চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। যাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারের শিশুদেরই শ্রমিক হিসেবে বিনা টাকায় কাজ করাচ্ছেন ঠিকাদার। বাড়ি নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নাচোল উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নতুন করে আরও ১৮৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পেয়েছেন তিনজন। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে।
গৃহহীনরা ঘর বরাদ্দ পেয়ে খুশি। কিন্তু ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালু ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। কথা হলে উপজেলার মোহাম্মাদপুর মৌজার হাটরাজবাড়ী জিয়ানাপাড়ার সুরুজ মনি (৫০) ও তাঁর ছেলে টুটুল খালকো (২৩), হাটরাজবাড়ী দিঘীপাড়া গ্রামের আজিমুদ্দিন (৫০) ও সাইফুলসহ (৩১) আরও অনেকেই এমন অভিযোগ করেন।
তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। সিমেন্টের পরিমাণও কম দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের কথা বলে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।
নাচোল পৌর এলাকার পণ্ডিতপুর মৌজায় নির্মাণ হচ্ছে ১৬টি ঘর। এর মধ্যে সেলিমের স্ত্রী ববিতা (২৬), শাহজাহান আলীর ছেলে বুলবুল (৩৪) ও আব্দুল জলিলের স্ত্রী বিউটি (৩০) অভিযোগ করে জানান, ঘর পাওয়ার জন্য তাঁদেরকে শ্রমিক খরচ হিসেবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। পণ্ডিতপুর মেইন সড়ক থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিজ খরচে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর জন্য তাঁদেরকে এ টাকা দিতে হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা এ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান।
তাঁরা আরও জানান, যে বালু ভরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, ওই বালু দিয়েই প্লাস্টারের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। ঘরে থাকার আশায় নিজেদের শিশুদের দিয়ে ইট বালু পরিবহনও করতে হচ্ছে। ঘর নির্মাণ শ্রমিকদেরও খেতে দিতে হচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত নেজামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর মৌজায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০টি ঘর ও কসবা ইউনিয়নের কসবা হাটখোলা গ্রামে ২৩টি ঘর। সেখানেও একই অভিযোগ ঘর বরাদ্দ পাওয়া পরিবারগুলোর।
নির্মাণকাজের ঠিকাদার নাচোল সদর ইউনিয়নের আন্ধরাইল গ্রামের আসাদুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র মিস্ত্রি দিয়ে ওয়াল গাঁথা, প্লাস্টার করানো ও টিনের ছাউনির কাজ করি। ইট, বালু, সিমেন্ট, দরজা, জানালা, টিনসহ যাবতীয় মালামাল সরবরাহ করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে কোনো সামগ্রী যদি নিম্নমানের হয়ে থাকে তার দায়দায়িত্ব আমার নয়’। একই কথা বলেছেন, আরও দুই ঠিকাদার সিংরইল গ্রামের আজিজুর রহমান ও অরুণ বাড়ি বেহুলা গ্রামের সেমাজুল ইসলাম।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রী সড়ক থেকে প্রকল্পের স্থানে নিয়ে যাওয়ার মতো রাস্তা নেই। এ কারণে যাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরাই নিজ নিজ দায়িত্বে নির্মাণ সামগ্রী বহন করছেন। আর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।’ ‘
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। যাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারের শিশুদেরই শ্রমিক হিসেবে বিনা টাকায় কাজ করাচ্ছেন ঠিকাদার। বাড়ি নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নাচোল উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নতুন করে আরও ১৮৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পেয়েছেন তিনজন। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে।
গৃহহীনরা ঘর বরাদ্দ পেয়ে খুশি। কিন্তু ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট, বালু ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। কথা হলে উপজেলার মোহাম্মাদপুর মৌজার হাটরাজবাড়ী জিয়ানাপাড়ার সুরুজ মনি (৫০) ও তাঁর ছেলে টুটুল খালকো (২৩), হাটরাজবাড়ী দিঘীপাড়া গ্রামের আজিমুদ্দিন (৫০) ও সাইফুলসহ (৩১) আরও অনেকেই এমন অভিযোগ করেন।
তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। সিমেন্টের পরিমাণও কম দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের কথা বলে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।
নাচোল পৌর এলাকার পণ্ডিতপুর মৌজায় নির্মাণ হচ্ছে ১৬টি ঘর। এর মধ্যে সেলিমের স্ত্রী ববিতা (২৬), শাহজাহান আলীর ছেলে বুলবুল (৩৪) ও আব্দুল জলিলের স্ত্রী বিউটি (৩০) অভিযোগ করে জানান, ঘর পাওয়ার জন্য তাঁদেরকে শ্রমিক খরচ হিসেবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। পণ্ডিতপুর মেইন সড়ক থেকে নির্মাণ সামগ্রী নিজ খরচে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর জন্য তাঁদেরকে এ টাকা দিতে হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তাঁরা এ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান।
তাঁরা আরও জানান, যে বালু ভরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, ওই বালু দিয়েই প্লাস্টারের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। ঘরে থাকার আশায় নিজেদের শিশুদের দিয়ে ইট বালু পরিবহনও করতে হচ্ছে। ঘর নির্মাণ শ্রমিকদেরও খেতে দিতে হচ্ছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত নেজামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর মৌজায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০টি ঘর ও কসবা ইউনিয়নের কসবা হাটখোলা গ্রামে ২৩টি ঘর। সেখানেও একই অভিযোগ ঘর বরাদ্দ পাওয়া পরিবারগুলোর।
নির্মাণকাজের ঠিকাদার নাচোল সদর ইউনিয়নের আন্ধরাইল গ্রামের আসাদুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র মিস্ত্রি দিয়ে ওয়াল গাঁথা, প্লাস্টার করানো ও টিনের ছাউনির কাজ করি। ইট, বালু, সিমেন্ট, দরজা, জানালা, টিনসহ যাবতীয় মালামাল সরবরাহ করে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে কোনো সামগ্রী যদি নিম্নমানের হয়ে থাকে তার দায়দায়িত্ব আমার নয়’। একই কথা বলেছেন, আরও দুই ঠিকাদার সিংরইল গ্রামের আজিজুর রহমান ও অরুণ বাড়ি বেহুলা গ্রামের সেমাজুল ইসলাম।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রী সড়ক থেকে প্রকল্পের স্থানে নিয়ে যাওয়ার মতো রাস্তা নেই। এ কারণে যাঁরা ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরাই নিজ নিজ দায়িত্বে নির্মাণ সামগ্রী বহন করছেন। আর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।’ ‘
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫