Ajker Patrika

শ্যামলী টিবি হাসপাতালে ওয়ানস্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ১৫
শ্যামলী টিবি হাসপাতালে ওয়ানস্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বা এনটিপির কারণে যক্ষ্মা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ফলে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। এখন প্রতিবছর ২৮ হাজারের মতো মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুও কমানোর চেষ্টা চলছে।

গতকাল মঙ্গলবার শ্যামলী টিবি হাসপাতালে ওয়ানস্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরির উদ্বোধনকালে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ২০০৪ সালের দিকে যক্ষ্মায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বা এনটিপির কারণে যক্ষ্মা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ফলে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। এখন প্রতিবছর ২৮ হাজারের মতো মৃত্যু হয়। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এই মৃত্যুও কমানোর চেষ্টা চলছে।

জাহিদ মালেক বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনা মূল্যে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য–এই রোগী আরও কমিয়ে আনা। আগের তুলনায় বর্তমানে সুস্থতার হার অনেক বেশি।

জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৯০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সেই লক্ষ্যে এই রোগ আগে শনাক্তের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যক্ষ্মা নির্মূল করতে হলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত করতে হবে। সঠিকভাবে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রায় সব জায়গায় বিনা মূল্যে যক্ষ্মার চিকিৎসাব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি যক্ষ্মা নির্মূল করতে চাই এবং যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার কমাতে চাই, তাহলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত সঠিকভাবে করতে হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করা সম্ভব হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে ওঠেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যতম সফল একটি কার্যক্রম। যক্ষ্মা গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার কারণে এই কর্মসূচির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, প্রতিবছর গড়ে তিন লক্ষাধিক ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৯০ শতাংশেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে প্রতিবছর সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে কেস নোটিফিকেশনের হারের প্রবৃদ্ধি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে গতি দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।

যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের উচ্চ যক্ষ্মাপ্রবণ ৩০টি দেশে ৮৭ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে শীর্ষ যক্ষ্মা আক্রান্ত আটটি দেশে মোট যক্ষ্মা রোগীর দুই-তৃতীয়াংশ রোগী রয়েছেন। এই আটটি দেশ হলো ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত