মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে নামজারির জটিলতায় ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ দপ্তরে নামজারির আবেদন করে বছরের পর বছর হাঁটতে হয়েছে আবেদনকারীদের। এবার ব্যতিক্রম নজির দেখিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ দপ্তরে জমা পড়া নামজারির ৭ হাজারের বেশি আবেদনের সব কটি নিষ্পত্তি করেছেন তিনি। এ ছাড়া গত বছরের ঝুলে থাকা ৪ হাজার নামজারির আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন তিনি।
শুধু নামজারি নয়, অনলাইনে খাজনা আদায়ে হোল্ডিং সংখ্যার শতভাগ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৯ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছেন তিনি; যা যশোর জেলার মধ্যে প্রথম বলে দাবি এ ভূমি কর্মকর্তার। হোল্ডিং নম্বরের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৯০ টাকা অনলাইনে খাজনা আদায় হয়েছে এ দপ্তরে।
সহকারী কমিশনার হিসেবে গত বছরের ১৯ জুলাই মনিরামপুর উপজেলা ভূমি অফিসে যোগ দেন হরেকৃষ্ণ অধিকারী। এরপর দুই মাস তিনি প্রশিক্ষণের কারণে কার্যালয়ের বাইরে কাটিয়েছেন। ৮ মাস এ দপ্তরে কাজের সময়ে তিনি ৭ হাজার ৩৪৭টি নামজারির আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন।
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই প্রথম থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত আমার দপ্তরে ৭ হাজার ৩৪৭টি নামজারির আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে মামলার জটিলতা ও আবেদনের ত্রুটি থাকায় ৩ শতাধিক আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাকি আবেদনের সব ক’টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আমি আসার পর গত অর্থবছরের ৪ হাজারের বেশি নামজারির আবেদন জমা ছিল সেগুলোও নিষ্পত্তি করেছি। মনিরামপুর ভূমি অফিসে নামজারির জটিলতা দীর্ঘদিনের।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের করোনা শুরুর পর থেকে পরপর ৪ জন সহকারী কমিশনার এ দপ্তরে যোগ দেওয়ার পর দ্রুত সময়ে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। করোনায় মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরানোর ছবি ভাইরাল হওয়ায় তখনকার এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে বদলি করা হয়। এরপর কয়েক মাস পদ শূন্য থাকার পর সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগ দেন খোরশেদ আলম। ৩-৪ মাস পর তাঁকে বদলি করা হয়। আবার কয়েক মাস খালি থাকার পর এ দপ্তরে যোগ দেন পলাশ দেবনাথ। তিনিও ৫-৭ মাসের মধ্যে বদলি হয়ে যান। তার পর গত বছরের ১৯ জুলাই এসিল্যান্ড হয়ে আসেন হরেকৃষ্ণ অধিকারী। বারবার এসিল্যান্ড বদলি হওয়ার কারণে এ দপ্তরে নামপত্তনের জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনলাইনে আবেদন করে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়েছে সেবাগ্রহীতাদের।
মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ বাবুল আক্তার বলেন, ‘তিন মাস আগে তিনটি নামজারির আবেদন করেছি। গতকাল সোমবার নামজারির কাগজ হাতে পেয়েছি। দ্রুত নামজারি করতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।’
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘‘চলতি অর্থবছরের শুরুতে জমির খাজনা আদায়ের জন্য জমির মালিকদের অনলাইনে তথ্য সংযুক্ত করা শুরু হয়। এ অর্থবছরে মনিরামপুরে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৯ হোল্ডিং নম্বরের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। জেলায় আমরাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাজনা আদায়ের জন্য জমির মালিকদের শত ভাগ তথ্য অনলাইনে সংযুক্ত করতে পেরেছি। গত ১৫ দিন আগে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। নামজারির জটিলতা কমাতে ও অনলাইনে জমির মালিকদের তথ্য সংযুক্ত করতে বন্ধের দিনও কাজ করেছি। এখন থেকে জমির মালিকেরা নায়েব অফিসে না গিয়ে বাসায় বসে অনলাইনে খাজনা দিতে পারবেন। তখন আর তাঁদের ধোঁকা দিয়ে কেউ বাড়তি টাকা নিতে পারবেন না। ইতিমধ্যে অনলাইনে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৯০ টাকা খাজনা আদায় হয়েছে।
এদিকে জনবান্ধব এ কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দিয়ে ৫ মাসের জন্য ঢাকায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। ২২ মে থেকে তাঁর প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার মনিরামপুরে তাঁর শেষ কর্মদিবস।
যশোরের মনিরামপুরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দপ্তরে নামজারির জটিলতায় ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ দপ্তরে নামজারির আবেদন করে বছরের পর বছর হাঁটতে হয়েছে আবেদনকারীদের। এবার ব্যতিক্রম নজির দেখিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ দপ্তরে জমা পড়া নামজারির ৭ হাজারের বেশি আবেদনের সব কটি নিষ্পত্তি করেছেন তিনি। এ ছাড়া গত বছরের ঝুলে থাকা ৪ হাজার নামজারির আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন তিনি।
শুধু নামজারি নয়, অনলাইনে খাজনা আদায়ে হোল্ডিং সংখ্যার শতভাগ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৯ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছেন তিনি; যা যশোর জেলার মধ্যে প্রথম বলে দাবি এ ভূমি কর্মকর্তার। হোল্ডিং নম্বরের পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৯০ টাকা অনলাইনে খাজনা আদায় হয়েছে এ দপ্তরে।
সহকারী কমিশনার হিসেবে গত বছরের ১৯ জুলাই মনিরামপুর উপজেলা ভূমি অফিসে যোগ দেন হরেকৃষ্ণ অধিকারী। এরপর দুই মাস তিনি প্রশিক্ষণের কারণে কার্যালয়ের বাইরে কাটিয়েছেন। ৮ মাস এ দপ্তরে কাজের সময়ে তিনি ৭ হাজার ৩৪৭টি নামজারির আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন।
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই প্রথম থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত আমার দপ্তরে ৭ হাজার ৩৪৭টি নামজারির আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে মামলার জটিলতা ও আবেদনের ত্রুটি থাকায় ৩ শতাধিক আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাকি আবেদনের সব ক’টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আমি আসার পর গত অর্থবছরের ৪ হাজারের বেশি নামজারির আবেদন জমা ছিল সেগুলোও নিষ্পত্তি করেছি। মনিরামপুর ভূমি অফিসে নামজারির জটিলতা দীর্ঘদিনের।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের করোনা শুরুর পর থেকে পরপর ৪ জন সহকারী কমিশনার এ দপ্তরে যোগ দেওয়ার পর দ্রুত সময়ে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। করোনায় মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরানোর ছবি ভাইরাল হওয়ায় তখনকার এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে বদলি করা হয়। এরপর কয়েক মাস পদ শূন্য থাকার পর সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগ দেন খোরশেদ আলম। ৩-৪ মাস পর তাঁকে বদলি করা হয়। আবার কয়েক মাস খালি থাকার পর এ দপ্তরে যোগ দেন পলাশ দেবনাথ। তিনিও ৫-৭ মাসের মধ্যে বদলি হয়ে যান। তার পর গত বছরের ১৯ জুলাই এসিল্যান্ড হয়ে আসেন হরেকৃষ্ণ অধিকারী। বারবার এসিল্যান্ড বদলি হওয়ার কারণে এ দপ্তরে নামপত্তনের জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনলাইনে আবেদন করে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়েছে সেবাগ্রহীতাদের।
মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ বাবুল আক্তার বলেন, ‘তিন মাস আগে তিনটি নামজারির আবেদন করেছি। গতকাল সোমবার নামজারির কাগজ হাতে পেয়েছি। দ্রুত নামজারি করতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।’
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘‘চলতি অর্থবছরের শুরুতে জমির খাজনা আদায়ের জন্য জমির মালিকদের অনলাইনে তথ্য সংযুক্ত করা শুরু হয়। এ অর্থবছরে মনিরামপুরে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৯ হোল্ডিং নম্বরের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। জেলায় আমরাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাজনা আদায়ের জন্য জমির মালিকদের শত ভাগ তথ্য অনলাইনে সংযুক্ত করতে পেরেছি। গত ১৫ দিন আগে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। নামজারির জটিলতা কমাতে ও অনলাইনে জমির মালিকদের তথ্য সংযুক্ত করতে বন্ধের দিনও কাজ করেছি। এখন থেকে জমির মালিকেরা নায়েব অফিসে না গিয়ে বাসায় বসে অনলাইনে খাজনা দিতে পারবেন। তখন আর তাঁদের ধোঁকা দিয়ে কেউ বাড়তি টাকা নিতে পারবেন না। ইতিমধ্যে অনলাইনে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৯০ টাকা খাজনা আদায় হয়েছে।
এদিকে জনবান্ধব এ কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দিয়ে ৫ মাসের জন্য ঢাকায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। ২২ মে থেকে তাঁর প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার মনিরামপুরে তাঁর শেষ কর্মদিবস।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪