সম্পাদকীয়
প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস রয়েছে, সে কথা মাথায় রেখেই নিশ্চয় ভারতীয় হাইকমিশনার কথাগুলো বলেছেন। লক্ষ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই দেশে বসবাস করতে হলে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরি।
মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার ডাক শোনা যায়। তাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটি যে অর্থনৈতিকভাবে পরস্পর নির্ভরশীল, সে কথা ভুলে যাওয়া হয়। এই যেমন, হঠাৎ করে ডিমের দাম স্মরণকালের সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী হলো যখন, তখন ভারত থেকে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আরও অনেক পণ্য আছে, যা ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।
অন্যদিকে, সাধ্যের মধ্যে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এ দেশের মানুষের অনেকেই বেশির ভাগ সময় ভারতকে বেছে নেন। আর পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আমাদের পদ্মার ইলিশের জন্য বছরে অন্তত একবার খুব আশা নিয়ে অপেক্ষা করে। প্রায় ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৩ হাজার টন ভারতে গেলে অর্থনীতির কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হয় না। অথচ এই বিষয়টি নিয়েও উগ্র প্রচারণা চলে, তা বাস্তবসম্মত নয়। বাংলাদেশ থেকে পাট, পাটজাত দ্রব্য, সাবান ইত্যাদিও ভারতে রপ্তানি হয়। তা থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল—এই কথা মনে রেখেই অন্য সংকটগুলো মোকাবিলা করা দরকার।
ভারত থেকে রয়েল এনফিল্ড নামে মোটরসাইকেল দেশে এসেছে সদ্য। যাঁরা নিয়মিত মোটরবাইক চালান, তাঁদের অনেকের কাছেই এটি ‘স্বপ্নের’ একটি ব্র্যান্ড। অনেকে কিনতে চাইছেন, কিন্তু ভারতীয় পণ্য বলে অনেকে আবার কিনতে চাইছেন না। অথচ হিরো, বাজাজ কিংবা টিভিএসের মতো ভারতীয় ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। এমনকি সুজুকি ও ইয়ামাহার মূল প্রতিষ্ঠান জাপানিজ হলেও এদের অধিকাংশ বাইক আমাদের দেশে আমদানি করা হয় ভারত থেকে। শুধু মোটরসাইকেলই নয়, গাড়িও আমরা ভারত থেকে পাচ্ছি। দেশের নিটল গ্রুপ সেই কবে ভারতীয় টাটা গ্রুপের সঙ্গে জোট বেঁধে যানবাহনের চাহিদা মেটাচ্ছে বছরের পর বছর।
এ দেশের মানুষ একটু ভালো সেবা পেতে ছুটে যান ভারতের হাসপাতালগুলোতে। ভ্রমণের জন্য দুই দেশের পর্যটকেরাই এদেশ-ওদেশ যাওয়া-আসা করেন, কেনাকাটা করেন। আত্মীয়দের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতেও যাওয়া-আসা চলে। আর এ
সবকিছুই দুই দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। এই চক্রের কোনো একটা প্রভাবক বন্ধ হয়ে গেলে দুই দেশের অর্থনীতির ভিতই নড়বড়ে হয়ে যাবে।
পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও একে অন্যকে সম্মান করার মাধ্যমেই দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে উৎসাহিত করা দরকার। কোনো পক্ষ থেকেই বিদ্বেষ ছড়িয়ে নয়।
প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস রয়েছে, সে কথা মাথায় রেখেই নিশ্চয় ভারতীয় হাইকমিশনার কথাগুলো বলেছেন। লক্ষ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই দেশে বসবাস করতে হলে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরি।
মাঝে মাঝেই আমাদের দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন করার ডাক শোনা যায়। তাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটি যে অর্থনৈতিকভাবে পরস্পর নির্ভরশীল, সে কথা ভুলে যাওয়া হয়। এই যেমন, হঠাৎ করে ডিমের দাম স্মরণকালের সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী হলো যখন, তখন ভারত থেকে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আরও অনেক পণ্য আছে, যা ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।
অন্যদিকে, সাধ্যের মধ্যে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এ দেশের মানুষের অনেকেই বেশির ভাগ সময় ভারতকে বেছে নেন। আর পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আমাদের পদ্মার ইলিশের জন্য বছরে অন্তত একবার খুব আশা নিয়ে অপেক্ষা করে। প্রায় ৬ লাখ টন ইলিশ উৎপাদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৩ হাজার টন ভারতে গেলে অর্থনীতির কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হয় না। অথচ এই বিষয়টি নিয়েও উগ্র প্রচারণা চলে, তা বাস্তবসম্মত নয়। বাংলাদেশ থেকে পাট, পাটজাত দ্রব্য, সাবান ইত্যাদিও ভারতে রপ্তানি হয়। তা থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল—এই কথা মনে রেখেই অন্য সংকটগুলো মোকাবিলা করা দরকার।
ভারত থেকে রয়েল এনফিল্ড নামে মোটরসাইকেল দেশে এসেছে সদ্য। যাঁরা নিয়মিত মোটরবাইক চালান, তাঁদের অনেকের কাছেই এটি ‘স্বপ্নের’ একটি ব্র্যান্ড। অনেকে কিনতে চাইছেন, কিন্তু ভারতীয় পণ্য বলে অনেকে আবার কিনতে চাইছেন না। অথচ হিরো, বাজাজ কিংবা টিভিএসের মতো ভারতীয় ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। এমনকি সুজুকি ও ইয়ামাহার মূল প্রতিষ্ঠান জাপানিজ হলেও এদের অধিকাংশ বাইক আমাদের দেশে আমদানি করা হয় ভারত থেকে। শুধু মোটরসাইকেলই নয়, গাড়িও আমরা ভারত থেকে পাচ্ছি। দেশের নিটল গ্রুপ সেই কবে ভারতীয় টাটা গ্রুপের সঙ্গে জোট বেঁধে যানবাহনের চাহিদা মেটাচ্ছে বছরের পর বছর।
এ দেশের মানুষ একটু ভালো সেবা পেতে ছুটে যান ভারতের হাসপাতালগুলোতে। ভ্রমণের জন্য দুই দেশের পর্যটকেরাই এদেশ-ওদেশ যাওয়া-আসা করেন, কেনাকাটা করেন। আত্মীয়দের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতেও যাওয়া-আসা চলে। আর এ
সবকিছুই দুই দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে। এই চক্রের কোনো একটা প্রভাবক বন্ধ হয়ে গেলে দুই দেশের অর্থনীতির ভিতই নড়বড়ে হয়ে যাবে।
পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও একে অন্যকে সম্মান করার মাধ্যমেই দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াকে উৎসাহিত করা দরকার। কোনো পক্ষ থেকেই বিদ্বেষ ছড়িয়ে নয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪