Ajker Patrika

ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি পাচ্ছেন না অনেকে

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০২
Thumbnail image

পাবনার বেড়ায় খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল-আটা কিনতে ভিড় করছেন নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। ডিলাররা জানিয়েছেন, বিগত দিনের চেয়ে এবারে চাল ও আটার মান ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে। অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও চাল-আটা কিনতে পারছেন না তাঁরা। চাহিদা বেশি হওয়ায় ডিলাররা বরাদ্দ বাড়াতে খাদ্য অধিদপ্তরের সাহায্য চেয়েছেন।

বেড়া পৌর এলাকার চারজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক টন চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে সীমিত আয়ের মানুষেরা দীর্ঘ সারি দিয়ে চাল-আটা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দোকানের সামনে।

পৌর এলাকার মৈত্রবাঁধা মহল্লার সুশীল হালদার বলেন, বাজারে নিম্নমানের চাল ৪৫ ও আটা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সে কারণে তাঁরা ওএমএসের ডিলারের দোকানে ভিড় করছেন।

চাল-আটা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হয় আরেক ক্রেতা বুলবুলি খাতুনকে। তিনি ওএমএসের চাল কিনতে ডিলারের দোকানে এলে তাঁকে কাল আসতে বলা হয়েছে।

বেড়া পৌর কাঁচাবাজার এলাকার ওএমএসের ডিলার সাইফুল ইসলাম দুলাল মোল্লা বলেন, এখানে বিক্রি করা পণ্যের চাহিদা বেশি, কিন্তু বরাদ্দ কম। প্রতিদিন ৫০০ কেজি আটা ও ৫০০ কেজি চাল ২০০ জনের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলোর মান খুব ভালো হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ভিড় করছেন। বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বরাদ্দ কম থাকায় অনেকে ফিরে গেছেন। যাঁরা ফিরে যাচ্ছেন, তাঁদের নাম এন্ট্রি করে রেখে পরদিন বিক্রির শুরুতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে। চাপ সামলাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে তিনি জানান।

উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কাউসারুল আলম বলেন, বেড়া পৌর এলাকার চারজন ডিলারের মাধ্যমে (শুক্রবার ব্যতীত) প্রতিদিন চার টন করে চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে কার্যক্রমে প্রতিদিন দেড় টন চাল-আটা বরাদ্দ থাকলেও এবার এক টন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত