Ajker Patrika

কোল্ড ইনজুরিতে বীজতলা

দুর্গাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ০৭
কোল্ড ইনজুরিতে বীজতলা

মাঘের শেষে এসে কয়েক দিনের তীব্র ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো বীজতলায় দেখা দিয়েছে হলুদ ফ্যাকাশে রং। বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।

তবে কৃষি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয় বীজতলা। বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে বীজতলা আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বীজতলার চারা ফ্যাকাশে রং ধারণ করেছে। অনেক এলাকায় রাতের বেলায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে দেখা গেছে।

উপজেলার বরিদবাইল গ্রামের কৃষক রহিমুদ্দিন বলেন, বোরো আবাদের জন্য উন্নত জাতের বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছেন তিনি। চারাগাছগুলো বেশ পুষ্ট হলেও ঘন কুয়াশা, বৃষ্টি ও বাতাসে বীজতলা ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারা মরার মতো হয়ে গেছে। ফলে চারাসংকট দেখা দিতে পারে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় এবার ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অনেক জায়গায় ধান রোপণ শুরু হয়েছে। এবার প্রায় দেড় শ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা হয়েছে। বীজতলা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রং ফ্যাকাশে হলেও বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না। শীত বা কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সকালে বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশা ও ঠান্ডা পানি ফেলে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত