। ১৯-২০ পার্থক্য হতে পারে। কথা হলো, ফল কী হবে? কাগজে-কলমে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না। এটাও ঠিক, ভিন্ন একটা টুর্নামেন্ট। তবে খেলোয়াড়েরা যদি পেছনের বিষয়গুলো না ভেবে খেলতে পারে, নতুন উদ্দীপনায় নতুনভাবে খেলতে পারে, সব ভুলে নতুন করে যদি শুরু করে, টুর্নামেন্টে যেকোনো দলই ফেবারিট। ভারত অনেক ভালো দল, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ভালো দল। এরপর বাংলাদেশও ভালো দল।

দলের সবাই পরিচিত মুখ। সমস্যাটা হচ্ছে, পারফরম্যান্স করে দলে আপনি ঢুকলেন, সেটা একরকম হয়। আর দুই বছর আগে যেসব খেলোয়াড় খারাপ খেলায় বাদ পড়েছে, তাদের এমন কোনো পারফরম্যান্স নেই যে সেটি দিয়ে দলে এসেছে। লিটন দাস চোটে পড়েছে বলেই সে এখন দলে নেই, সোহান দলে আছে কিন্তু চোট কাটিয়ে না উঠলে হয়তো না-ও খেলতে পারে। এ কারণেই কিছু খেলোয়াড় দলে এসেছে। এটা কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়, খারাপ লক্ষণ। হয়েছে কি, খেলোয়াড়েরা চোটে পড়ায় আপনি বিকল্প পাচ্ছেন না। সোহান-লিটনের মতো খেলোয়াড় খুঁজে পাচ্ছেন না। এখন এই খেলোয়াড়েরা চমক দেখাতে পারে, আবার না-ও পারে। তারা তো ভালো খেলে দলে আসেনি।

সিরিজ খেলা আর টুর্নামেন্ট খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। এই টুর্নামেন্টে ভারত, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বলে কোনো পার্থক্য থাকবে না। বাংলাদেশ যদি সেই উদ্দীপনা নিয়ে খেলতে পারে, খেলোয়াড় কম্বিনেশনও ভালো। সাকিব অধিনায়ক হয়েছে, এটা খুবই ভালো। একজন পারফরমার অধিনায়ক, যেটা দলের জন্য খুবই ভালো। বোলিং-ব্যাটিংয়ে ভালো করবে, অনেক অভিজ্ঞতা তার। বাদবাকিদের যে পারফরম্যান্স ঘাটতি...তিন বিভাগে যদি ভালো করতে পারি, তাহলে ভালো সম্ভাবনা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত