Ajker Patrika

এতিমের দায়িত্ব নেওয়ার ৪ ফজিলত

মুফতি আবু দারদা
এতিমের দায়িত্ব নেওয়ার ৪ ফজিলত

ইসলামে এতিমদের সাহায্য করা এবং তাদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করার অনেক ফজিলতের কথা এসেছে। এখানে হাদিসের আলোকে কয়েকটি ফজিলতের কথা তুলে ধরা হলো—এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি ও এতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্যাঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন। এবং এ দুটির মধ্যে তিনি সামান্য ফাঁক করেন)।’ (বুখারি)

দুই. এতিমের সাহায্যকারীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিধবা, এতিম ও গরিবের সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর পথে মুজাহিদের সমতুল্য। অথবা তাঁর মর্যাদা (নামাজের জন্য) রাত জেগে থাকা ব্যক্তির মতো, যে কখনো ক্লান্ত হয় না। অথবা তাঁর মর্যাদা সেই রোজাদারের মতো, যে কখনো ইফতার (রোজা ভঙ্গ) করে না। (মুসলিম)

তিন. এতিমের প্রতিপালন জান্নাতে যাওয়ার উপায়। হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমকে নিজের মা-বাবার সঙ্গে নিজেদের (পারিবারিক) খাবারের আয়োজনে বসায় এবং (তাকে এ পরিমাণ আহার্য দেয় যে) সে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে, তাহলে তাঁর জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)

চার. মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, মুসলিমদের ওই বাড়িই সর্বোত্তম, যে বাড়িতে এতিম আছে এবং তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওই বাড়ি, যে বাড়িতে এতিম আছে অথচ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। এরপর তিনি তাঁর আঙুলের মাধ্যমে বলেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে অবস্থান করব।’ (ইবনে মাজাহ)

তাই এতিম শিশুদের দায়িত্ব গ্রহণ ও তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের উত্তমভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়া সামর্থ্যবানদের কর্তব্য।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত