Ajker Patrika

নদীর তীরে মাদকের আসর

আফজাল হোসেন পন্টি, নারায়ণগঞ্জ
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ২১: ০৩
নদীর তীরে মাদকের আসর

অনিরাপদ হয়ে উঠেছে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের ওয়াকওয়ে। দিনদুপুরে বসে মাদকের আসর। মাঝেমধ্যে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। যেন মাদকসেবী আর ছিনতাইকারীদের নিরাপদ আশ্রয় বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে টানবাজার ঘাট পর্যন্ত এ ওয়াকওয়েটি। সন্ধ্যার পর অনেকেই এড়িয়ে চলেন এ পথ। অথচ নাগরিকদের নিরাপদ হাঁটাচলা ও বিনোদনের চিন্তা করেই নির্মাণ করা হয়েছে এটি। পুলিশের দাবি, নিয়মিত ওয়াকওয়েতে টহল দেওয়া হয়। তারা চলে গেলে হয়তো মাদকসেবীরা আড্ডা বসায়।

বন্দর খেয়াঘাটের পাশ ঘেঁষেই চলে গেছে টাইলস বিছানো সুন্দর হাঁটাপথ। এটা টানবাজার ঘাট হয়ে ডালপট্টি পর্যন্ত গিয়েছে। সড়কের যানজট এড়াতে বহু মানুষ এ পথ ব্যবহার করেন। অনেকে বিকেলে বেড়াতেও আসেন। কিন্তু এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এ পথটি। টানবাজার ঘাটের কাছেই পুলিশ ফাঁড়ি। কিন্তু তাদের নাকের ডগাতেই চলে মাদক সেবন।

এ পথে প্রতিদিন যাতায়াত করা গার্মেন্টস কর্মী ফারুক বলেন, ‘আমি বন্দরে থাকি। ঘাট পার হয়ে এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে নিতাইগঞ্জে কাজে যাই। প্রতিদিনই দেখি, পথের পাশে বসছে মাদকের আসর। দ্রুত জায়গাটা পার হই। অনেক সময় এখানে ছিনতাইও হয়।’

কলেজছাত্রী মেহেরিন জানান, বিকেলে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু পরিবেশটা এখন আগের মতো নেই। প্রকাশ্যেই মাদকসেবীরা আড্ডা বসায়। সন্ধ্যার পর তো এখানে আসার কথা চিন্তাও করতে পারেন না।

আশপাশের লোকজন জানান, মূলত এলাকার বখাটে, লঞ্চের কর্মচারী, সুইপাররা এখানে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করে। তাদের কেউ বাধা দেন না। দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সুযোগ বুঝে চুরি ছিনতাইও করে তারা।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১৫ নম্বর ওয়ার্ড) অসিত বরন বিশ্বাস বলেন, ‘ওয়াকওয়ে দিয়ে কোনো সুস্থ মানুষ চলাচল করতে পারে না। পুলিশের ওপেন হাউস ডেতে একাধিকবার বিষয়টি বলেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা বা টহলও দেওয়া হয় না। এ সমস্যা দূর করতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্যোগ নিলে সেটা টেকসই হবে।’

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক মাসুদ কামাল বলেন, ‘নিরাপদে মানুষের হাঁটা ও বিনোদনের জন্য ওয়াকওয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পুলিশকে বলেছি। এখন এটা তাদের দায়িত্ব।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ জামান বলেন, ‘ওয়াকওয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরাই দেখব। এখানে আমাদের টহল দল নিয়মিত টহল দেয়। হয়তো তারা সরে গেলে মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। এরপরও আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত