সনি আজাদ, চারঘাট
আর কিছুদিন পরেই রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। এ সময় খেতে পাখি ও ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ায় ফসল রক্ষায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনেকে ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন। এতে সাময়িকভাবে ফসল রক্ষা হলেও ফসলি জমিগুলো দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমন খেতগুলোতে বাঁশের ছোট ছোট খুঁটির মাথায় বাঁধা রয়েছে সাদা রঙের পলিথিন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাদা বক বসে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধান রোপণের পর বক, শালিক, মাছরাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধানের জমিতে বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। আবার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে ইঁদুরের আক্রমণে অনেক ধানের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য পলিথিনের ব্যবহার করা হয়েছে। পলিথিন বাতাসে নড়ে। আর এই শব্দে পাখি ও ইঁদুর পালিয়ে যায়।
তবে কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলছেন, খেতের এসব পলিথিন আবাদ শেষে খেতেই পড়ে থাকছে। পলিথিন মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। পলিথিন মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তা ছাড়া এই পলিথিন কৃষিজমির পানি প্রবাহের জায়গায় আটকে গিয়ে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ৪২০ হেক্টর বেশি। এই উপজেলার অধিকাংশ জমিই অপেক্ষাকৃত উঁচু। সে জন্য ইঁদুরের উপদ্রব বেশি।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, জমিতে ধান খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু ইঁদুর ধানের গোড়া কেটে দিচ্ছে। এ জন্য খেতে পলিথিন টাঙিয়েছেন তিনি। তা না হলে সব ধান ইঁদুরের গর্তে চলে যাবে। পলিথিন তো জমির উর্বরতাশক্তি নষ্ট করে, তবু কেন ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তো আজকেই প্রথম শুনলাম।’
উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাতাসের পলিথিন উড়লে শব্দের সৃষ্টি হয়। তখন ইঁদুর পালিয়ে যায়। এতে ভালো ফল পাচ্ছি, তবে পলিথিন জমির ক্ষতিকর জানলে ব্যবহার করতাম না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন বলেন, ফসলি জমিতে পলিথিন ব্যবহার করা যাবে না। এতে জমির উর্বরতাশক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ পলিথিন সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। তাই এই বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হওয়া উচিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, কোনো কোনো অঞ্চলের খেতে পাখি ও ইঁদুরের উৎপাত বেশি থাকায় কৃষকেরা পলিথিন বেঁধে দেন। তবে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। পাখি বসার জন্য জমিতে কাঠ ও বাঁশের লাঠি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। বরং পাখি ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল ভালো রাখে। পাশাপাশি পাখি থাকলে ইঁদুরের উপদ্রব কম থাকে। বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।
আর কিছুদিন পরেই রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। এ সময় খেতে পাখি ও ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ায় ফসল রক্ষায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনেকে ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন। এতে সাময়িকভাবে ফসল রক্ষা হলেও ফসলি জমিগুলো দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমন খেতগুলোতে বাঁশের ছোট ছোট খুঁটির মাথায় বাঁধা রয়েছে সাদা রঙের পলিথিন। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সাদা বক বসে আছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধান রোপণের পর বক, শালিক, মাছরাঙাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধানের জমিতে বসে ধানের চারা নষ্ট করে ফেলে। আবার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে ইঁদুরের আক্রমণে অনেক ধানের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য পলিথিনের ব্যবহার করা হয়েছে। পলিথিন বাতাসে নড়ে। আর এই শব্দে পাখি ও ইঁদুর পালিয়ে যায়।
তবে কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলছেন, খেতের এসব পলিথিন আবাদ শেষে খেতেই পড়ে থাকছে। পলিথিন মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। পলিথিন মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তা ছাড়া এই পলিথিন কৃষিজমির পানি প্রবাহের জায়গায় আটকে গিয়ে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করা হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ৪২০ হেক্টর বেশি। এই উপজেলার অধিকাংশ জমিই অপেক্ষাকৃত উঁচু। সে জন্য ইঁদুরের উপদ্রব বেশি।
উপজেলার রাওথা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, জমিতে ধান খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু ইঁদুর ধানের গোড়া কেটে দিচ্ছে। এ জন্য খেতে পলিথিন টাঙিয়েছেন তিনি। তা না হলে সব ধান ইঁদুরের গর্তে চলে যাবে। পলিথিন তো জমির উর্বরতাশক্তি নষ্ট করে, তবু কেন ব্যবহার করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তো আজকেই প্রথম শুনলাম।’
উপজেলার নিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বাতাসের পলিথিন উড়লে শব্দের সৃষ্টি হয়। তখন ইঁদুর পালিয়ে যায়। এতে ভালো ফল পাচ্ছি, তবে পলিথিন জমির ক্ষতিকর জানলে ব্যবহার করতাম না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহমুদা পারভীন বলেন, ফসলি জমিতে পলিথিন ব্যবহার করা যাবে না। এতে জমির উর্বরতাশক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। কারণ পলিথিন সহজে মাটির সঙ্গে মেশে না। তাই এই বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হওয়া উচিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, কোনো কোনো অঞ্চলের খেতে পাখি ও ইঁদুরের উৎপাত বেশি থাকায় কৃষকেরা পলিথিন বেঁধে দেন। তবে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। পাখি বসার জন্য জমিতে কাঠ ও বাঁশের লাঠি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে। বরং পাখি ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল ভালো রাখে। পাশাপাশি পাখি থাকলে ইঁদুরের উপদ্রব কম থাকে। বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫