সারিয়াকান্দি (প্রতিনিধি) বগুড়া
সুখদহ নদ। হারিয়ে যেতে বসেছে সারিয়াকান্দির মানচিত্র থেকে। উজান থেকে আসা পলি জমে এবং আশপাশের মাটি ভরাটের কারণে হারিয়েছে এর নাব্যতা ও গতিপথ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদটি খনন করে দিলে নাব্যতা আবার ফিরে আসবে।
উপজেলার নারচী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখদহ নদের বিভিন্ন জায়গা ভরাট হয়ে সারিয়াকান্দির মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে। অথচ এই নদী দিয়ে একসময় পালতোলা নৌকা চলত। কৃষি ফসল পরিবহনে ব্যবহার হতো। হাটবাজারে নৌকা নিয়ে নদের এই পথেই চলাচল করতেন এলাকাবাসী।
যমুনা, বাঙ্গালী ও সুখদহ নদীবিধৌত সারিয়াকান্দি। এই তিন নদীর মধ্যে যমুনা ভরা মৌসুমে প্রবল বন্যাসহ তার খরস্রোতা প্রদর্শন করে। তবে বাঙ্গালী ও সুখদহে শুধু বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি থাকলেও সারা বছর শুকনো থাকে।
সুখদহ ঋতুভিত্তিক সচল থাকে। গাবতলী থানার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি মৌজা থেকে বের হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে কিছুদূর এগিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় প্রবেশ করে উত্তর-পূর্ব দিকে গেছে। এরপর গাবতলী থানার দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ দুর্গাহাটায় আবারও প্রবেশ করে উত্তর-পশ্চিমে কোনাকুনি দুই মাইল প্রবাহিত হয়ে আবার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ী মৌজা হয়ে নারচী ইউনিয়নস্থ নারচী, পরে বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদটি ৮-১০ মাইল দীর্ঘ এবং এর তীরে নারচী ও ফুলবাড়ী একটি পুরাতন জনপদ অবস্থিত। বর্তমানে এটি ফুলবাড়ীর কাছে একটি খালে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এখন এখানে আর নৌকা চলে না। এর বিভিন্ন এলাকা শুকিয়ে গেছে। সেখানে কৃষকেরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছেন। কোথাও আবার রয়েছে হাঁটুজল। কোথাও বেশি পানি। যেখানে ঘের দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে।
হাটফুলবাড়ী এলাকার চাতাল ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আহম্মেদ বলেন, সুখদহ খনন করলে এর নাব্যতা পুনরায় ফিরে পাবে। ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ পথে যোগাযোগ শুরু হবে এবং কৃষি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলার নারচী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বান্টু বলেন, সুখদহ তার আগের প্রমত্তা রূপ হারিয়ে ফেলেছে। এর অল্প কিছু জায়গায় এখন হাঁটুপানি রয়েছে। এটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সুখদহের দুই পাড় প্রভাবশালী দখলদারেরা মাটি দিয়ে ভরাট করে বসতবাড়ি-দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। ফুলবাড়ী বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের প্রায় কয়েক কিলোমিটার নদের পাড় দখল করেছেন দখলদারেরা। ফলে একসময়ের খরস্রোতা গভীর সুখদহ নাব্যতা হারিয়েছে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ বলেছেন, সুখদহ আমাদের ইউনিয়নের একমাত্র ভরা যৌবনা ছিল। এটি পারাপারের জন্য খেয়া ছিল, পাল তুলে ছুটত রকমারি মালবাহী নৌকা। সময়ের প্রয়োজনে কৃষকেরা ভরাট করে ফসল ফলাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাসকিয়া জানান, প্রথম পর্যায়ে সুখদহের উৎপত্তিস্থলে কিছু কাজ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরো নদী খননের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে নদীর নাব্যতা ফিরে আনা যাবে।
সুখদহ নদ। হারিয়ে যেতে বসেছে সারিয়াকান্দির মানচিত্র থেকে। উজান থেকে আসা পলি জমে এবং আশপাশের মাটি ভরাটের কারণে হারিয়েছে এর নাব্যতা ও গতিপথ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদটি খনন করে দিলে নাব্যতা আবার ফিরে আসবে।
উপজেলার নারচী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখদহ নদের বিভিন্ন জায়গা ভরাট হয়ে সারিয়াকান্দির মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে। অথচ এই নদী দিয়ে একসময় পালতোলা নৌকা চলত। কৃষি ফসল পরিবহনে ব্যবহার হতো। হাটবাজারে নৌকা নিয়ে নদের এই পথেই চলাচল করতেন এলাকাবাসী।
যমুনা, বাঙ্গালী ও সুখদহ নদীবিধৌত সারিয়াকান্দি। এই তিন নদীর মধ্যে যমুনা ভরা মৌসুমে প্রবল বন্যাসহ তার খরস্রোতা প্রদর্শন করে। তবে বাঙ্গালী ও সুখদহে শুধু বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি থাকলেও সারা বছর শুকনো থাকে।
সুখদহ ঋতুভিত্তিক সচল থাকে। গাবতলী থানার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি মৌজা থেকে বের হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে কিছুদূর এগিয়ে সারিয়াকান্দি থানায় প্রবেশ করে উত্তর-পূর্ব দিকে গেছে। এরপর গাবতলী থানার দুর্গাহাটা ইউনিয়নস্থ দুর্গাহাটায় আবারও প্রবেশ করে উত্তর-পশ্চিমে কোনাকুনি দুই মাইল প্রবাহিত হয়ে আবার সারিয়াকান্দি থানার ফুলবাড়ী মৌজা হয়ে নারচী ইউনিয়নস্থ নারচী, পরে বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদটি ৮-১০ মাইল দীর্ঘ এবং এর তীরে নারচী ও ফুলবাড়ী একটি পুরাতন জনপদ অবস্থিত। বর্তমানে এটি ফুলবাড়ীর কাছে একটি খালে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এখন এখানে আর নৌকা চলে না। এর বিভিন্ন এলাকা শুকিয়ে গেছে। সেখানে কৃষকেরা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছেন। কোথাও আবার রয়েছে হাঁটুজল। কোথাও বেশি পানি। যেখানে ঘের দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে।
হাটফুলবাড়ী এলাকার চাতাল ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আহম্মেদ বলেন, সুখদহ খনন করলে এর নাব্যতা পুনরায় ফিরে পাবে। ফলে এলাকাবাসী ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ পথে যোগাযোগ শুরু হবে এবং কৃষি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলার নারচী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বান্টু বলেন, সুখদহ তার আগের প্রমত্তা রূপ হারিয়ে ফেলেছে। এর অল্প কিছু জায়গায় এখন হাঁটুপানি রয়েছে। এটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সুখদহের দুই পাড় প্রভাবশালী দখলদারেরা মাটি দিয়ে ভরাট করে বসতবাড়ি-দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। ফুলবাড়ী বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের প্রায় কয়েক কিলোমিটার নদের পাড় দখল করেছেন দখলদারেরা। ফলে একসময়ের খরস্রোতা গভীর সুখদহ নাব্যতা হারিয়েছে।
ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ বলেছেন, সুখদহ আমাদের ইউনিয়নের একমাত্র ভরা যৌবনা ছিল। এটি পারাপারের জন্য খেয়া ছিল, পাল তুলে ছুটত রকমারি মালবাহী নৌকা। সময়ের প্রয়োজনে কৃষকেরা ভরাট করে ফসল ফলাচ্ছেন।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাসকিয়া জানান, প্রথম পর্যায়ে সুখদহের উৎপত্তিস্থলে কিছু কাজ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরো নদী খননের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে নদীর নাব্যতা ফিরে আনা যাবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪