বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় জেলার অভ্যন্তরে ৮টি সড়কে মোট ১৫৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক বিভাগের আওতায় ৭৬টি সেতুর ৭৪টিই চলছে জোড়াতালি দিয়ে। বর্তমানে জরাজীর্ণ এসব সেতুতে স্বাভাবিক খুঁটির পাশাপাশি আলাদাভাবে লোহার পাইপ বেঁধে সচল রাখা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেতু যেকোনো সময় ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও গাড়িচালকেরা।
বান্দরবান সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সড়ক চালু হওয়ার পর থেকে ইস্পাত দিয়ে বেইলি সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে দীর্ঘ বছরেও পাকা গার্ডার সেতু না হওয়ায় বেইলি সেতুগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সড়ক বিভাগ তাই প্রতিটি সেতুর দুই পাশেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, সর্বোচ্চ ৫ টন মালামাল গাড়িতে পরিবহন করা যাবে’—এমন বিজ্ঞপ্তিসংবলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। ৭৬টি সেতুর ইতিমধ্যে ২টি পাকা সেতু নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি আরও কয়েকটি পাকা সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তবে এই নোটিশ লাগালেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দিয়ে পাঁচ টনের অধিক পণ্যবাহী গাড়িও চলাচল করে। ফলে সেতুগুলো আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বেইলি সেতুগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় সড়ক বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে, মাঝেমধ্যে সংস্কার করে এগুলো যান চলাচলের জন্য সচল রেখেছে। কিন্তু অনেকগুলো সেতু এতটাই জরাজীর্ণ যে, বেইলি সেতুকে টিকিয়ে রাখতে আলাদা লোহার পাইপের সাহায্যে ঠেস দিয়ে সেতুগুলো কোনোমতে চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা, বান্দরবান-থানচি, চকরিয়া-ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম, বারআউলিয়া-টংকাবতী সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়ক বিভাগের আওতায় ৭৬টি বেইলি সেতুকে পাকা গার্ডার সেতুতে পরিণত করার কাজ চলছে। প্রথম দফায় ১২টি সেতু পাকা গার্ডার করার প্রাক্কলন করে সড়ক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এসব সেতুর মধ্যে লামা উপজেলার কুমারী এলাকায় ৪১ মিটার একটি পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলার বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী বেইলি সেতুর স্থলেও ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের হানসামা এলাকায় নোয়াপতং খালের ওপর ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বান্দরবানের সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত ও গতিশীল হবে। অন্য ৯টি বেইলি সেতুও পাকা গার্ডার সেতু হিসেবে তৈরি করা হবে।
বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলোর মধ্যে চকরিয়া-লামা-ফাঁসিয়াখালী-আলীকদম সড়কের ইয়াংছা এলাকার বেইলি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি চালু রাখতে সেতুর স্বাভাবিক খুঁটির পাশাপাশি আলাদাভাবে পাইপ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বান্দরবান সড়ক বিভাগের লামা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী পুর্ণেন্দ্র বিকাশ চাকমা আজকের পত্রিকাকে জানান, লামা উপজেলায় যেসব বেইলি সেতু রয়েছে, এর মধ্যে ইয়াংছা সেতুটি ৫০ মিটার দীর্ঘ। সেতুটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। সেতুটি সচল রাখতে আলাদাভাবে পাইপ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই এই সেতুটি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ বছর এই বেইলি সেতু দিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হয়েছে। ফলে বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ২টি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন ঝুঁকিমুক্তভাবে যানবাহনগুলো দ্রুতবেগে চলাচল করছে। ফলে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ও প্রাক্কলনকারী (ইস্টিমিটার) মো. শরীফুজ্জামান বলেন, বান্দরবান সড়ক বিভাগের পাকা গার্ডার সেতু করার অপেক্ষায় আরও ৬৪টি বেইলি সেতু। এগুলো পাকা করার জন্য বান্দরবান সড়ক বিভাগ প্রাক্কলন তৈরির কাজ করছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেলেই এসব সেতু পাকা করার কাজ শুরু হবে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় জেলার অভ্যন্তরে ৮টি সড়কে মোট ১৫৯টি বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে সড়ক বিভাগের আওতায় ৭৬টি সেতুর ৭৪টিই চলছে জোড়াতালি দিয়ে। বর্তমানে জরাজীর্ণ এসব সেতুতে স্বাভাবিক খুঁটির পাশাপাশি আলাদাভাবে লোহার পাইপ বেঁধে সচল রাখা হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেতু যেকোনো সময় ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও গাড়িচালকেরা।
বান্দরবান সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সড়ক চালু হওয়ার পর থেকে ইস্পাত দিয়ে বেইলি সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে দীর্ঘ বছরেও পাকা গার্ডার সেতু না হওয়ায় বেইলি সেতুগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সড়ক বিভাগ তাই প্রতিটি সেতুর দুই পাশেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, সর্বোচ্চ ৫ টন মালামাল গাড়িতে পরিবহন করা যাবে’—এমন বিজ্ঞপ্তিসংবলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। ৭৬টি সেতুর ইতিমধ্যে ২টি পাকা সেতু নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি আরও কয়েকটি পাকা সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তবে এই নোটিশ লাগালেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দিয়ে পাঁচ টনের অধিক পণ্যবাহী গাড়িও চলাচল করে। ফলে সেতুগুলো আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বেইলি সেতুগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় সড়ক বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে, মাঝেমধ্যে সংস্কার করে এগুলো যান চলাচলের জন্য সচল রেখেছে। কিন্তু অনেকগুলো সেতু এতটাই জরাজীর্ণ যে, বেইলি সেতুকে টিকিয়ে রাখতে আলাদা লোহার পাইপের সাহায্যে ঠেস দিয়ে সেতুগুলো কোনোমতে চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা, বান্দরবান-থানচি, চকরিয়া-ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম, বারআউলিয়া-টংকাবতী সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সড়ক বিভাগের আওতায় ৭৬টি বেইলি সেতুকে পাকা গার্ডার সেতুতে পরিণত করার কাজ চলছে। প্রথম দফায় ১২টি সেতু পাকা গার্ডার করার প্রাক্কলন করে সড়ক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এসব সেতুর মধ্যে লামা উপজেলার কুমারী এলাকায় ৪১ মিটার একটি পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলার বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী বেইলি সেতুর স্থলেও ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের হানসামা এলাকায় নোয়াপতং খালের ওপর ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই পাকা গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বান্দরবানের সঙ্গে রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত ও গতিশীল হবে। অন্য ৯টি বেইলি সেতুও পাকা গার্ডার সেতু হিসেবে তৈরি করা হবে।
বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলোর মধ্যে চকরিয়া-লামা-ফাঁসিয়াখালী-আলীকদম সড়কের ইয়াংছা এলাকার বেইলি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি চালু রাখতে সেতুর স্বাভাবিক খুঁটির পাশাপাশি আলাদাভাবে পাইপ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বান্দরবান সড়ক বিভাগের লামা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী পুর্ণেন্দ্র বিকাশ চাকমা আজকের পত্রিকাকে জানান, লামা উপজেলায় যেসব বেইলি সেতু রয়েছে, এর মধ্যে ইয়াংছা সেতুটি ৫০ মিটার দীর্ঘ। সেতুটি বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। সেতুটি সচল রাখতে আলাদাভাবে পাইপ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই এই সেতুটি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ বছর এই বেইলি সেতু দিয়েই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হয়েছে। ফলে বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ২টি পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন ঝুঁকিমুক্তভাবে যানবাহনগুলো দ্রুতবেগে চলাচল করছে। ফলে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও গতিশীলতা আসে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ও প্রাক্কলনকারী (ইস্টিমিটার) মো. শরীফুজ্জামান বলেন, বান্দরবান সড়ক বিভাগের পাকা গার্ডার সেতু করার অপেক্ষায় আরও ৬৪টি বেইলি সেতু। এগুলো পাকা করার জন্য বান্দরবান সড়ক বিভাগ প্রাক্কলন তৈরির কাজ করছে। মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া গেলেই এসব সেতু পাকা করার কাজ শুরু হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪