চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি এবং বেশি শীত না পড়ায় আশানুরূপ খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারছেন না গাছিরা।
দিনের বেলায় কখনো কখনো রোদের দেখা মিললে কাটছে না মেঘলা আবহাওয়া। রাতে ঝরছে ফের বৃষ্টি। ফলে গাছ না শুকানোয় রস সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা। এক সপ্তাহ ধরে চলা এমন পরিস্থিতিতে এবার খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে গাছিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও চৌগাছা পৌরসভায় খেজুর রস উৎপাদনের মতো ২৩ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। যা থেকে চলতি মৌসুমে ৯৫ মেট্রিক টন খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শীত না পড়ায় চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ রস সংগ্রহ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। তার ওপর ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকেই আকাশে মেঘ থাকায় রস সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হন তাঁরা। এর পর ৪,৫ ও ৬ ডিসেম্বর টানা বর্ষণে নিচু এলাকা পানিতে ডুবে যাওয়ায় গাছ ভিজে রয়েছে। এ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে গাছ কাটতে পারছেন না তাঁরা। ৭ ডিসেম্বরও সারা দিন মেঘলা আবহাওয়া থাকায় এবং রোদ না ওঠায় ঠিক কবে থেকে আবার গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে পারবেন তা বলতে পারছেন না গাছিরা।
চৌগাছা পৌরসভার মাঠপাড়া গ্রামের গাছি হানেফ আলী বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে আসছি। আগে নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শীতও পড়ত, ভালো রসও পেতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর নভেম্বর মাসে খুব বেশি শীত পড়ে না। এ বছর তো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও শীতের খুব একটা দেখা নেই।’
গাছি হানেফ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই খেজুর গাছ তোলা এবং চাচ দেওয়ার পর কাটা শুরু হয়েছিল। স্বল্প পরিমাণে হলেও রস সংগ্রহও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই কয়েক দিনের মেঘলা আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে গাছ কাটা সম্ভব হয়নি। রোদে গাছ না শুকানো পর্যন্ত কাটাও যাবে না।’
স্বরুপদাহ গ্রামের গাছি শামছুল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘অসময়ে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাছিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত তো হবেনই। তবে আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না।’
যশোরের চৌগাছায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি এবং বেশি শীত না পড়ায় আশানুরূপ খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারছেন না গাছিরা।
দিনের বেলায় কখনো কখনো রোদের দেখা মিললে কাটছে না মেঘলা আবহাওয়া। রাতে ঝরছে ফের বৃষ্টি। ফলে গাছ না শুকানোয় রস সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা। এক সপ্তাহ ধরে চলা এমন পরিস্থিতিতে এবার খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে গাছিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও চৌগাছা পৌরসভায় খেজুর রস উৎপাদনের মতো ২৩ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। যা থেকে চলতি মৌসুমে ৯৫ মেট্রিক টন খেজুর গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শীত না পড়ায় চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ রস সংগ্রহ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। তার ওপর ডিসেম্বরের ৩ তারিখ থেকেই আকাশে মেঘ থাকায় রস সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হন তাঁরা। এর পর ৪,৫ ও ৬ ডিসেম্বর টানা বর্ষণে নিচু এলাকা পানিতে ডুবে যাওয়ায় গাছ ভিজে রয়েছে। এ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে গাছ কাটতে পারছেন না তাঁরা। ৭ ডিসেম্বরও সারা দিন মেঘলা আবহাওয়া থাকায় এবং রোদ না ওঠায় ঠিক কবে থেকে আবার গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে পারবেন তা বলতে পারছেন না গাছিরা।
চৌগাছা পৌরসভার মাঠপাড়া গ্রামের গাছি হানেফ আলী বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে আসছি। আগে নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শীতও পড়ত, ভালো রসও পেতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর নভেম্বর মাসে খুব বেশি শীত পড়ে না। এ বছর তো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও শীতের খুব একটা দেখা নেই।’
গাছি হানেফ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই খেজুর গাছ তোলা এবং চাচ দেওয়ার পর কাটা শুরু হয়েছিল। স্বল্প পরিমাণে হলেও রস সংগ্রহও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই কয়েক দিনের মেঘলা আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে গাছ কাটা সম্ভব হয়নি। রোদে গাছ না শুকানো পর্যন্ত কাটাও যাবে না।’
স্বরুপদাহ গ্রামের গাছি শামছুল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, ‘অসময়ে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গাছিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত তো হবেনই। তবে আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৭ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪