সেলিম হোসাইন, ফুলবাড়িয়া
ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ বছরে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি পরীক্ষা না হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে অন্তত ছয় কোটি টাকা। বিপরীতে হাসপাতাল থেকে রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গুনতে হয়েছে অন্তত সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। ফলে রোগীদেরও অতিরিক্ত সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন করে রোগী চিকিৎসা নেন। সে হিসেবে ১১ বছরে অন্তত ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ২৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন রোগীকে এক্সে-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করতে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ১১ বছর ধরে এক্স-রে যন্ত্র বিকল। আর আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র বাক্সবন্দী। দুই বছর ধরে ইসিজি যন্ত্রও নষ্ট।
এসব কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে পরীক্ষা করাতে পারেননি অনন্ত তিন লাখ দুই হাজার ৯৫০ জন রোগী। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এ ১১ বছরে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে অন্তত দুই লাখ ৮১ হাজার রোগীকে। আর ইসিজি দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার ৯০০ জনকে। এ ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষাও দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল এক্স-রে পরীক্ষা করতে সরকারি ফি ১৫০-২০০ টাকা। অন্যান্য পরীক্ষা ১৫০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৩৫০-৪০০ টাকা। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে ২০০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৬০০-৭০০ টাকা। হাসপাতালে ইসিজি করালে ৮০ টাকা খরচ হলেও বাইরে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ব্যয় হয়।
গত ১১ বছরে ৩ লাখ ২ হাজারের বেশি রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব পরীক্ষা করালে সরকার রাজস্ব পেত অন্তত ৬ কোটি টাকা। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের খরচ হয়েছে অন্তত সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
উপজেলা সদরে এ ধরনের ১৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন রোগী এক্স-রে, ১০০ থেকে ১৩০ জন আল্ট্রাসনোগ্রাম, ৫০ থেকে ৬০ জন ইসিজি করেন। অন্যান্য পরীক্ষাও করেন রোগীরা।
অনন্তপুরের বাসিন্দা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে। চিকিৎসক বলল এটি করা হয় না। বাইরে ক্লিনিকে করালাম ৭৫০ টাকা দিয়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০ টাকায় এটা হয়ে যেত।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে আধুনিক এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল রয়েছে। এ ছাড়া ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়। সেটি তখন থেকে বাক্সবন্দী রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে ব্যবহার করা যায়নি। এ ছাড়া ইসিজি যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীদের যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র চলে না। এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছে। রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিন গুন বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা করাতে খরচ কম হয়, বাইরে খরচ অনেক বেশি। কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন চালানো যায় না। ইসিজি নষ্ট, এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট। নতুন এক্স-রে যন্ত্র ও জনবলের জন্য অসংখ্যবার চাহিদা পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ বছরে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি পরীক্ষা না হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে অন্তত ছয় কোটি টাকা। বিপরীতে হাসপাতাল থেকে রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গুনতে হয়েছে অন্তত সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। ফলে রোগীদেরও অতিরিক্ত সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন করে রোগী চিকিৎসা নেন। সে হিসেবে ১১ বছরে অন্তত ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ২৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন রোগীকে এক্সে-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করতে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ১১ বছর ধরে এক্স-রে যন্ত্র বিকল। আর আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র বাক্সবন্দী। দুই বছর ধরে ইসিজি যন্ত্রও নষ্ট।
এসব কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে পরীক্ষা করাতে পারেননি অনন্ত তিন লাখ দুই হাজার ৯৫০ জন রোগী। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এ ১১ বছরে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে অন্তত দুই লাখ ৮১ হাজার রোগীকে। আর ইসিজি দেওয়া হয়েছে ২১ হাজার ৯০০ জনকে। এ ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষাও দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল এক্স-রে পরীক্ষা করতে সরকারি ফি ১৫০-২০০ টাকা। অন্যান্য পরীক্ষা ১৫০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৩৫০-৪০০ টাকা। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে ২০০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৬০০-৭০০ টাকা। হাসপাতালে ইসিজি করালে ৮০ টাকা খরচ হলেও বাইরে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ব্যয় হয়।
গত ১১ বছরে ৩ লাখ ২ হাজারের বেশি রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব পরীক্ষা করালে সরকার রাজস্ব পেত অন্তত ৬ কোটি টাকা। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের খরচ হয়েছে অন্তত সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
উপজেলা সদরে এ ধরনের ১৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটির ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গড়ে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন রোগী এক্স-রে, ১০০ থেকে ১৩০ জন আল্ট্রাসনোগ্রাম, ৫০ থেকে ৬০ জন ইসিজি করেন। অন্যান্য পরীক্ষাও করেন রোগীরা।
অনন্তপুরের বাসিন্দা আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে। চিকিৎসক বলল এটি করা হয় না। বাইরে ক্লিনিকে করালাম ৭৫০ টাকা দিয়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০ টাকায় এটা হয়ে যেত।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে আধুনিক এক্স-রে যন্ত্রটি বিকল রয়েছে। এ ছাড়া ৫০ শয্যায় উন্নীত করার সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়। সেটি তখন থেকে বাক্সবন্দী রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে ব্যবহার করা যায়নি। এ ছাড়া ইসিজি যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীদের যেতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র চলে না। এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট থাকায় রোগীরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছে। রোগীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিন গুন বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা করাতে খরচ কম হয়, বাইরে খরচ অনেক বেশি। কিন্তু টেকনিশিয়ান না থাকায় আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন চালানো যায় না। ইসিজি নষ্ট, এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট। নতুন এক্স-রে যন্ত্র ও জনবলের জন্য অসংখ্যবার চাহিদা পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪