Ajker Patrika

রিজার্ভে আবারও চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রিজার্ভে আবারও চাপ

ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগের পরও কমছে না রিজার্ভের ওপর চাপ। বরং আমদানি বিল পরিশোধের জন্য প্রতিনিয়তই বাজারে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ডলারের মজুত কমছে। পাশাপাশি এক বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে চলতি সপ্তাহে, যা রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। সব মিলিয়ে আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যাবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে রিজার্ভ নামবে ২৪ দশমিক ৩১ বিলিয়নে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ রয়েছে ৩০ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি সপ্তাহের শেষে আকু সদস্যভুক্ত দেশ হিসেবে ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানি বিল পরিশোধ করে। আকু বিল পরিশোধের পরে রিজার্ভ নামবে ২৯ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক গণনা পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। তাহলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও ডলার সংকট কাটছে না। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এ কারণে সংকট কাটছে না অর্থনীতিতে। ডলার বিক্রয়সহ অন্যান্য খাতে ব্যয় কমাতে না পারলে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বে। একটা পর্যায়ে অর্থনীতিতে বাড়তি সংকট সৃষ্টি করবে।

এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে; যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৩ টাকা। আর গভর্নরের মাধ্যমে আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ১০৬ টাকায় নির্ধারণ করবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। এতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের মধ্যে ব্যবধান দুই টাকায় নেমে আসবে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত।

গত রোববার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) এক ভার্চুয়াল সভায় রেমিট্যান্সের দাম প্রতি ডলারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর রপ্তানি বিল পরিশোধে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত রিজার্ভ রয়েছে। এটি দিয়ে পাঁচ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা যাবে। অবশ্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে তিন মাসের বিল পরিশোধ করা যাবে। তবে ডলারের সংকট রয়েছে। বৈদেশিক এ মুদ্রা সাশ্রয়ে নীতি অবলম্বন করায় আমদানি বিল কমে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত