নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একটি পরিবারের তিন সদস্যের তিনটি গাড়ি। প্রতিদিন আলাদা গন্তব্যে ছুটে যান তিনজন। অথচ প্রতি গাড়ির বাকি সিটগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঢাকায় এমন পরিবার অহরহ দেখা যায়। আর ব্যক্তিগত গাড়ির এমন চাপে রাজধানীতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে সংগঠনটি জানায়, ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ মানুষ। অথচ তাঁরাই মোট সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখছেন। এসব গাড়িতে ট্রিপ হয় ৭ শতাংশ। বাকি ৯৩ শতাংশ চলাচল হয় বাস, রেল, নৌপথ, হাঁটা ও রিকশায়। অথচ এই মাধ্যমগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি কমাতে ২০১৬ সাল থেকে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ পালিত হচ্ছে। সেই হিসাবে আজ ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে–‘গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করি’।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪১১টি নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। এ বিষয়ে ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি বেশি ট্রিপ হয়। এর মধ্যে হাঁটা ও গণপরিবহনে বেশি যাতায়াত হলেও পরিকল্পনায় এ মাধ্যমগুলো উপেক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১০ বছরে যানজট নিরসনে আমরা প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। কিন্তু তার সুফল মিলছে না; বরং ১০ বছর আগের চেয়ে বর্তমানে গাড়ির গতি কমে দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায় ৭ কিমি। নীতিমালা অনুযায়ী, পথচারীদের জন্য হেঁটে চলার পরিবেশের মানোন্নয়ন; বিশেষত শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং শারীরিক বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যানজটের কারণে ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ৩৩টি দেশের প্রায় ১০০০ শহরে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এখন প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শহরে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
গত কয়েক বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হলেও কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে নগর বিশেষজ্ঞ এবং গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে গত তিন বছরে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার জাহান সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে দুটি ধাপে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম ধাপে গণপরিবহনকে শক্তিশালী করতে হবে। তার আগে সরকারকে গণপরিবহন বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত সড়ক ঘোষণা করতে হবে। সড়কে গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করে, তাতে চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা, অন্য গাড়িগুলোয় নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়াতে হবে। নারী যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেটির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজধানীতে কমাতে হবে রিকশার সংখ্যাও। গলির মধ্যে চলাচলের জন্য ছোট মিনিবাসের ব্যবস্থা করা। সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা মনিটর করতে হবে।
একটি পরিবারের তিন সদস্যের তিনটি গাড়ি। প্রতিদিন আলাদা গন্তব্যে ছুটে যান তিনজন। অথচ প্রতি গাড়ির বাকি সিটগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঢাকায় এমন পরিবার অহরহ দেখা যায়। আর ব্যক্তিগত গাড়ির এমন চাপে রাজধানীতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে সংগঠনটি জানায়, ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ মানুষ। অথচ তাঁরাই মোট সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখছেন। এসব গাড়িতে ট্রিপ হয় ৭ শতাংশ। বাকি ৯৩ শতাংশ চলাচল হয় বাস, রেল, নৌপথ, হাঁটা ও রিকশায়। অথচ এই মাধ্যমগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি কমাতে ২০১৬ সাল থেকে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ পালিত হচ্ছে। সেই হিসাবে আজ ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে–‘গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করি’।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪১১টি নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে। এ বিষয়ে ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ কোটি বেশি ট্রিপ হয়। এর মধ্যে হাঁটা ও গণপরিবহনে বেশি যাতায়াত হলেও পরিকল্পনায় এ মাধ্যমগুলো উপেক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১০ বছরে যানজট নিরসনে আমরা প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। কিন্তু তার সুফল মিলছে না; বরং ১০ বছর আগের চেয়ে বর্তমানে গাড়ির গতি কমে দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায় ৭ কিমি। নীতিমালা অনুযায়ী, পথচারীদের জন্য হেঁটে চলার পরিবেশের মানোন্নয়ন; বিশেষত শিশু, মহিলা, বয়স্ক এবং শারীরিক বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যানজটের কারণে ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
২০০১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্বের ৩৩টি দেশের প্রায় ১০০০ শহরে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। এখন প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শহরে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
গত কয়েক বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হলেও কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে নগর বিশেষজ্ঞ এবং গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে গত তিন বছরে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার জাহান সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে দুটি ধাপে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম ধাপে গণপরিবহনকে শক্তিশালী করতে হবে। তার আগে সরকারকে গণপরিবহন বাড়াতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত সড়ক ঘোষণা করতে হবে। সড়কে গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করে, তাতে চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীদের জন্য আলাদা গণপরিবহনের ব্যবস্থা, অন্য গাড়িগুলোয় নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাড়াতে হবে। নারী যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেটির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজধানীতে কমাতে হবে রিকশার সংখ্যাও। গলির মধ্যে চলাচলের জন্য ছোট মিনিবাসের ব্যবস্থা করা। সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা মনিটর করতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫